২৪ নভেম্বর, ২০২৪ | ৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২১ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  টেকনাফ সমুদ্রে গোসলে নেমে মাদ্রাসার এক ছাত্রের মৃত্যু দুই ছাত্র নিখোঁজ।   ●  মাকে হত্যার পর থানায় ছেলের আত্মসমর্পণ।   ●  মারমেইড বীচ রিসোর্টে বালিয়াড়ি দখল করে গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান   ●  যারা খেলাধূলা করছে, তারা বিএনপির শক্তিকে অনুধাবন করতে পারছে না   ●  উখিয়ার নতুন ইউএনও কামরুল হাসান চৌধুরী   ●  উখিয়ায় যৌথবাহিনীর অভিযানে শক্তিশালী গ্রেনেড উদ্ধার   ●  ছয় কোটি তরুণের দেয়াল লিখন বাংলাদেশের নতুন সংবিধান   ●  চকরিয়ায় ২টি ডাম্পার ট্রাক ও এক্সকেভেটর জব্দ   ●  ধরে নিয়ে যাওয়া ২০ বাংলাদেশী  জেলেকে ফেরত দিল আরাকান আর্মি   ●  মেরিন ড্রাইভে ইয়াবাসহ নারী আটক

বাংলাদেশ ধ্বংস করতে ভারতের সঙ্গে প্রতিরক্ষা চুক্তি

বাংলাদেশ ধ্বংস করতে ভারতের সঙ্গে প্রতিরক্ষা চুক্তি করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী।
শনিবার ( ২৫ মার্চ) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে জিয়াউর রহমান ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

সেমিনারটির আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা (জাসাস)।

রিজভী বলেন, বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভারতের বর্ধিত অংশে রূপান্তর করার পায়তারা করছে আওয়ামী লীগ সরকার। দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভারতের কাছে গুম করার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। ভারতের সঙ্গে প্রতিরক্ষা চুক্তি হলে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হবে। এছাড়া তাদের কাছ থেকে ৫০ কোটি ডলার দিয়ে যে অস্ত্র কেনা হবে সেটারও কোনো যুক্তিকতা নেই। কেননা ভারত যেখানে নিজেই অস্ত্র আমদানি করে সেখানে তারা বাংলাদেশকে কি অস্ত্র দেবে। আর প্রতিরক্ষা চুক্তি হলে তাদের কাছ থেকে ছাড়া অন্য কোথাও থেকে অস্ত্র কিনতে পারবো না। যেখানে আমাদের বাহিনী তাদের ইচ্ছেমতো অস্ত্র কিনবে, সেখানে ভারতের কাছে আমাদের জিম্মি থাকতে হবে।

তিনি আরও বলেন, জঙ্গিবাদের নামে দেশের সম্মানহানি করছে বর্তমান সরকার। মনে রাখতে হবে, চুক্তি হোক আর নাই হোক বিদেশি কোনো সৈন্যকে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে দেয়া হবে না। এই সরকার চায় চিরস্থায়ীভাবে ক্ষমতায় টিকে থাকতে। কিন্তু সেই আশা তাদের কখনো পূরণ হবে না। বর্তমান সরকারের কর্মকাণ্ডে দেশের মানুষ আজ নির্বাক। কিন্তু নির্বাক মানুষ যখন জেগে উঠবে তখন আওয়ামী লীগ পালানোরও পথ পাবে না।

স্বাধীনতার সময় মুজিব পরিবারের কোনো অবদান নেই মন্তব্য করে রিজভী বলেন, স্বাধীনতার সময় আ’লীগের অন্যান্য পরিবারের অবদান থাকলেও মুজিব পরিবারের কোনো অবদান নেই। যেখানে শেখ মুজিব ২৪ তারিখ পর্যন্ত বাংলার মানুষের জন্য পাকিস্তানের সঙ্গে কোনো দরকষাকষি করেননি, তিনি ক্ষমতা হস্তান্তরের জন্য আলোচনা করেছিলেন। কারণ তিনি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন।

অন্যদিকে জিয়াউর রহমানকে আজ স্বাধীনতার ঘোষক বলা যাবে না। কিন্তু কেন? যিনি স্বাধীনতার জন্য নিজের জীবনবাজি রেখে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন তাকে কেন স্বাধীনতার ঘোষক বলা যাবে না। এই জন্য আ’লীগ কোর্ট থেকে আইন পাস করেছে। এতে কি প্রমাণিত হয় না। কে ঘোষক আর কে স্বাধীনতার জন্য সেদিন কাজ করেছিলেন।

রিজভী আরও বলেন, আ’লীগ একটি অনৈতিক সংগঠন। তাদের একটাই উদ্দেশ্য যারা স্বাধীনতার পক্ষে কথা বলে তাদের জঙ্গি ও রাজাকার বলে গুম করা। দেশ এখন কোথায় যাচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে কেও কিছু বললেই সে জঙ্গি বা রাজাকার হয়ে যায়। এভাবে দেশ চলতে পারেনা। যেখানে স্বাধীনভাবে কথা বলার অধিকার নেই সেখানে উন্নতির চিন্তা করা যায় না।

সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ড. মামুন আহমেদ, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হেলাল খান, চিত্রনায়ক হেলাল খান, সাংবাদিক ও কলামিস্ট মাহফুজ উল্লাহ প্রমুখ।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।