এম.জিয়াবুল হক,(চকরিয়া): চকরিয়া উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে গতকাল ১৪ ডিসেম্বর সকালে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুরউদ্দিন মুহাম্মদ শিবলী নোমানের সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন চকরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ জাফর আলম।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম আজাদ, জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক ত্রাণ ও সমাজ কল্যান সম্পাদক মো.নুরুল আবছার, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও ফাসিয়াখালী ইউপি চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী, জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য ও বর্ণমালা একাডেমীর চেয়ারম্যান আমিনুর রশিদ দুলাল, চকরিয়া পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক মো.আলমগীর চৌধুরী, চকরিয়া থানার ওসি তদন্ত মো.মিজানুর রহমান, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার হাজি আবু মো.বশিরুল আলম, মুক্তিযোদ্ধা ফরিদুল আলম, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো.আতিক উল্লাহ,উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ছরওয়ার আলম, সহ-সভাপতি ছৈয়দ আলম কমিশনার, সাংগঠনিক সম্পাদক মিজবাহউল হক প্রমুখ।
বুদ্ধিজীবি দিবসের আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন মাতামুহুরী সাংগঠনিক থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও পশ্চিম বড় ভেওলা ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ সিরাজুল ইসলাম বাবলা, চিরিংগা ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব জসিম উদ্দিন, কোনাখালী ইউপি চেয়ারম্যান দিদারুল হক সিকদার, কাকারা ইউপি চেয়ারম্যান শওকত ওসমান, মুক্তিযোদ্ধা, সকল ইউপি চেয়ারম্যানবৃন্দ সরকারি-বেসরকারি অফিসের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ,সাংবাদিক ও চকরিয়া সিটি কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা ও সুধীজন।
অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি চকরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ জাফর আলম বলেন, বাংলাদেশকে মেধা শূণ্য করতে পাকিস্তানী দোসরা দেশের সুর্য সন্তান বুদ্ধিজীবিদের হত্যা করে। ১৯৭১ সালের ডিসেম্বর মাসে স্বাধীনতা যুদ্ধের শেষ পর্যায়ে এসে পাকিস্তান বাহিনী যখন বুঝতে শুরু করে যে তাদের পক্ষে যুদ্ধে জেতা সম্ভব না, তখন তারা দেশকে সাংস্কৃতিক, সামাজিক ও শিক্ষাগত দিক থেকে দূর্বল এবং পঙ্গু করে দেয়ার পরিকল্পনা অংশ হিসেবে বুদ্ধিজিবীদের হত্যা করেন।
তিনি বলেন, বাংলার ১৬ কোটি মানুষ সুর্য সন্তান শহীদ বুদ্ধিজীবীদের হারানোর ক্ষতি আজও অনুভব করে। এই শুন্যতা বাঙ্গালি জাতি কোনদিন শোধ করতে পারবেনা। পাকিস্তানী দোসরদের এই তান্ডব অতিক্রম করে আমাদেরকে উন্নতির সিঁড়িতে পা রাখতে এতটা বছর লেগে যাচ্ছে তাঁর ইতিহাস নতুন প্রজন্মের সামনে তুলে ধরতে হবে।
স্বাধীনতার ৪৭ বছর পরও আমাদেরকে দেখতে হয়, সেই সব শহীদ বুদ্ধিজীবীদের যারা হত্যা করেছে তারা অনেকেই স্বাধীন বাংলাদেশের সমাজে ও রাজনীতিতে পুনর্বাসিত হয়েছে। যারা এ দেশের নিরপরাধ মানূষদের নৃশংসভাবে হত্যা করে নগ্ন উল্লাস করেছিল সেই পাকিস্তানি প্রেতাত্মারা আজও স্বাধীন বাংলাদেশের মাটিতে সক্রিয়। এটা আমাদের জন্য সবচেয়ে বড় লজ্জার।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।