২৪ নভেম্বর, ২০২৪ | ৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২১ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  মাকে হত্যার পর থানায় ছেলের আত্মসমর্পণ।   ●  মারমেইড বীচ রিসোর্টে বালিয়াড়ি দখল করে গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান   ●  যারা খেলাধূলা করছে, তারা বিএনপির শক্তিকে অনুধাবন করতে পারছে না   ●  উখিয়ার নতুন ইউএনও কামরুল হাসান চৌধুরী   ●  উখিয়ায় যৌথবাহিনীর অভিযানে শক্তিশালী গ্রেনেড উদ্ধার   ●  ছয় কোটি তরুণের দেয়াল লিখন বাংলাদেশের নতুন সংবিধান   ●  চকরিয়ায় ২টি ডাম্পার ট্রাক ও এক্সকেভেটর জব্দ   ●  ধরে নিয়ে যাওয়া ২০ বাংলাদেশী  জেলেকে ফেরত দিল আরাকান আর্মি   ●  মেরিন ড্রাইভে ইয়াবাসহ নারী আটক   ●  সড়ক দখল করে নৈরাজ্য সৃষ্টি, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিরুদ্ধে শ্লোগান দেয়ার অভিযোগে কক্সবাজারে আ.লীগের ৯১ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা

বাংলাদেশিকে হত্যার দায়ে মালয়েশিয়ায় দুই পুলিশের মৃত্যুদণ্ড

মালয়েশিয়ায় এক বাংলাদেশিকে হত্যার দায়ে দুই ইমিগ্রেশন পুলিশের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন দেশটির উচ্চ আদালত। শুক্রবার দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এ রায় ঘোষণা করা হয়।

বিচারপতি আবুবকর কাতার দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেন। মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রাপ্তরা হলেন, কাঙ্গার পারলিসের ইমিগ্রেশন পুলিশ মো. আমিনউদ্দিন ইয়াসিন এবং জুহাইরুল ইফিন্দি জুলকাফলি।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্তরা ২০১৪ সালের ২৯ অক্টোবর কাঙ্গার পারলিসে ৪৫ বছর বয়সী অবৈধ অভিবাসী বাংলাদেশি আবু বকর সিদ্দিককে খুন করেন।

এর আগে ২০১৫ সালের ১ অক্টোবর কানগার হাইকোর্ট তাদের বিরুদ্ধে অানিত অভিযোগের সত্যতা না পেয়ে খালাস দিয়েছিলেন। পরবর্তীতে এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করা হয়।

বিচারপতি আবুবকর কাতার জানান, আদালতে প্রতিরক্ষা প্রসিকিউশন মামলার বিরুদ্ধে যুক্তিসংগত সন্দেহ উত্থাপন করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ‘প্রসিকিউশনে সফলতার সঙ্গে অভিযোগ সঠিক প্রমাণিত হয়েছে। দোষী সাবস্ত্য হওয়ায় মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে।

এদিকে মামলার তথ্যবিবরণীতে বলা হয়, আটক আবু বকর সিদ্দিক গ্যাস্ট্রিকে আক্রান্ত ছিলেন। তিনি ওষুধ দেয়ার জন্য ওই কর্মকর্তাদের কাছে অনুরোধ করেন। তারপর সিসিটিভির ফুটেজে দেখা যায়, তাকে লকআপের বাইরে আনা হয়েছিল এবং ইমিগ্রেশনের ওই দুই কর্মকর্তার হাতে লম্বা কাঠের লাঠি ছিল। ওই সময় আবু বকরের অপর এক সঙ্গী অভিযোগ করেছিলেন যে ইমিগ্রেশন অফিসার তাকে মারধর করেছিল।

এ ঘটনার পরে আবু বকরের শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় এবং ৪ নভেম্বর ২০১৪ সালে আবুবকর মারা যান। ময়নাতদন্তে তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায় এবং একাধিক বেত্রাঘাতের ফলে নরম টিস্যু জখম হয়ে আবু বকরের মৃত্যু হয়।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।