২৫ নভেম্বর, ২০২৪ | ১০ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২২ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  ব্যাটারী চালিত ই-বাইক মালিক সমিতি মরিচ্যা ও মৌলভী পাড়া কমিটি অনুমোদন   ●  টেকনাফ সমুদ্রে গোসলে নেমে মাদ্রাসার এক ছাত্রের মৃত্যু দুই ছাত্র নিখোঁজ।   ●  মাকে হত্যার পর থানায় ছেলের আত্মসমর্পণ।   ●  মারমেইড বীচ রিসোর্টে বালিয়াড়ি দখল করে গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান   ●  যারা খেলাধূলা করছে, তারা বিএনপির শক্তিকে অনুধাবন করতে পারছে না   ●  উখিয়ার নতুন ইউএনও কামরুল হাসান চৌধুরী   ●  উখিয়ায় যৌথবাহিনীর অভিযানে শক্তিশালী গ্রেনেড উদ্ধার   ●  ছয় কোটি তরুণের দেয়াল লিখন বাংলাদেশের নতুন সংবিধান   ●  চকরিয়ায় ২টি ডাম্পার ট্রাক ও এক্সকেভেটর জব্দ   ●  ধরে নিয়ে যাওয়া ২০ বাংলাদেশী  জেলেকে ফেরত দিল আরাকান আর্মি

বাংলাদেশে নতুন ৩ লাখ ৯১ হাজার রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছে-আইওএম


এম.এ আজিজ রাসেল: আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) এর মিডিয়া সমন্বয়কারী ক্রিস লোম বলেছেন, উখিয়া, টেকনাফ ও তুমব্রু সীমান্তের জিরো পয়েন্টে দিয়ে এ পর্যন্ত ৩ লাখ ৯১ হাজার রোহিঙ্গা ঢুকে পড়েছে। এসব পয়েন্ট দিয়ে অব্যাহত রয়েছে অনুপ্রবেশ। অনুপ্রবেশ করা রোহিঙ্গাদের মাঝে ষাট শতাংশ শিশু ও নারী। তারা ঝুঁপড়িতে বসবাস করছে। আর তাদের সহায়তায় সরকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি কাজ করছে আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ইউএনএইচসিআর, আইওএম, ইউনিসেফ, ডব্লিউএফপি ও আইএসসি। পাশাপাশি কাজ করছে বিভিন্ন এনজিও সংস্থা। ১৫ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সন্ধ্যায় কক্সবাজার আইওএম’র সাব অফিসে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি উপরোক্ত বিষয় তুলে ধরেন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরো জানান, রোহিঙ্গাদের আসার স্রোত অব্যাহত থাকলে এই সংখ্যা ১০ লাখ ছাড়াতে পারে। ইতোমধ্যে বসবাস উপযোগী নতুন আশ্রয় নেয়া ১৬ হাজার পরিবারের জন্য শেট নির্মাণ করা হয়েছে। এতে মোট ৭২ হাজার রোহিঙ্গা দিনাতিপাত করছে। আরো শেট নির্মাণ করা হবে। শেটসহ ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা রোহিঙ্গাদের ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম বিস্কুট ও স্থানীয়রা প্রতিদিন ১২ হাজার মানুষকে খাবার দিচ্ছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকেও ত্রাণ আসছে। বিদেশ থেকেও ত্রাণ পাঠানো হয়েছে। জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বিদেশের ত্রাণ সমূহ বিতরণ করা হবে। তবে উদ্বেগের বিষয় হলো সরকার কর্তৃক দেয়া নির্দিষ্ট জায়গায় এখনো আলো পৌছেনি। যার জন্য রোহিঙ্গারা সেখানে থাকতে চাইছে না। তবে পল্লী বিদ্যুৎ অফিস সেখানে আলো পৌছার ব্যবস্থা করবে বলে আশ্বাস দিয়েছে। তিনি জানান, রোহিঙ্গাদের স্বাস্থ্য সেবা দিতে ভ্রাম্যমান মেডিকেল টিম মাঠে রয়েছে। আরো টিম পাঠানো হবে। শরণার্থীর সমস্যা একদিন লাঘব হবে। আজীবন তারা এখানে থাকবে না। এ জন্য জাতিসংঘ গঠনমূলক তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আইওএম এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম অফিসার সৈকত বিশ্বাস, প্লান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ এর কান্ট্রি ডিরেক্টর সৌম্য গুহ ও ইউএনএইচসিআর এর এসিস্ট্যান্ট এক্সটারনাল রিলেশনস অফিসার শওভিক দাশ তমাল।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।