বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনায় এদেশের তদন্তে যা উঠে এসেছে তা ফিলিপাইনকে দেয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন দেশটির অর্থমন্ত্রী। ফিলিপাইনের অর্থমন্ত্রী কার্লোস ডোমিনগুইজ বলেন, ঢাকার যে প্রতিবেদন, সেটাতে আমরা সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিচ্ছি।
রোববার বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের চুরি হওয়া অংশের বাকি সাড়ে ছয় কোটি ডলার উদ্ধারে গত সপ্তাহে ফিলিপাইন সফরে যায় আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের নেতৃত্বে উচ্চপর্যায়ের একটি প্রতিনিধিদল।
গত সপ্তাহে ফিলিপাইনে বাংলাদেশের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ডোমিনগুইজ। সে সময় তিনি অর্থ উদ্ধারে ফিলিপাইনের পক্ষে যতটুকু করা সম্ভব, তা করবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন। তবে এ ব্যাপারে ফিলিপাইনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত জন গোমেজ জানান, তার কাছে এখনো কিছু চাওয়া হয়নি।
এর আগে তদন্তের স্বার্থেই প্রতিবেদন প্রকাশ না করার কথা জানায় বাংলাদেশ। অপরাধীরা সচেতন হয়ে যাবে বলে কারণ দেখানো হয়।
এই দলের সঙ্গে ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতার্তের বৈঠক হওয়ার কথা থাকলেও পরে তা বাতিল হয়। রদ্রিগো দুতার্তে এর আগে চুরি যাওয়া অর্থ অবশ্যই ফেরতের দেয়া হবে বলে অঙ্গীকার করেছিলেন।
এদিকে, অপরাধীরা সচেতন হয়ে যাবে এ কারণ দেখিয়ে এর আগে ‘তদন্তের স্বার্থে’ প্রতিবেদন প্রকাশ না করার কথা জানায় বাংলাদেশ।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকে ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার সরিয়ে নেয় সাইবার অপরাধীরা। এই অর্থ ফিলিপাইনের রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং করপোরেশনের চারটি হিসাবের মাধ্যমে চলে যায় ফিলিপাইনের ক্যাসিনোতে। এই অর্থের মধ্যে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের হাতে এসেছে দেড় কোটি ডলার। বাকি সাড়ে ছয় কোটি ডলার উদ্ধারে গত সপ্তাহে ফিলিপাইন সফরে যায় আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের নেতৃত্বে উচ্চপর্যায়ের ওই প্রতিনিধিদল।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।