২৬ নভেম্বর, ২০২৪ | ১১ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৩ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  মহেশখালীতে তুলে নিয়ে সাংবাদিক মাহবু্বের উপর হামলা   ●  ব্যাটারী চালিত ই-বাইক মালিক সমিতি মরিচ্যা ও মৌলভী পাড়া কমিটি অনুমোদন   ●  টেকনাফ সমুদ্রে গোসলে নেমে মাদ্রাসার এক ছাত্রের মৃত্যু দুই ছাত্র নিখোঁজ।   ●  মাকে হত্যার পর থানায় ছেলের আত্মসমর্পণ।   ●  মারমেইড বীচ রিসোর্টে বালিয়াড়ি দখল করে গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান   ●  যারা খেলাধূলা করছে, তারা বিএনপির শক্তিকে অনুধাবন করতে পারছে না   ●  উখিয়ার নতুন ইউএনও কামরুল হাসান চৌধুরী   ●  উখিয়ায় যৌথবাহিনীর অভিযানে শক্তিশালী গ্রেনেড উদ্ধার   ●  ছয় কোটি তরুণের দেয়াল লিখন বাংলাদেশের নতুন সংবিধান   ●  চকরিয়ায় ২টি ডাম্পার ট্রাক ও এক্সকেভেটর জব্দ

বাংলাদেশের তালিকাভুক্ত অপরাধীদের কাজ দেবে না ব্রিটেন

বাংলাদেশসহ অ-ইউরোপীয় দেশগুলোর তালিকাভুক্ত অপরাধীদের কাজ দেবে না ব্রিটেন। এজন্য কাজের ভিসা পেতে আবেদনকারীদের ফরমের সঙ্গে নিজ দেশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অপরাধে জড়িত না থাকার সনদ জমা দিতে হবে। এপ্রিল মাস থেকে এ নতুন বিধির কার্যকর শুরু হতে পারে ধারনা করা হচ্ছে।

বিধিটি বর্তমানে ব্রিটেন পার্লামেন্টে অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে। বিধিটি অনুমোদিত হলে ভিসা আবেদনে বর্তমানে অপরাধমূলক তথ্যের স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তির যে বিধান রয়েছে তা বাতিল হয়ে যাবে। শিশু ও ঝুঁকিপূর্ণ প্রাপ্তবয়স্কদের নিয়ে কাজ করবেন এমন অভিবাসীদের জন্য এই বিধিটি বিশেষভাবে কার্যকর হবে।

প্রস্তাবিত এ বিধিমালা অনুসারে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন বহির্ভূত দেশগুলো থেকে শিক্ষক, সেবিকা ও সমাজকর্মী হিসেবে ব্রিটেনে বসবাস ও কাজের ভিসার (টায়ার টু ভিসা) আবেদনকারীদের এখন থেকে ফরমের সঙ্গে নিজ দেশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে না থাকার সনদ যুক্ত করতে হবে।

ব্রিটেনের অভিবাসনমন্ত্রী রবার্ট গুডউইল বলেন, ‘সমাজের ঝুঁকিপূর্ণ মানুষদের নিয়ে বিদেশি অপরাধীদের কাজ করার কোনো সুযোগই থাকা উচিত নয়। অপরাধীদের ভিসা না দেয়ার অধিকার আমাদের আগে থেকেই আছে। অপরাধের তথ্য যাচাই শিশু ও ঝুঁকিপূর্ণ প্রাপ্তবয়স্কদের নিরাপত্তায় অতিরিক্ত আরেকটি স্তর তৈরি করবে। ’

ব্রিটিশ সরকারের পরিকল্পনা অনুসারে, এপ্রিল থেকে কার্যকর হওয়া এই বিধি অনুসারে টায়ার টু বিভাগে নির্দিষ্ট পেশার জন্য আবেদনকারীদের অপরাধবিষয়ক তথ্য যাচাই করা হবে। আবেদনকারীদের দেশের সংশ্লিষ্ট দেশের কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে গত ১ থেকে ১০ বছরে অপরাধে জড়িত না থাকার সনদ সংগ্রহ করতে হবে এবং তা ফরমের সঙ্গে জমা দিতে হবে। কোনো আবেদনকারীর সহযোগী থাকলে তাকেও এই সনদ দিতে হবে।

বিধিতে বলা হয়েছে, যদি কোনো দেশে ‘যৌক্তিক কারণে’ এ ধরনের সনদ দেয়ার প্রক্রিয়া না থাকে তাহলে বিধিটি শিথিল করা হতে পারে।

ব্রিটেনের প্রচলিত ভিসা আইনে, কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে যদি চার মাস বা তার বেশি মেয়াদের কারাদণ্ডের রায় থাকে তাহলে ব্রিটিশ সরকার ওই ব্যক্তিকে ভিসা না দেয়ার অধিকার রাখে। এর চেয়ে কম মেয়াদে কারাদণ্ডের রায় থাকা ব্যক্তিদের সাজাভোগের পর থেকে সর্বোচ্চ দশ বছরের জন্য ব্রিটেনে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করার বিধানও রয়েছে আইনে।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।