২৪ নভেম্বর, ২০২৪ | ৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২১ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  মাকে হত্যার পর থানায় ছেলের আত্মসমর্পণ।   ●  মারমেইড বীচ রিসোর্টে বালিয়াড়ি দখল করে গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান   ●  যারা খেলাধূলা করছে, তারা বিএনপির শক্তিকে অনুধাবন করতে পারছে না   ●  উখিয়ার নতুন ইউএনও কামরুল হাসান চৌধুরী   ●  উখিয়ায় যৌথবাহিনীর অভিযানে শক্তিশালী গ্রেনেড উদ্ধার   ●  ছয় কোটি তরুণের দেয়াল লিখন বাংলাদেশের নতুন সংবিধান   ●  চকরিয়ায় ২টি ডাম্পার ট্রাক ও এক্সকেভেটর জব্দ   ●  ধরে নিয়ে যাওয়া ২০ বাংলাদেশী  জেলেকে ফেরত দিল আরাকান আর্মি   ●  মেরিন ড্রাইভে ইয়াবাসহ নারী আটক   ●  সড়ক দখল করে নৈরাজ্য সৃষ্টি, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিরুদ্ধে শ্লোগান দেয়ার অভিযোগে কক্সবাজারে আ.লীগের ৯১ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা

বাংলাদেশের রাজনীতি, ইসি নিয়ে আগ্রহী হয়ে উঠছে পশ্চিমা বিশ্ব

বাংলাদেশের রাজনীতি, নবগঠিত নির্বাচন কমিশন (ইসি) ও ২০১৯ সালে অনুষ্ঠেয় জাতীয় নির্বাচন নিয়ে আগ্রহী হয়ে ওঠেছে পশ্চিমা বিশ্ব। ২০১৪ সালের সাধারণ নির্বাচনের পরে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে পশ্চিমা বিশ্ব চরম উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল। নির্বাচন কমিশন ইস্যুতেও দূরে সরিয়ে রেখেছিল নিজেদের। প্রায় তিন বছরের মাথায় এসে এসব বিষয়ে আবারও আগ্রহী হয়ে উঠতে দেখা যাচ্ছে দেশগুলোকে।

নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের আগে জানুয়ারি মাসে জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধিসহ যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের সঙ্গে দেখা করতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি পাঠায়। এর আগে নভেম্বরে একই গোষ্ঠী একই বিষয়ে আলোচনার জন্য রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিল। কিন্তু দু’বারই ইসি গঠনের বিষয়ে বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে আলোচনায় আগ্রহ দেখায়নি বাংলাদেশ।

এদিকে, জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি রবার্ট ওয়াটকিন্স, ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত পিয়েরে মায়াদুন ও যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট সম্প্রতি গণতন্ত্র শক্তিশালীকরণ ও নির্বাচন কমিশনের প্রকল্পে কাজ করার আগ্রহের কথা জানিয়েছেন।

জানুয়ারিতে রবার্ট ওয়াটকিন্স সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘ইসিও গণতন্ত্র শক্তিশালীকরণ প্রকল্পে জাতিসংঘের কাজ করার বিষয় নিয়ে পশ্চিমা বিশ্বের রাষ্ট্রদূতরা রাষ্ট্রপতির সঙ্গে আলোচনা করতে চান।’

ইইউ দীর্ঘদিন ধরে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করছে। কিন্তু ২০১৪ সালের নির্বাচনের পরে ইইউ তাদের প্রকল্পের সংখ্যা কমিয়ে দেয়। বর্তমানে তাদের কোনও প্রকল্পও নেই। ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত ফেব্রুয়ারিতে বলেন, ‘যদি নতুন নির্বাচন কমিশন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, দাতা সংস্থা ও বিশেষ করে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের কাছে কোনও নির্দিষ্ট অনুরোধ করে, তবে অবশ্যই আমরা সেটি বিবেচনা করব।’

গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করতে যুক্তরাষ্ট্র কখনও সহায়তা বন্ধ করেনি। তবে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে তাদের প্রকল্প শেষ হয়ে গেছে। এখন নতুন নির্বাচন কমিশন এবং সরকার চাইলে, তারা নতুন করে প্রকল্প গ্রহণের বিষয়টি বিবেচনা করবে।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনের সচিব মোহাম্মাদ আবদুল্লাহ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য বিদেশি সাহায্যের বিষয়ে আমাদের কোনও আপত্তি নেই।’

তিনি বলেন, ‘একটি প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য আমরা অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) মাধ্যমে বিদেশি সংস্থাদের সহায়তা চেয়েছিলাম। কিন্তু কেউ আগ্রহ দেখায়নি। অবশেষে দুই মাস আগে আমরা সরকারি অর্থায়নে প্রকল্পটি বাস্তবায়নে অনুমোদনের জন্য একনেকে পাঠিয়েছি।’

যুক্তরাষ্ট্র বা ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছে সহায়তা চাওয়া হয়েছিল কিনা জানতে চাইলে মোহাম্মাদ আবদুল্লাহ বলেন, ‘এটি আমি জানি না। এটি ইআরডি আলোচনা করেছে।’

নির্বাচন কমিশনের সচিব আরও বলেন, ‘প্রকল্পটি এখনও অনুমোদন হয়নি। অনুমোদন হওয়ার আগে কোনও বিদেশি সহায়তা পাওয়া গেলে আমরা পরিবর্তন করে একনেকে অনুমোদনের জন্য পাঠাব।’

বাংলাদেশে ১০ কোটির ওপর ভোটারদেরকে স্মার্ট কার্ড প্রদান, ইসি ও এর কর্মকর্তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধি বিষয়ে বিদেশিরা সাহায্য করতে পারে বলে তিনি জানান। বাইরের সহায়তা পেলে এ প্রকল্পগুলো আকারে আরও বড় হতে পারে বলেও জানান তিনি।

বিদেশি কোনও রাষ্ট্রদূত বা সংস্থা নবগঠিত নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছে কিনা জানতে চাইলে মোহাম্মাদ আবদুল্লাহ বলেন, ‘নরডিক তিনটি দেশের রাষ্ট্রদূত ও কয়েকজন বিশেষজ্ঞ আগামী ১২ মার্চ গোটা কমিশনের সঙ্গেই বৈঠক করবে।’ বৈঠকের আলোচ্য বিষয় কী হতে পারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি তারা পরিষ্কার করে বলেননি। তবে আমার ধারণা, আমাদের সমস্যা ও সম্ভাবনা এবং আমরা তাদের থেকে কী সহযোগিতা নিতে পারি তা নিয়ে হয়তো তারা আলাপ করতে চান।’

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।