৮ এপ্রিল, ২০২৫ | ২৫ চৈত্র, ১৪৩১ | ৯ শাওয়াল, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  কৃষকদল নেতা পরিচয়ে জমি দখল গুলি বর্ষণ আটক ১   ●  উখিয়া রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনারের ৫ সদস্যের প্রতিনিধিদল পরিদর্শন   ●  প্রথম ধাপে এক লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গাকে ফেরত নিতে রাজি মিয়ানমার   ●  পালং আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় এসএসসি’১৮ ব্যাচের ইফতার মাহফিল সম্পন্ন   ●  উখিয়া সমাজসেবা কর্মচারীর নামে বিধবা ভাতা’র টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ   ●  ‘পটভূমি পরিবর্তনের জন্য সাংবাদিকদের ভূমিকা অনস্বীকার্য’ – সরওয়ার জাহান চৌধুরী   ●  উখিয়ার বরণ্য রাজনৈতিক মৌলভী আবদুল হকের ১৯ তম মৃত্যু বার্ষিকী ২০ মার্চ   ●  হাসিঘর ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ ভলান্টিয়ার সিজন-১ এর ফল প্রকাশিত   ●  মিরসরাই প্রেসক্লাবের ইফতার ও সুধী সমাবেশ   ●  বন কার্যালয় পুড়িয়ে দেওয়ার হুমকির ভিডিও ভাইরাল, নিরাপত্তা চেয়ে জিডি

বাইশারীর মিরঝিরি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় একজন মাত্র শিক্ষক দিয়ে চলছে পাঠদান

At- 07.03.2015
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নের চারিদিকে পাহাড় বেষ্টিত জায়গায় অবস্থিত আলীক্ষ্যং মিরঝিরি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। এ বিদ্যালয়ে একশতাধিক শিক্ষার্থীর জন্য রয়েছে মাত্র একজন শিক্ষক। ব্যাহত হচ্ছে পাঠদান। এছাড়া প্রাইমারী স্কুল সার্টিফিকেট (পিএসসি) পরীক্ষা নিয়ে অভিভাবকরা আছেন মহা-চিন্তায়।
এ বিদ্যালয়ে চার পদে কর্মরত রয়েছেন মাত্র একজন। এই একজন শিক্ষককেই পাঠদানের পাশাপাশি ব্যবস্থ থাকতে হয় প্রশাসনিক কাজে। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্যদেরও স্কুলের প্রতি আগ্রহ নেই বললে চলে।
সরজমিনে দেখা যায়, চারিদিকে পাহাড় মাঝে মিরঝিরি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। তখন বাজে মাত্র এগারটা। শিক্ষার্থীরা স্কুল মাঠে খেলাধুলায় মত্ত। স্কুলে কোন শিক্ষক নেই। পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী রেশমা আক্তার ও মোর্শেদা আক্তার জানান, নতুন বছরে একজন মাত্র শিক্ষক দিয়ে আমাদের ক্লাস চলছে। তাও মাঝে মধ্যে বন্ধ থাকে। এভাবে লেখাপড়া করে কিভাবে পিএসসি পরীক্ষা দেব? আমরা পিএসসি পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করতে চাই।
গনমাধ্যমকর্মীরা স্কুলে এসেছে শুনে ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবক থেকে শুরু করে মৌজা হেডম্যান, স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি সহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গরা ছুটে এসে মনের ক্ষোভ প্রকাশ করতে থাকেন।
অভিভাবক মোঃ ইউনুছ, আনোয়ার হোসেন, ক্যজ মার্মা সহ অন্যান্যরা বলেন, স্কুলের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষরা আমাদের ছেলেমেয়েদের গলাটিপে হত্যা করছেন। আমাদের ছেলেমেয়েরা পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ছে। কিন্তু বিদ্যালয়ে ঠিকমতো পড়ালেখা হচ্ছে না। এ অবস্থা চলতে থাকলে পিএসসি পরীক্ষায় ফলাফল খারাপ করবে। তারা পর্যাপ্ত শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার দাবী জানান।
মৌজা হেডম্যান মংথোয়াইহ্লা মার্মা জানান, শিক্ষক না থাকায় এই দূর্গম অঞ্চলের পাহাড়ী বাঙ্গালী শিক্ষার্থীরা শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। বিদ্যালয়ের জন্য নতুন ভবন নির্মাণ এবং শিক্ষক নিয়োগ জরুরী। এ জন্য তিনি জেলা পরিষদের হস্থক্ষেপ কামনা করেছেন।
ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোবাশ্বের হোসেনের নিকট মুঠোফোনে জানতে চাইলে জানান, বিদ্যালয়টি ভৌগোলিকভাবে গহীন অরণ্যে অবস্থিত। এখানকার যোগাযোগ ব্যবস্থা ভাল না। শিক্ষকের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে অবহিত করা হয়েছে এবং আগামী দুই মাসের ভিতরে শিক্ষক নিয়োগের ব্যাপারে তিনি আশ্বস্থ করেন।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোঃ আনিসুর রহমান বলেন, বিদ্যালয়টি ১৯৮০ সালে প্রতিষ্ঠিত এবং ১৯৮৫ সালে জাতীয়রকরণ করা হয়। বিগত দিনে তিন জন শিক্ষক দিয়ে স্কুলে পাঠদান দিয়ে আসলেও নতুন বছরে মাত্র একজন শিক্ষক দিয়ে চলছে পাঠদান। শিক্ষক সংকটের কারণে এলাকার মানুষ ছেলেমেয়ের পড়ালেখার জন্য চিন্তায় আছেন। এহেন পরিস্থিতির কথা আমরা উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে বিদ্যালয়ের সার্বিক সমস্যা জানিয়েছি এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করেছি।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।