প্রেস বিজ্ঞপ্তি;
কক্সবাজারের বাকঁখালী নদী রক্ষায় হাইকোর্টের নির্দেশ বাস্তবায়ন না করে উল্টো আরএস ও বিএস সিট মোতাবেক অবৈধ দখলদার কর্তৃক কি পরিমাণ জমি দখল করা হয়েছে, কারা দখল করেছে তা চিহ্নিত করার বিষয় উল্লেখ করে পরিবেশ অধিদপ্তর কর্তৃক একটি কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ আদালতের নির্দেশের সুস্পস্ট লংঘন। তাই বাকঁখালী নদী রক্ষায় যাবতীয় সিদ্ধান্ত ও পদক্ষেপ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী গ্রহণের অনুরোধ জানিয়ে ১২ সরকারী কর্মকর্তাকে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা)। অন্যথায় এসব সরকারী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলা হয়েছে চিঠিতে। বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) পক্ষে সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবি এস হাসানুল বান্না ২৩ মে ডাকযোগে ১২ সরকারী কর্মকর্তার কাছে এ চিঠি পাঠিয়েছেন।
যাদেরকে চিঠি দিয়েছেন তারা হলেন, পরিবেশ অধিদপ্তরের চট্রগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক ও কক্সবাজারের উপ-পরিচালক, কক্সবাজার সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভুমি), মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সচিব, জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান, চট্রগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার, কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক, কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক ও কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবি এস হাসানুল বান্না।
বেলার পক্ষ থেকে দেওয়া চিঠিতে বলা হয়েছে, গত ৭ এপ্রিল ২২.০২.১৫০০.২০২.৫৮.০৪২.২১.৮০ স্মারকবাহী চিঠিতে একটি কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত গ্রহণের কথা বলা হয়েছে। চিঠি অনুযায়ী এ কমিটির কার্যপরিধির ২ নং ক্রমিকে বাকঁখালী নদীর আরএস ও বিএস সিট মোতাবেক অবৈধ দখলদার কর্তৃক কি পরিমাণ নদী দখল করা হয়েছে, কারা দখল করেছে তা চিহ্নিত করার বিষয় উল্লেখ রয়েছে। অথচ কক্সবাজারের বাকঁখালী নদীকে সংরক্ষণ করতে ও অবৈধ দখল এবং দূষণ থেকে রক্ষা করে নদীকে তার পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) ২০১৪ সালে হাইকোর্টে একটি রিট মামলা দায়ের করে। উক্ত মামলার প্রেক্ষিতে এবং প্রাথমিক শুনানী শেষে একই বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর সিএস ম্যাপ অনুযায়ী নদীর সীমানা নির্ধারণ অবৈধ দখলদার ও দূষণকারীর হাত থেকে নদীকে সংরক্ষণ বিষয়ে রুল জারি করে হাইকোর্ট।
আদালতের এহেন সুস্পষ্ট নির্দেশনা থাকা সত্তে¦ও উল্লেখিত কমিটির কার্যপরিধিতে আরএস ও বিএস জরিপ অনুযায়ী অবৈধ দখলদারদের তালিকাকরণ আদালতের নির্দেশের সাথে অসামঞ্জস্যপূর্ণ ও আদালতের নির্দেশের স্পষ্ট লংঘন।
চিঠিতে আরো বলা হয়েছে আদালতের নির্দেশের দীর্ঘ সময় অতিবাহীত হলেও এখনো আদালতের নির্দেশ প্রতিপালনে উল্লেখিত ১২ সরকারী কর্মকর্তাগণের পক্ষ থেকে কার্যকর কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। এসব সরকারী কর্মকর্তারা আদালতের নির্দেশ পালন না করে বাকঁখালী নদীর দখল ও দূষণ বন্ধ করতে চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে, সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে নদীর জমিতে বিদ্যমান স্থাপনা উচ্ছেদ করতে।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।