যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর দ্বিতীয় রাতের মতো চলছে ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভ। ট্রাম্পের জন্য বিপদের কারণ হলো- বিক্ষোভ ধীরে ধীরে সহিংস আকার ধারণ করছে। দেশটির ২৫টিরও বেশি শহরে বিক্ষোভে হাজার হাজার মানুষ অংশ নিয়েছে। বিক্ষোভ থেকে পুলিশের ওপর হামলা, গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে। পুলিশ বলছে, সহিংস বিক্ষোভকে দাঙ্গা হিসেবে বিবেচনা করা উচিত।
সবচেয়ে সহিংস বিক্ষোভের ঘটনা ঘটেছে দেশটির ওরিগনের পোর্টল্যান্ড শহরে। সেখানে পুলিশকে লক্ষ্য করে প্রজেক্টাইল মিসাইল নিক্ষেপ করেছে বিক্ষোভকারীরা।
ওরিগন পুলিশ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে দেয়া এক টুইটে বলেছে, বিক্ষোভকারীরা ব্যাপক অপরাধ ও বিপজ্জনক আচরণ প্রদর্শন করছেন। এটিকে দাঙ্গা হিসেবে বিবেচনা করা উচিত। টুইটে পুলিশের ওপর প্রজেক্টাইল মিসাইল নিক্ষেপ ও গাড়ি ভাঙচুরের তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
মঙ্গলবারের নির্বাচনের পর বৃহস্পতিবার রাতেও বিক্ষোভ অব্যাহত রাখে বিরোধীরা। যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলস, ফিলাডেলফিয়া, ডেনেভার, মিনেপোলিস, অকল্যান্ড, ক্যালিফোর্নিয়াসহ ২৫টিরও বেশি শহরে বিক্ষোভ চলছে।
ওরিগনের পোর্টল্যান্ড পুলিশ বিক্ষোভ থেকে বেশ কয়েকজনকে আটক করেছে বলে স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে জানানো হয়েছে। এছাড়া শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের শহরের পাইওনিয়ার কোর্টহাউস স্কয়ারের দিকে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে পুলিশ।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।