মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মাদকের বিরুদ্ধে “জিরো টলারেন্স’’ নীতি ঘোষণার প্রেক্ষিতে করোনা ভাইরাস এর মহামারীর মধ্যেও বিজিবি তাদের নিজ কর্তব্যে অটুট থেকে দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় বিশেষ মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করছে। এরই ধারাবাহিকতায় অত্র ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক বিএ-৫৮০৩ লেঃ কর্নেল ইব্রাহীম ফারুক, এএসসি নিজস্ব গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারেন যে, ঢাকা থেকে টেকনাফ পটেটো চিপস এবং চানাচুর নিয়ে আসা একটি কাভার্ডভ্যান ফিরতি পথে (চট্ট মেট্টো ট-১১-৫৬৬২) প্রচুর পরিমাণ ইয়াবার চালান নিয়ে ঢাকা গমন করবে। উক্ত তথ্যের উপর ভিত্তি করে অত্র ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক অদ্য ০৬ আগস্ট ২০২১ তারিখ আনুমানিক ০৯০০ ঘটিকায় মরিচ্যা যৌথ চেকপোস্টে গমন করেন এবং মরিচ্যা বাজার ও মরিচ্যা যৌথ চেকপোস্টে তল্লাশী কার্যক্রম জোরদার করেন। পরবর্তীতে মরিচ্যা যৌথ চেকপোস্টে আনুমানিক ০৯৩০ ঘটিকায় কাভার্ডভ্যানটি আসলে তল্লাশীর জন্য থামানো হয়। অধিনায়ক কর্তৃক চালক মোঃ শরিফ উল্লাহ (২৫), পিতা-মোঃ ফেরদৌস আলম, গ্রাম-চরদরবেশ, পোস্ট- উক্তর ওয়াবদা, থানা+জেলা-নোয়াখালী এবং হেলপার সাদ্দাম হোসেন (৩১), পিতা- আব্দুল আজিজ পলোয়ান, গ্রাম- চরআইচা, পোস্ট-দক্ষিণ চর আইচা, থানা-চরফ্যাশান, জেলা- ভোলাকে ইয়াবা পাচারের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা তা অস্বীকার করে। এতদপ্রেক্ষিতে মরিচ্যা যৌথ চেকপোস্টে কর্তব্যরত বিজিবি সদস্যদের দ্বারা তাদেরকে এবং কাভার্ডভ্যানটি পুঙ্খানুপুঙ্খরুপে তল্লাশী করা হলে চালকের কেবিনের মধ্যে বিশেষভাবে (কোমল পানীয়র বোতলের মধ্যে) লুকায়িত অবস্থায় ২,১০,০০,০০০/- টাকা মূল্যের ১৫ বোতলে (৫০০ এম এল) ৭০,০০০ পিস বার্মিজ ইয়াবা* উদ্ধার করা হয়। এছাড়াও ২৫,০০,০০০/- টাকা মূল্যের ০১ টি কাভার্ডভ্যান এবং ২০,০০০/- টাকা মূল্যের ০২ টি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। পরবর্তীতে চালক স্বীকার করেছেন যে, তিনি ঢাকা থেকে পটেটো চিপস, চানাচুর এসেছিলেন এবং ফেরার পথে তিনি টাকার জন্য ইয়াবাগুলি নিয়ে যাচ্ছিলেন।
আটককৃত মালামালের সর্বমোট সিজার মূল্য- ২,৩৫,২০,০০০/- (দুই কোটি পঁয়ত্রিশ লক্ষ বিশ হাজার) টাকা এবং ধৃত আসামী ০২ জন। আটককৃত আসামীদ্বয়কে (বাংলাদেশী নাগরিক) জব্দকৃত ইয়াবা ট্যাবলেট, কাভার্ডভ্যান এবং মোবাইল ফোনসহ নিয়মিত মামলার মাধ্যমে রামু থানায় হস্তান্তর করা হবে।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।