শাহেদ মিজান:
করোনার এই ডামাডোলে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা বাদ দিয়ে অসহায়দের সাহার্য্যে উল্টো বিশাল অংকের টাকা অনুদান দিলেন উখিয়ার নবদম্পতি। তারা হলেন উখিয়া কুতুপালং এলাকার বখতিয়ার উদ্দীন মেম্বারের পুত্র হেলাল উদ্দীন ও রাজাপালং ইউনিয়নের ডিগলিয়াপালং এলাকার আবদুর রহিমের মেয়ে উম্মে সালমা। গত ২৭ মার্চ তাদের বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা ছিলো। করোনার কারণে তা বাতিল করেছেন। উপরস্তু করোনার কারণে কাজকর্ম বন্ধ হয়ে অসহায় পড়া মানুষের জন্য ৫০হাজার টাকা অনুদান দিলেন এই নবদম্পতি। দুটি ফান্ডে এই টাকা দিয়েছেন। ‘কক্সবাজার নাগরিক ঐক্য’র অন্যতম সমন্বয়ক সাংবাদিক ইমরুল কায়েস চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ইমরুল কায়েস চৌধুরী জানান, উখিয়া কুতুপালং এলাকার বখতিয়ার উদ্দীন মেম্বারের পুত্র হেলাল উদ্দীন। তরুণ সমাজসেবক হিসেবে এলাকায় তার ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে। একাকিত্ব জীবনের অবসান ঘটিয়ে হেলাল উদ্দীন যুগল জীবনে পদাপর্ণ করেছেন। রাজাপালং ইউনিয়নের ডিগলিয়াপালং এলাকার আবদুর রহিমের মেয়ে উম্মে সালমার সাথে হেলাল উদ্দীনের বিয়ে পাকাপাকি হয়। বিয়ের দীর্ঘ পূর্ব পরিকল্পনা অংশ হিসেবে গত ২৭ মার্চ ছিলো তাদের বিয়ের সার্বিক অনুষ্ঠান। উখিয়া পালং গার্ডেনে এই আয়োজন হওয়ার কথা ছিলো। দাওয়াত ছিলো ১৫০০ অতিথির। এর মধ্যে করোনার কারণে গণজমায়েত নিষিদ্ধ এবং লকডাউন হওয়ায় হেলাল উদ্দীন তার বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা বাতিল করেছেন।
শুধু বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা বাতিল নয়; পাশাপাশি করোনার কারণে কাজকর্ম বন্ধ হয়ে অসহায় পড়া মানুষের জন্য ৫০হাজার টাকা অনুদান দিলেন হেলাল উদ্দীন দম্পতি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে যুবক হেলাল উদ্দীন বলেন, দীর্ঘদিনের পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক বিয়ের সব ধরণের আয়োজন ছিলো ২৭ মার্চ। কিন্তু করোনার কারণে শুধু আকদ সম্পন্ন করা হয়েছে। সেখানে দুই পরিবারের মাত্র কয়েকজন সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
তিনি দেশের এমন পরিস্থিতিতে প্রথম গণজমায়েত নিষিদ্ধ। তার সাথে লকডাউনের কারণে অনেক মানুষ অসহায় পড়েছে। এমন পরিস্থিতি বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা ভালো লাগবে না। একই সাথে বিয়ের ‘বরকত’ কামনায় অর্থ অনুদান দিয়ে আমরা অসহায় মানুষের কষ্টের ভাগিদার হলাম।’ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে গেলে বড় পরিসরে বৌভাত অনুষ্ঠান করা হবে বলে জানিয়েছেন যুবক হেলাল উদ্দীন।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।