২৩ এপ্রিল, ২০২৫ | ১০ বৈশাখ, ১৪৩২ | ২৪ শাওয়াল, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  টেকনাফে যৌথ বাহিনীর সঙ্গে ডাকাতদলের গোলাগুলি, গুলিবিদ্ধ ১   ●  সিবিআইইউ’তে বর্ণাঢ্য আয়োজনে বাংলা নববর্ষ উদযাপন হয়েছে।   ●  গভীর রাতে পাহাড়ের মাটিভর্তি একটি ড্রাম ট্রাক( ডাম্পার) জব্দ করেছে কক্সবাজার বনবিভাগ   ●  অস্ত্র উদ্ধার ও ওয়ারেন্ট তামিলে জেলার শ্রেষ্ঠ হলেন এসআই খোকন কান্তি রুদ্র   ●  উখিয়ায় সাংবাদিক জসিম আজাদের জমি ও বসতবাড়ি দখলের চেষ্টায় হামলা   ●  কৃষকদল নেতা পরিচয়ে জমি দখল গুলি বর্ষণ আটক ১   ●  উখিয়া রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনারের ৫ সদস্যের প্রতিনিধিদল পরিদর্শন   ●  প্রথম ধাপে এক লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গাকে ফেরত নিতে রাজি মিয়ানমার   ●  পালং আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় এসএসসি’১৮ ব্যাচের ইফতার মাহফিল সম্পন্ন   ●  উখিয়া সমাজসেবা কর্মচারীর নামে বিধবা ভাতা’র টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ

বিশ্বাস ফিরিয়ে আনা নতুন ইসির প্রথম চ্যালেঞ্জ

রাজধানীতে এক গোলটেবিল আলোচনায় বক্তারা বলেছেন, মানুষের প্রশ্ন, তাঁরা ভোট দিতে পারবেন কি না। নতুন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কাছে বড় চ্যালেঞ্জ হলো নির্বাচন নিয়ে মানুষের এই ধারণা পাল্টানো। মানুষের বিশ্বাস ফিরিয়ে আনা, আস্থা অর্জন করা। তবে শুধু ইসির সদিচ্ছা দিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না, এ জন্য নির্বাচনকালীন যে সরকার থাকবে, তাদের মনোভাব গুরুত্বপূর্ণ।

আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) ‘নতুন নির্বাচন কমিশনের সামনে চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক ওই গোলটেবিল আলোচনার আয়োজন করে।

আলোচনায় অংশ নিয়ে সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ টি এম শামসুল হুদা বলেন, আস্থা অর্জন করা নতুন কমিশনের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কমিশনের কথাবার্তায়, কাজেকর্মে জনমনে এই আস্থা তৈরি হতে হবে যে এই কমিশন দলবাজি করবে না। কোনো ধরনের সংশয় যেন তৈরি না হয়। তিনি নতুন কমিশনকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করার পরামর্শ দেন। নির্বাচন কমিশনের নাম ‘নির্বাচন কমিশন বাংলাদেশ’ লেখারও সমালোচনা করেন তিনি।

গবেষক ও প্রাবন্ধিক সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, নির্বাচনে সব দলের জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করা কমিশনের দায়িত্ব। নৈতিক বলপ্রয়োগ ছাড়া শুধু প্রশাসনিক দক্ষতা দিয়ে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করা সম্ভব নয়।

সাবেক নির্বাচন কমিশনার এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, মানুষের ধারণা পাল্টানো এই কমিশনের জন্য প্রথম চ্যালেঞ্জ। এখন রাস্তাঘাটের প্রশ্ন, মানুষ ভোট দিতে পারবে কি না। ভোট নিয়ে মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনাই প্রথম চ্যালেঞ্জ। তিনি বলেন, সংবিধান পরিবর্তন হবে বলে মনে হয় না। এটি মাথায় রেখে এখন থেকেই ন্যূনতম গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচন করার জন্য কাজ করতে হবে। আইনের প্রচুর সংস্কার করতে হবে। শুধু নির্বাচন কমিশন দিয়ে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করা সম্ভব নয়, নির্বাচনকালীন সরকারের মনোভাবও গুরুত্বপূর্ণ।

সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার বলেন, নতুন কমিশনের অংশীজনদের আস্থায় নিয়ে কাজ করতে হবে। তিনি জাতীয় নির্বাচনের আগে বিভিন্ন উপনির্বাচন ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনে সীমিত পর্যায়ে ই-ভোটিং চালু করার পরামর্শ দেন।

মূল প্রবন্ধে সুজনের সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার নতুন কমিশনের সামনে ১৯টি চ্যালেঞ্জ তুলে ধরেন। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো কমিশনারের সংখ্যা, কমিশনের স্বাধীনতা ও নিরপেক্ষতা অক্ষুণ্ন রাখা, প্রেষণে কর্মকর্তা নিয়োগ, সংস্কার কার্যক্রম অব্যাহত রাখা, আইনি কাঠামোতে পরিবর্তন আনা, আইনের প্রয়োগ, ভোটার তালিকা তৈরি, সীমানা পুনর্নির্ধারণ করা, মনোনয়নের ক্ষেত্রে ‘উড়ে এসে জুড়ে বসার’ সমস্যা দূর করা, সহিংসতা রোধ, আচরণবিধি মেনে চলা নিশ্চিত করা ইত্যাদি।

বদিউল আলম মজুমদার বলেন, গত কমিশনের ব্যর্থতা নির্বাচনী ব্যবস্থাকে খাদে ফেলে দিয়েছে এবং নির্বাচনী ব্যবস্থার ওপর জন-অনাস্থা তৈরি হয়েছে। নতুন কমিশন বিতর্কমুক্ত গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে সক্ষম হবে বলে তিনি আশা করেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আসিফ নজরুল বলেন, কমিশনের যোগ্যতা ও সদিচ্ছা থাকলেও তা প্রয়োগের পরিবেশ আছে কি না, সেটি দেখতে হবে। নির্বাচনকালীন একটি সহায়ক সরকারব্যবস্থা না থাকলে নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।

সুজনের সভাপতি এম হাফিজ উদ্দিন খানের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে সাবেক বিচারপতি আবদুল মতিন, গণমাধ্যম বিশেষজ্ঞ মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর প্রমুখ বক্তব্য দেন।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।