২৩ নভেম্বর, ২০২৪ | ৮ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২০ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  মাকে হত্যার পর থানায় ছেলের আত্মসমর্পণ।   ●  মারমেইড বীচ রিসোর্টে বালিয়াড়ি দখল করে গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান   ●  যারা খেলাধূলা করছে, তারা বিএনপির শক্তিকে অনুধাবন করতে পারছে না   ●  উখিয়ার নতুন ইউএনও কামরুল হাসান চৌধুরী   ●  উখিয়ায় যৌথবাহিনীর অভিযানে শক্তিশালী গ্রেনেড উদ্ধার   ●  ছয় কোটি তরুণের দেয়াল লিখন বাংলাদেশের নতুন সংবিধান   ●  চকরিয়ায় ২টি ডাম্পার ট্রাক ও এক্সকেভেটর জব্দ   ●  ধরে নিয়ে যাওয়া ২০ বাংলাদেশী  জেলেকে ফেরত দিল আরাকান আর্মি   ●  মেরিন ড্রাইভে ইয়াবাসহ নারী আটক   ●  সড়ক দখল করে নৈরাজ্য সৃষ্টি, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিরুদ্ধে শ্লোগান দেয়ার অভিযোগে কক্সবাজারে আ.লীগের ৯১ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা

বৃষ্টি হলেই জনদুর্ভোগ, কর্দমাক্ত ও জলজটে নাকাল পৌরবাসী

শাহীন রাসেল:

কক্সবাজারে কয়েকদিন ধরে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। তবে সোমবার (২০ জুলাই) বিকেল থেকে মুষলধারায় বৃষ্টি হয়েছে। কর্মব্যস্ত দিনে বৃষ্টিতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। এ সময় বাইরে থাকা মানুষের অনেকেই ভিজে একাকার হয়ে যান। বিকেল ৫টার দিকে শুরু হওয়া বৃষ্টি মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত বৃষ্টি ছিল।

এরপর পৌরবাসীর চলাচল স্বাভাবিক হলেও সড়কে জমে থাকা পানির কারণে সীমাহীন ভোগান্তির শিকার হতে হয়েছে অনেক এলাকায়।

বুধবার সকালে সরেজমিন দেখা গেছে, শহরের বিডিআর ক্যাম্প, আলীর জাঁহাল সড়কের কয়েক স্থানে পানি জমে রয়েছে। কাদা ও বৃষ্টির পানিতে পুরো এলাকা ছিল মাখামাখি। সেসময় এসব সড়কে চলাচলকারীদের সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে দেখা গেছে।

একই চিত্র ছিল উপজেলা গেইট, টার্মিনাল, শহরের বড় বাজার, পেশকার পাড়া, বার্মিজ মার্কেট, বাজারঘাটা, প্রেসক্লাব রোড, বৌদ্ধ মন্দির সড়ক, গোলদিঘির পাড়, টেকপাড়া, তারাবানিয়ার ছড়া, পাহাড়তলি রোড এলাকায়। কলাতলীর বেশকিছু সড়কও বেহাল লক্ষ করা গেছে। অপরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা ও উন্নয়ন কাজের কারণে এসব এলাকায় বেশি ভোগান্তির সৃষ্টি হয়েছে।

মন্থরগতির উন্নয়ন কাজের কারণে জনদুর্ভোগ সহ্যের বাইরে চলে গেছে। কিন্তু এসব দেখার যেন কেউ নেই। প্রতিবছর বর্ষা মৌসুম এলেই নালা নর্দমা ভরাট হয়ে যাওয়া ও ড্রেনের পরিকল্পনার জন্য শহরবাসীর অনেক দুর্ভোগ হয়। এবারও ব্যতিক্রম হচ্ছে না।

বার্মিজ মার্কেট এলাকার গৃহবধূ আসমা আক্তার বলেন, সামান্য বৃষ্টি হলেই টেকপাড়ার, বার্মিজ মার্কেট, বাজারঘাটা এলাকার সড়কগুলো গ্রামের মেঠো পথের আকার ধারণ করে। এ অবস্থায় বাচ্চাদের স্কুলে আনা-নেয়ায় সীমাহীন ভোগান্তির মুখে পড়তে হয়। সড়ক ও ড্রেনেজ সংস্কারে প্রতিবছরই উন্নয়ন কাজ হচ্ছে। অথচ আমরা এর কোনো সুফল পাচ্ছি না।

পেশকার পাড়ার বাসিন্দা জাকিরিয়া বলেন, বৃষ্টি প্রকৃতির আশীর্বাদ হলেও আমাদের জন্য দুঃখ মনে হয়। সামান্য বৃষ্টিতেই বড় বাজার, পেশকার পাড়ার প্রতিটি সড়কে হাঁটুপানি জমে যায়। আর একটু ভারি বৃষ্টি হলেই কোমরপানি। তখন মানুষ বাধ্য হয়ে সড়কে নৌকা ভাসিয়ে চলাচল করে। ভারি বৃষ্টি হলেই এ এলাকায় এমন দৃশ্য দেখা যায়।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে পৌরসভার এক কর্মকর্তা বলেন, বর্ষা মৌসুমে নতুন করে কোনো সড়ক করা হচ্ছে না। এর আগে শুরু হওয়া সড়কগুলো দ্রুততার সঙ্গে সংস্কারের লক্ষ্যে কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।

এ প্রসঙ্গে কক্সবাজার পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী নুরুল আলম বলেন, খুব বেশি বৃষ্টি না হলে পৌর এলাকায় জলজট বা জলাবদ্ধতা হয় না। যখন ভারি বৃষ্টি হয়, তখন জলাবদ্ধতা নিরসনে কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। আর টেকসই সমাধানের লক্ষ্যে বেশকিছু কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, বর্ষা মৌসুমে নিয়মিত ড্রেন ও নালা নর্দমা পরিষ্কার করা হয়। কোথাও যদি ময়লা আটকে যায় তাহলেই জলাবদ্ধতা ও জনদুর্ভোগ হয়। ইতিমধ্যে অনেক সড়কের টেন্ডার হয়েছে। তবে আমরা সবসময়ই জনদুর্ভোগ নিরসন করে কাজ করার ব্যাপারে পদক্ষেপ গ্রহণ করে থাকি।

এ ব্যাপারে জানতে একাধিকবার ফোন করা হলেও পৌর মেয়র মুজিবুর রহমান চেয়ারম্যানের মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তবে এর আগে তিনি বলেছিলেন, রাস্তাগুলোর পানি নিষ্কাশন করতে ড্রেন নির্মাণকাজ চলমান। আর সড়ক সংস্কার করতে নতুন করে দরপত্র হয়েছে। ড্রেন নির্মাণ শেষ হলেই রাস্তার কাজ শুরু করা হবে।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।