যুক্তরাষ্ট্রে যদি সবচেয়ে বেশি প্রাপ্ত ভোটের ব্যবধানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের নিয়ম থাকতো, তাহলে দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতেন হিলারি ক্লিনটন।
কারণ নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের চেয়ে বেশি ভোট পেয়েছিলেন তিনি। হিলারি দুই লাখের বেশি ভোট পেয়েছেন।
তা সত্ত্বেও দেশটির নির্বাচনী ব্যবস্থার কারণেই তিনি হেরে গেছেন।
নির্বাচনে হিলারি ক্লিনটন মোট ভোট পেয়েছেন ৫ কোটি ৯৭ লাখ ৯৬ হাজার ২৬৫ ভোট। ডোনাল্ড ট্রাম্প পেয়েছেন ৫ কোটি ৯৫ লাখ ৮৯ হাজার ৮০৬ভোট।
কিন্তু ইলেক্টোরাল কলেজ ভোটের মধ্যে ডোনাল্ড ট্রাম্প পেয়েছেন ২৭৯টি, আর হিলারির পক্ষে গেছে ২২৮টি। মূলত এসব ভোটের মাধ্যমেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট আর ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়।
যুক্তরাষ্ট্রে মোট ৫৩৮জন ইলেক্টোরাল বা নির্বাচককে নিয়ে ইলেক্টোরাল কলেজ হয়। একেকটি অঙ্গরাজ্যে জনসংখ্যার অনুপাতে সেখানে ইলেক্টোরাল সংখ্যা থাকে। ভোটাররা যখন ভোট দেন, তারা ডোনাল্ড ট্রাম্প বা হিলারি ক্লিনটন বা অন্য কাউকে ভোট দিলেও আসলে একেকজন ইলেক্টোরালকে বাছাই করেন।
নেব্রাস্কা আর মেইন অঙ্গরাজ্য ছাড়া বাকি সব রাজ্যে যে প্রার্থী বেশি ভোট পান, তাকে ওই রাজ্যের সব ইলেক্টোরাল ভোট দিয়ে দেয়া হয়। তবে ওই দুইটি রাজ্যে প্রার্থীদের পাওয়া সংখ্যা অনুযায়ী বাকি ভোট ভাগ হয়।
এ কারণে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভোট কিছুটা কম হলেও, তার ইলেক্টোরাল ভোটের সংখ্যা হয়েছে বেশি। কারণ তিনি এমন অনেকগুলো রাজ্যে ভালো করেছেন, যেখানকার সব ইলেক্টোরাল ভোট তার পক্ষেই যোগ হয়েছে।
তবে এবারই প্রথম নয়। এ নিয়ে পঞ্চম বার যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এরকম ঘটনা ঘটলো।
সর্বশেষ একই ঘটনা ঘটেছিল ২০০০ সালের নির্বাচনে। সেবার ডেমোক্রেট প্রার্থী আল গোর পেয়েছিলেন ৫ কোটি ১০ লাখ ৯ হাজার ৮১০ ভোট। কিন্তু তার চেয়ে প্রায় ছয় লাখ কম ভোট পেয়েও রিপাবলিকান জর্জ ডব্লিউ বুশ প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। তার মোট ভোট ছিল ৫ কোটি ৪ লাখ ৬২ হাজার ৪১২টি।
ইলেক্টোরাল কলেজ পদ্ধতির ভোটাভুটি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে বিতর্ক আছে। কয়েক দফায় এটি বাতিলের জন্য কংগ্রেসে তোলাও হয়েছিল। কিন্তু সামান্য ব্যবধানে প্রতিবারই প্রস্তাবটি বাতিল হয়ে গেছে। বিবিসি
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।