২৪ নভেম্বর, ২০২৪ | ৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২১ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  ব্যাটারী চালিত ই-বাইক মালিক সমিতি মরিচ্যা ও মৌলভী পাড়া কমিটি অনুমোদন   ●  টেকনাফ সমুদ্রে গোসলে নেমে মাদ্রাসার এক ছাত্রের মৃত্যু দুই ছাত্র নিখোঁজ।   ●  মাকে হত্যার পর থানায় ছেলের আত্মসমর্পণ।   ●  মারমেইড বীচ রিসোর্টে বালিয়াড়ি দখল করে গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান   ●  যারা খেলাধূলা করছে, তারা বিএনপির শক্তিকে অনুধাবন করতে পারছে না   ●  উখিয়ার নতুন ইউএনও কামরুল হাসান চৌধুরী   ●  উখিয়ায় যৌথবাহিনীর অভিযানে শক্তিশালী গ্রেনেড উদ্ধার   ●  ছয় কোটি তরুণের দেয়াল লিখন বাংলাদেশের নতুন সংবিধান   ●  চকরিয়ায় ২টি ডাম্পার ট্রাক ও এক্সকেভেটর জব্দ   ●  ধরে নিয়ে যাওয়া ২০ বাংলাদেশী  জেলেকে ফেরত দিল আরাকান আর্মি

বেড়াতে এসে লাশ হয়ে দেশে ফিরছেন ভারতীয় পর্যটক সনৎকুমার

বিশেষ প্রতিবেদকঃ ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সনৎকুমার মুখপাধ্যায় (৭০) বছর দশেক আগে চাকুরী জীবন থেকে ইস্তফা নেন। অবসর থাকায় স্ত্রী ভারতী মূখার্জী (৫৫) ও কন্যা সৃজিতা মূখার্জীকে নিয়ে প্রিয় বাংলাদেশ ঘুরতে এসেছিলেন। রাজশাহীসহ দর্শনীয় এলাকা র্ঙ্গাামাটি, বান্দরবান ঘুরে সর্বশেষ এসেছিলেন পর্যটন রাজধানী খ্যাত কক্সবাজার। সমুদ্রের ঢেউয়ের সাথে মিতালী গড়ে দেখতে গিয়েছিলেন মহেশখালীর আদিনাথ মন্দির। সেখান থেকেই অসুস্থ হয়ে কক্সবাজার চিকিৎসাধীন অবস্থায় রবিবার রাতে মারা যান তিনি। তাই জীবিত এসে লাশ হয়েই দেশে ফিরছেন সনৎকুমার। তিনি উত্তর চব্বিশ পরগনার শৈলন্দ্র লাল মূখার্জির ছেলে ও পশ্চিমবঙ্গের সিভিল সার্ভিসের পুরোনো কর্মচারি।

স্ত্রী ভারতী ও কন্যা সৃজিতার বরাত দিয়ে কক্সবাজার সদর থানার ওসি রনজিত কুমার বড়–য়া বলেছেন, রবিবার সকালে তারা মহেশখালীর আদিনাথ মন্দির দেখতে যান। আদিনাথ থেকে মহেশখালী পৌরসভার বড় ক্যাংয়ে যান তারা। চারপাশ ঘুরে দেখে পছন্দমত ছবিও তুলেন। শেষে বের হয়ে পুরো ক্যাংয়ের ছবি নিচ্ছিলেন সনৎকুমার। এসময় একটি ইজিবাইকের (টমটম) সাথে ধাক্কা খেয়ে মাটিতে পড়ে যান তিনি। এতে আহত হয়ে অসুস্থ বোধ করলে তাকে দ্রুত কক্সবাজার এনে বিকেলে ফুয়াদ আল খতিব হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি সন্ধ্যা ৭টার দিকে মারা যান।

সনৎকুমারের মেয়ে সৃজিতা মুখার্জী বিকেলে কক্সবাজার সদর হাসপাতাল এলাকায় বলেন, গত ৮ অক্টোবর পরিবারের সবাই বাংলাদেশ আসেন। রাজশাহী, ঢাকা, রাঙ্গামাটি ও বান্দরবান হয়ে ১৪ অক্টোবর তারা কক্সবাজার পৌছান। উঠেন সমুদ্রপাড়ের হোটেল সী ওয়ার্ল্ডে। সমুদ্রস্নান ও শহরের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান গুলো পরিদর্শন শেষে তারা মহেশখালী গিয়েছিলেন। সেখানে অনাকাঙ্খিত একটি দূর্ঘটনার সূত্র ধরে তার বাবা মরপারের বাসিন্দা হলেন। জীবিত আসা বাবাকে লাশ হিসেবেই সাথে নিয়ে যাচ্ছেন তারা। এসময় আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন সনৎকুমার দম্পতির একমাত্র সন্তান সৃজিতা।

কক্সবাজার সদর থানার ওসি রনজিত কুমার বড়–য়া জানান, মরদেহটি রাতেই কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে নেয়া হয়। সোমবার দুপুরে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করে বিকেলে ভারতীয় দূতাবাসের চট্টগ্রাম কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে পর্যটক সনৎকুমারের মরদেহ। দূতাবাস কর্তৃপক্ষ সেখান থেকে তাকে দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করবেন বলে উল্লেখ করেন তিনি।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।