২১ এপ্রিল, ২০২৫ | ৮ বৈশাখ, ১৪৩২ | ২২ শাওয়াল, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  সিবিআইইউ’তে বর্ণাঢ্য আয়োজনে বাংলা নববর্ষ উদযাপন হয়েছে।   ●  গভীর রাতে পাহাড়ের মাটিভর্তি একটি ড্রাম ট্রাক( ডাম্পার) জব্দ করেছে কক্সবাজার বনবিভাগ   ●  অস্ত্র উদ্ধার ও ওয়ারেন্ট তামিলে জেলার শ্রেষ্ঠ হলেন এসআই খোকন কান্তি রুদ্র   ●  উখিয়ায় সাংবাদিক জসিম আজাদের জমি ও বসতবাড়ি দখলের চেষ্টায় হামলা   ●  কৃষকদল নেতা পরিচয়ে জমি দখল গুলি বর্ষণ আটক ১   ●  উখিয়া রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনারের ৫ সদস্যের প্রতিনিধিদল পরিদর্শন   ●  প্রথম ধাপে এক লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গাকে ফেরত নিতে রাজি মিয়ানমার   ●  পালং আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় এসএসসি’১৮ ব্যাচের ইফতার মাহফিল সম্পন্ন   ●  উখিয়া সমাজসেবা কর্মচারীর নামে বিধবা ভাতা’র টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ   ●  ‘পটভূমি পরিবর্তনের জন্য সাংবাদিকদের ভূমিকা অনস্বীকার্য’ – সরওয়ার জাহান চৌধুরী

বেড়েছে বাঁকখালী দখলকারীর সংখ্যা

কোন বাধা ছাড়াই বাঁকখালী নদী ভরাট করেই তৈরী হচ্ছে বিভিন্ন স্থাপনা। যার ফলে বাঁকখালী নদী দখলকারীর সংখ্যা ক্রমশঃ বেড়েই চলেছে। গত দুই বছর আগে নদীর সীমানা নির্ধারণ ও অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদে উচ্চ আদালত নির্দেশ দিলেও বাঁকখালী নদীতে চলছে দখলের মহড়া।
ক্রমেই বাড়ছে বাঁকখালী নদী দখলকারীর সংখ্যা। নির্বিকার পরিবেশ অধিদপ্তর ও বনবিভাগ। তারা জবর দখলকারীদের বিরুদ্ধে এখনো কোন ব্যবস্থা নিতে পারেনি। দখলকারীর সংখ্যা এখন অন্ততঃ ৬/৭ শ ছাড়িয়ে গেলেও বনবিভাগের কাছে রয়েছে ২৩৯ জন দখলবাজের তালিকা। নদী দখল করে অনেকেই গড়ে তুলেছেন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বসতবাড়ি, কেউবা নির্মাণ করছেন চিংড়ি ঘের। যার ফলে বৃষ্টি হলেই কক্সবাজার শহরে সৃষ্টি হচ্ছে বন্যা। ঘটে চলেছে পরিবেশের বিপর্যয়। এ ছাড়াও নদী ছোট হয়ে যাওয়ায় বিভিন্ন স্থানে ভাঙ্গনের সৃষ্টি হয়েছে। চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে মহেশখালী-কক্সবাজার ঘাটের যাত্রীদের।
কক্সবাজারের ঐতিহ্যবাহী বাঁকখালী নদীতে দখলের মহড়া অব্যাহত রয়েছে। বনবিভাগ দখলবাজদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা করেও কোন ফল পাচ্ছে না। বনবিভাগ থেকে প্রাপ্ত তথ্য মতে সদর উপজেলার ৮টি মৌজায় বাঁকখালী নদীর অংশের প্রায় ১৪৩৬ একর জমি অবৈধ দখল করেছে ভূমিদস্যুরা। তবে এটি বনবিভাগের হিসাব হলেও এখন দখল হয়ে যাওয়া জমির পরিমান অন্তত আড়াই হাজার একর হবে।
এতে গোমাতলীতে ৫১ জন দখল করেছে ২০৮ একর, পোকখালীতে ২২ জনে দখল করেছে ২২২ একর, চৌফলদন্ডীতে ৪৯ জনে দখল করেছে ৪২০ একর, তেতৈয়ায় ৫৩ জনে দখল করেছে ১৭৫ একর, ভারুয়াখালীতে ১৬ জনে দখল করেছে ১৭০ একর, কক্সবাজারে ৪২ জনে দখল করেছে ৭১ একর, ঝিলংজায় ১ জনে দখল করেছে ১০ একর ও খুরুস্কুলে ৫ জনে দখল করেছে ১৬০ একর জমি। দখলকৃত জমিতে ১৯৭৫,৭৬ ও ৮৬ সালে সৃজিত বাগান ধ্বংস করে তারা বনবিভাগের জমিগুলো জবর দখল করে। সর্বোচ্চ জবর দখলকারীর মধ্যে ১৪০ একর দখল করেছেন চৌফলদন্ডীর হাজী ফজলুল করিম।
সরেজমিনে দেখা যায় বাঁকখালী নদীর অধিকাংশ জবর দখল হয়ে যাওয়ায় বাঁকখালী নদী এখন তার ঐতিহ্য হারাতে বসেছে। পৌরসভার ডাম্পিং গ্রাউন্ড সহ সবকিছু দখল হয়ে যাওয়ায় শহরের পানি নিষ্কাসনের ব্যবস্থাও মুখ থুবড়ে পড়েছে।
শহরের এন্ডারসর সড়কের ব্যবসায়ী সাদাত হোসেন জানিয়েছেন পানি নিস্কাসন এর জন্য নির্মিত সøুইচ গেইট গুলোর পার্শ্ববর্তি স্থান জবর দখল হয়ে যাওয়ায় বৃষ্টি হলে আর পানি নামতে পারে না। পর্যাপ্ত উঁচু হওয়া সত্তেও শহরের বিভিন্ন অংশে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। দখল বাজেরা এখন পানি নিস্কাশনের স্থানগুলোও দখল করে নেওয়ায় পরিবেশেরও মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে।
শহরের হাঙ্গর পাড়ার ব্যবসায়ী আবদুল মাবুদ জানিয়েছেন, বাঁকখালী নদীর নাব্যতা হারিয়ে যাওয়ায় পুরো শহরের পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা মুখ থুবড়ে পড়েছে। প্রতিদিন দখলবাজের সংখ্যা বাড়লেও তাদের বিরুদ্ধে কোন প্রকার আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হয় না।
এ ব্যাপারে উপকূলীয় বনবিভাগের এসিএফ জানিয়েছেন, সব দখলদারের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হয়েছে। নতুন ভাবে যারা দখল করছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ যে সিদ্ধান্ত নেয়, আমরা বাস্তবায়ন করি। এর বাইরে করার কিছুই নেই।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।