২০ এপ্রিল, ২০২৫ | ৭ বৈশাখ, ১৪৩২ | ২১ শাওয়াল, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  সিবিআইইউ’তে বর্ণাঢ্য আয়োজনে বাংলা নববর্ষ উদযাপন হয়েছে।   ●  গভীর রাতে পাহাড়ের মাটিভর্তি একটি ড্রাম ট্রাক( ডাম্পার) জব্দ করেছে কক্সবাজার বনবিভাগ   ●  অস্ত্র উদ্ধার ও ওয়ারেন্ট তামিলে জেলার শ্রেষ্ঠ হলেন এসআই খোকন কান্তি রুদ্র   ●  উখিয়ায় সাংবাদিক জসিম আজাদের জমি ও বসতবাড়ি দখলের চেষ্টায় হামলা   ●  কৃষকদল নেতা পরিচয়ে জমি দখল গুলি বর্ষণ আটক ১   ●  উখিয়া রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনারের ৫ সদস্যের প্রতিনিধিদল পরিদর্শন   ●  প্রথম ধাপে এক লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গাকে ফেরত নিতে রাজি মিয়ানমার   ●  পালং আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় এসএসসি’১৮ ব্যাচের ইফতার মাহফিল সম্পন্ন   ●  উখিয়া সমাজসেবা কর্মচারীর নামে বিধবা ভাতা’র টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ   ●  ‘পটভূমি পরিবর্তনের জন্য সাংবাদিকদের ভূমিকা অনস্বীকার্য’ – সরওয়ার জাহান চৌধুরী

ভাংগা ব্রীজ মরন ফাঁদ : ৭ গ্রামবাসীর দূর্ভোগ

সেলিম উদ্দীন,(ঈদগাঁও): কক্সবাজার সদর উপজেলার পোকখালী ইউনিয়নের গোমাতলী গ্রামের কাটাখালী ভাংগা ব্রীজ ৭ গ্রামের মানুষের পারাপারের একমাত্র ভরসা। এটি রাজঘাট থেকে কক্সবাজার শহরে যাতায়তের মাধ্যম এই ব্রীজ। ব্রীজ দিয়ে পার হয়ে ৭ গ্রামের মানুষ প্রতিদিন জেলা-সদরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, হাসপাতালসহ প্রয়োজনীয় স্থানে যাতায়াত করেন ।

ইউনিয়নের পশ্চিম গোমাতলী, বারডইল্ল্যা পাড়া, গাইট্যাখালী, আজিম পাড়া, আছিন্যাপাড়া, রাজঘাট চরপাড়ার বাসিন্দারা অভিযোগ করে বলেন, তাদের জীবন জীবিকা নির্বাহের জন্য ও আইনি সহায়তা পেতে ডিসি অফিস, জজকোর্ট, সদর উপজেলা ও জেলা পরিষদে যেতে হয়। ভাংগা ব্রীজ পেরিয়ে জেলা শহর যেতে হয় বিধায় উন্নয়নের দিক থেকে পিছিয়ে পড়েছে ওইসব গ্রামের মানুষজন। এলাকার উন্নয়ন যেন বাঁধাগ্রস্থ করেছে ওই ব্রীজ। দ্রীর্ঘ ১৭ মাসেও ব্রীজ নির্মাণের উদ্দ্যোগ গ্রহন করেনি কেউ। সাধারন মানুষ স্কুলগামী ছাত্র-ছাত্রীর যাতায়াত আর ব্যবসায়ীদের মালামাল পারাপারের জন্য ব্রীজটি এখন মরণ ফাঁদ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ব্রীজ পার হয়েই গোমাতলী উচ্চ বিদ্যালয় এ ছাড়াও সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাদরাসাসহ অনেক প্রতিষ্ঠান এবং পার্শ্বেই রয়েছে গোমাতলী বাজার। ৭ গ্রামের মানুষের সমাগম হয় ওই বাজারে।

বাজারের ঔষধ ব্যবসায়ী শাহাব উদ্দীন বলেন, জোয়ার-ভাটা ও ব্রীজের সমস্যার কারনে ভাটা পড়ে যায় বাজারের বেচা কেনায়। তখন কাটাখালী ব্রীজটি আমাদের জন্য বড় বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়।
গোমাতলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: আবদুল জলিল বলেন, আমার বিদ্যালয়ের শত শত ছাত্র-ছাত্রী ওইসব গ্রাম থেকে পড়তে আসে। তাদের যাতায়তের ক্ষেত্রে ব্রীজটি একটি মরন ফাঁদ।
বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্র আরমান ও ৬ষ্ট শ্রেনীর ছাত্রী আরজিনা বলেন, ব্রীজের কারনে ৪-৫ মাস ধরে বিদ্যালয়ে যাওয়া আসা করা যাচ্ছেনা। কারন সাগরে জোয়ার হলে কাঠের পুল পারাপারে অনেক সমস্যা হয়।

গাইট্যাখালী, রাজঘাট গ্রামের মমতাজ বেগম, মো: আলী, হাবিবুর রহমান বলেন, আমরা এই ব্রীজের ওপর দিয়ে অনেক ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন পারাপার করি। এতে যেন কোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে মন্তব্য করেন তারা।

পোকখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রফিক আহমদ বলেন, আমার ইউনিয়নের এই ব্রীজটি মানুষের জন্য একটি মরণ ফাঁদ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ ব্রীজের কারনে গাইট্যাখালী-রাজঘাটপাড়ার বাসিন্দা বিচ্চিন্ন রয়েছে। এলাকাবাসীর দাবির মুখে এ ব্যাপারে উপজেলা পরিষদের মিটিংএ ব্রীজ নির্মাণের বিষয়টি জোর দিয়ে আলোচনা করা হয়। কিন্তু কোন সমাধান আজও হয়নি।

এলাকাবাসীর দাবী গোমাতলী সড়কের কাটাখালী ব্রীজ নির্মিত হলে হাজার হাজার মানুষ, ব্যবসায়ী, চাকুরিজীবি ও ছাত্র-ছাত্রী ভোগান্তি থেকে রেহায় পাবে।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।