ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ, ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গ হয়ে শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে সারারাত দেশের উপকূলীয় অঞ্চলগুলোতে আঘাত হানবে ফণী। প্রচণ্ড শক্তিশালী এই ঘূর্ণিঝড়টি এখন ভারতের বিশাখাপত্তম উপকূলের খুব কাছকাছি অবস্থান করছে।
ফ্রান্সভিত্তিক বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, আগামীকাল শুক্রবার বিকেলের দিকে ভারতের পুরিতে আঘাত হানতে পারে ফণী। ভারত সরকারের ত্রাণ বিভাগের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ওড়িশার ১৩টি জেলার প্রায় ৭ লাখ ৮০ হাজার অধিবাসীকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
ভারতের উপকূলবর্তী জেলাগুলোতে সব থেকে বেশি ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। শুক্রবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গের ১৫ জেলায় তাণ্ডব চালাতে পারে ফণী। তারপর পরপরই বাংলাদেশে উপকূলবর্তী জেলাগুলোতে আঘাত হানবে।
ফণীর অবস্থান এখন বিশাখাপত্তম থেকে মাত্র ১৫০ কিলোমিটার দূরে। তাছাড়া ওড়িশা ও কলকাতার দীঘা থেকে এর দুরুত্ব ৩০০ কিলোমিটার। শুক্রবার দুপুরের মধ্যে ওড়িশা উপকূলে আঘাত হানার পড় মারাত্মক এই ঘূর্ণিঝড় ফণী স্থলভাগ দিয়ে পশ্চিমবঙ্গের দিকে এগোবে।
ভারতের আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, কলকাতা থেকে ফণী যে দুরুত্বে অবস্থান করছে তাতে করে শুক্রবার বিকেলের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে তাণ্ডব চালিয়ে বাংলাদেশে প্রবশে করবে ফণী। বাংলাদেশের উপকূলবর্তী জেলাগুলো সর্বোচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে।
ইতোমধ্যে ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ ও ওড়িশায় ভারী বর্ষণ শুরু হয়েছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া ট্যুডে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তমে ৯০ থেকে ১১০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে তীব্র বৃষ্টি শুরু হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় ফণীর কারণে তীব্র হাওয়া এবং বৃষ্টির জেরে অন্ধ্রপ্রদেশের রাস্তার ধারে বৈদ্যুতিক পোল ও গাছ-পালা উপড়ে পড়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে স্থানীয় প্রশাসন। ঝড় ও বৃষ্টির কারণে বিপাকে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। প্রাণ বাঁচাতে নিরাপদ স্থানের সন্ধানে বাড়ি-ঘর ছাড়ছেন তারা।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।