২৩ নভেম্বর, ২০২৪ | ৮ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২০ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  মাকে হত্যার পর থানায় ছেলের আত্মসমর্পণ।   ●  মারমেইড বীচ রিসোর্টে বালিয়াড়ি দখল করে গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান   ●  যারা খেলাধূলা করছে, তারা বিএনপির শক্তিকে অনুধাবন করতে পারছে না   ●  উখিয়ার নতুন ইউএনও কামরুল হাসান চৌধুরী   ●  উখিয়ায় যৌথবাহিনীর অভিযানে শক্তিশালী গ্রেনেড উদ্ধার   ●  ছয় কোটি তরুণের দেয়াল লিখন বাংলাদেশের নতুন সংবিধান   ●  চকরিয়ায় ২টি ডাম্পার ট্রাক ও এক্সকেভেটর জব্দ   ●  ধরে নিয়ে যাওয়া ২০ বাংলাদেশী  জেলেকে ফেরত দিল আরাকান আর্মি   ●  মেরিন ড্রাইভে ইয়াবাসহ নারী আটক   ●  সড়ক দখল করে নৈরাজ্য সৃষ্টি, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিরুদ্ধে শ্লোগান দেয়ার অভিযোগে কক্সবাজারে আ.লীগের ৯১ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা

ভিডিও ভাইরাল, দুই কিশোরকে গাছে ঝুলিয়ে নির্যাতন

নিজস্ব প্রতিনিধি:

কক্সবাজারের উখিয়ায় ছাগল চুরির অপবাদে দুই কিশোরকে গাছে ঝুলিয়ে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিও ভাইরাল হলে গতকাল শনিবার দুপুরে  বিষয়টি সকলের নজরে আসে।
শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে উখিয়া উপজেলা রত্নাপালং তেলীপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নির্যাতিতরা হলেন, উখিয়া রত্নাপালং তেলীপাড়া গ্রামের মৃত আবদুল হামিদের ছেলে মোহাম্মদ ইমন (১৫) ও একই এলাকার মৃত জাফর আলমের ছেলে মোস্তাক মিয়া।
ভিডিওতে দেখা যায়, কিশোর ইমন ও আনোয়ারকে রশি দিয়ে বেঁধে গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে শাকিব, আনোয়ারসহ কয়েকজন বেধড়ক মারধর করছে আর আশপাশে দাঁড়িয়ে তা দেখছেন ওই বাড়ির লোকজন।
এ সময় অনেককে ভিডিও করতেও দেখা গেছে। মারধরে ইমন ও আনোয়ারের শরীরে রক্তাক্ত জখম হতেও দেখা গেছে। ইমনের  পরিবারের অভিযোগ শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত দফায় দফায় ইমনের ওপর এ অমনাবিক নির্যাতন চালানো হয়। এখান থেকে উদ্ধার করে ইমনকে উখিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হলে পরে চিকিৎসক রেফার্ড করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
নির্যাতিত ইমন বলেন, ৯ মাস আগে একটি ছাগল হারিয়ে যায়। ওই ছাগল চুরির সন্দেহে শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে আমাদের রত্নাপালং তেলীপাড়া গ্রামের শাকিব (১৯) ও আনোয়ারের (২৫) নেতৃত্বে ৪-৫ জন কৌশলে আমাদের ডেকে নিয়ে যায় তাদের ঘরে। কিছু বুঝে ওঠার আগে গাছের সঙ্গে বেঁধে ঝুলিয়ে লাঠি দিয়ে বেধড়ক পেটায় তারা। ঘণ্টার পর ঘণ্টা দফায় দফায় শারীরিক নির্যাতন চালায়।
নির্যাতিত ইমনের বড় ভাই মামুন বলেন, শাকিবদের ছাগলটি ৯ মাস আগে হারিয়ে গেছে। হঠাৎ আমার ভাইকে কাল ডেকে নিয়ে আমার সামনে গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে বেধড়ক মারধর করেছে। আর আমি চিৎকার দিচ্ছিলাম। চিৎকার দেওয়া ছাড়া আমার কিছু করার ছিল না। কারণ তারা ওই এলাকার প্রভাবশালী। এই মুহূর্তে ইমনের আবস্থা আশঙ্কাজনক ।
 উখিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, এখনো পর্যন্ত আমরা কোনো অভিযোগ পাইনি। তবে যে ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়েছে সেটি আমাদের নজরে এসেছে। ছাগল চুরির জন্য এভাবে কাউকে নির্যাতন করা যায় না। অভিযুক্তদের আমরা আইনের আওতায় আনব।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।