বৈধ ভিসা নিয়ে মালয়েশিয়া যাওয়ার পর কুয়ালালামপুর বিমানবন্দরে বাংলাদেশিরা হয়রানির শিকার হচ্ছেন। এছাড়া অনেক ক্ষেত্রে বিমানবন্দর থেকে ফেরতও পাঠানো হচ্ছে। এ ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এ কারণে বাংলাদেশে নিযুক্ত মালয়েশিয়ার ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত ইদহাম জুহরি মোহামেদ ইউনুসকে গত সপ্তাহে তলব করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ভিসা দেওয়ার পরেও হয়রানি ও ফেরত পাঠানোর ঘটনায় বাংলাদেশের উদ্বেগের কথা জানানোর পাশাপাশি কেন এই ঘটনা ঘটছে সেটিও ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূতের কাছে জানতে চাওয়া হয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা এ বিষয়ে বলেন, ‘মালয়েশিয়া সরকারের বৈধ ভিসা নিয়ে সবাই সেখানে যাচ্ছেন। অথচ যারা যাচ্ছেন, কেন তাদের হয়রানি করা হচ্ছে এবং ফেরত পাঠানো হচ্ছে, সেটি আমরা জানতে চেয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘আমরা তাদের (মালয়েশিয়াকে) বলেছি, ভিসা প্রত্যাশী বাংলাদেশিরা সব কাগজপত্র জমা দেওয়ার পর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেই মালয়েশিয়া কর্তৃপক্ষ তাদের ভিসা দিচ্ছে। কিন্তু, যখন এসব বাংলাদেশি দেশটিতে যাচ্ছেন, তখন তাদের হয়রানি করা হচ্ছে বা ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। একারণে আমরা বলেছি, তারা (মালয়েশিয়া) প্রয়োজনে তাদের ভিসা ব্যবস্থা কঠোর করুক। যাদের ঢুকতে দেবে, শুধুমাত্র তাদেরই যেন ভিসা দেয়।’
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এই কর্মকর্তা আরও জানান, ‘গত এপ্রিল থেকে মালয়েশিয়াতে জি-টু-জি প্লাস প্রোগ্রামের আওতায় প্রায় চার হাজার বাংলাদেশিকে ভিসা দেওয়া হয়েছে। আরও ১১ হাজার বাংলাদেশিকে ভিসা দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। আমরা চাই—যারা যাচ্ছেন বা যাবেন তারা যেন কোনও ধরনের হয়রানির শিকার না হন।’
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, গত কিছুদিন ধরে বিশেষ করে ৩০ জুনের পর থেকে মালয়েশিয়া বিমানবন্দরে বাংলাদেশিরা হয়রানির শিকার হচ্ছেন এবং অনেক ক্ষেত্রে বৈধ ভিসা থাকার পরও বিমানবন্দর থেকে তাদের দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
এছাড়া মালয়েশিয়াতে অবৈধভাবে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের জন্য রি-হায়ারিং প্রোগ্রামে (এ বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে) প্রায় তিন লাখ বাংলাদেশ নিবন্ধিত হয়েছে এবং ই-কার্ড প্রোগ্রামে (৩০ জুন শেষ হয়েছে) প্রায় এক লাখ নিবন্ধিত হয়েছেন।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।