১৯ এপ্রিল, ২০২৫ | ৬ বৈশাখ, ১৪৩২ | ২০ শাওয়াল, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  সিবিআইইউ’তে বর্ণাঢ্য আয়োজনে বাংলা নববর্ষ উদযাপন হয়েছে।   ●  গভীর রাতে পাহাড়ের মাটিভর্তি একটি ড্রাম ট্রাক( ডাম্পার) জব্দ করেছে কক্সবাজার বনবিভাগ   ●  অস্ত্র উদ্ধার ও ওয়ারেন্ট তামিলে জেলার শ্রেষ্ঠ হলেন এসআই খোকন কান্তি রুদ্র   ●  উখিয়ায় সাংবাদিক জসিম আজাদের জমি ও বসতবাড়ি দখলের চেষ্টায় হামলা   ●  কৃষকদল নেতা পরিচয়ে জমি দখল গুলি বর্ষণ আটক ১   ●  উখিয়া রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনারের ৫ সদস্যের প্রতিনিধিদল পরিদর্শন   ●  প্রথম ধাপে এক লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গাকে ফেরত নিতে রাজি মিয়ানমার   ●  পালং আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় এসএসসি’১৮ ব্যাচের ইফতার মাহফিল সম্পন্ন   ●  উখিয়া সমাজসেবা কর্মচারীর নামে বিধবা ভাতা’র টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ   ●  ‘পটভূমি পরিবর্তনের জন্য সাংবাদিকদের ভূমিকা অনস্বীকার্য’ – সরওয়ার জাহান চৌধুরী

ভিসা নিয়ে হয়রানি বন্ধে মালয়েশিয়ার প্রতি আহ্বান

বৈধ ভিসা নিয়ে মালয়েশিয়া যাওয়ার পর কুয়ালালামপুর বিমানবন্দরে বাংলাদেশিরা হয়রানির শিকার হচ্ছেন। এছাড়া অনেক ক্ষেত্রে বিমানবন্দর থেকে ফেরতও পাঠানো হচ্ছে। এ ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এ কারণে বাংলাদেশে নিযুক্ত মালয়েশিয়ার ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত ইদহাম জুহরি মোহামেদ ইউনুসকে গত সপ্তাহে তলব করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ভিসা দেওয়ার পরেও হয়রানি ও ফেরত পাঠানোর ঘটনায় বাংলাদেশের উদ্বেগের কথা জানানোর পাশাপাশি কেন এই ঘটনা ঘটছে সেটিও ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূতের কাছে জানতে চাওয়া হয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা এ বিষয়ে বলেন, ‘মালয়েশিয়া সরকারের বৈধ ভিসা নিয়ে সবাই সেখানে যাচ্ছেন। অথচ যারা যাচ্ছেন, কেন তাদের হয়রানি করা হচ্ছে এবং ফেরত পাঠানো হচ্ছে, সেটি আমরা জানতে চেয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘আমরা তাদের (মালয়েশিয়াকে) বলেছি, ভিসা প্রত্যাশী বাংলাদেশিরা সব কাগজপত্র জমা দেওয়ার পর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেই মালয়েশিয়া কর্তৃপক্ষ তাদের ভিসা দিচ্ছে। কিন্তু, যখন এসব বাংলাদেশি দেশটিতে যাচ্ছেন, তখন তাদের হয়রানি করা হচ্ছে বা ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। একারণে আমরা বলেছি, তারা (মালয়েশিয়া) প্রয়োজনে তাদের ভিসা ব্যবস্থা কঠোর করুক। যাদের ঢুকতে দেবে, শুধুমাত্র তাদেরই যেন ভিসা দেয়।’
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এই কর্মকর্তা আরও জানান, ‘গত এপ্রিল থেকে মালয়েশিয়াতে জি-টু-জি প্লাস প্রোগ্রামের আওতায় প্রায় চার হাজার বাংলাদেশিকে ভিসা দেওয়া হয়েছে। আরও ১১ হাজার বাংলাদেশিকে ভিসা দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। আমরা চাই—যারা যাচ্ছেন বা যাবেন তারা যেন কোনও ধরনের হয়রানির শিকার না হন।’
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, গত কিছুদিন ধরে বিশেষ করে ৩০ জুনের পর থেকে মালয়েশিয়া বিমানবন্দরে বাংলাদেশিরা হয়রানির শিকার হচ্ছেন এবং অনেক ক্ষেত্রে বৈধ ভিসা থাকার পরও বিমানবন্দর থেকে তাদের দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
এছাড়া মালয়েশিয়াতে অবৈধভাবে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের জন্য রি-হায়ারিং প্রোগ্রামে (এ বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে) প্রায় তিন লাখ বাংলাদেশ নিবন্ধিত হয়েছে এবং ই-কার্ড প্রোগ্রামে (৩০ জুন শেষ হয়েছে) প্রায় এক লাখ নিবন্ধিত হয়েছেন।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।