নেপালীদের পাশে দাড়িয়ে বাংলাদেশ স্থাপন করেছে বন্ধুদ্বের উজ্জল দৃষ্টান্ত। ভূমিকম্পের আমাদের এই গ্রামে বেশী ক্ষতিগ্রস্থ হলেও সরকারের পক্ষ থেকে কোন ত্রান সহায়তা পাওয়া যায়নি। তাই বাংলাদেশ তথা কক্সবাজারের মানুষের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। নেপালের ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল সিন্ধুপালচক জেলার টুলুশিরোবারী গ্রামের ইয়াম বাহাদুর থাপা এসব কথা বলেন। সোমাবার ভোরে কাঠমান্ডু সাংসদ কমলের নেতৃত্বে ১৯ সদস্যের একটি স্বেচ্ছাসেবক দল যাত্রা শুরু করে সিন্ধুপালচক জেলার টুলুশিরোবারী এই দূর্গম এই গ্রামের উদ্যোশে। সমুদ্রপৃষ্ট হতে প্রায় আট হাজার ফিট উচুতে অবস্থিত নেপালের এ গ্রামে পৌছাতে পাহাড়ী পথগুলো যেন এক একটি মরন ফাঁদ। খাড়া পথগুলো বেয়ে মৃত্যু ঝুঁকি নিয়ে অবশেষে স্বেচ্ছাসেবক দল পৌছল প্রামটিতে। যেখানে ২৫এপ্রিলের ভূমিকম্পে বিধ্বম্থ হয়েছে প্রতিটি বাড়ি। এমন কোন বাড়ি নেই যেখানে মারা পড়েনি কোন মানুষ। প্রথমবারের মতো সে গ্রামে ডাক্তার নিকোলাস হালদার চিকিৎসা সেবা প্রদান করে প্রায় ৩শাতাধিক মানুষকে। আমরা কক্সবাজারবাসী সংগঠনের উদ্যোগে রামু কক্সবাজারের মানুষের দেয়া অর্থ সাহায্য তুলে দেয়া হয় সহস্রাধিক অসহায় মানুষের মাঝে। সাইমুম সরওয়ার কমলের নেতৃত্বাধীন স্বেচ্ছোসেবক দলের অন্যান্য মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, কচ্ছপিয়া ইউপি চেয়ারম্যান নূরুল আমিন, অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম চেšধুরী, সজল বড়–য়া, চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম, সফিকুল আলম, সদর ইউজেলা যুব দলের সভাপতি ইফতেকার উদ্দিন, আবু তাহের আযাদ, জেলা ছাত্র লীগের সভাপতি ইসতিয়াক আহমেদ জয়, সাধারন সম্পাদক ইমরুল রাশেদ, স্বেচ্ছাসেক লীগ নেতা রুস্তম আলী চেšধুরী, আবু বকর সিদ্দীক, মিজানুর রহমান, মোরশেদুল আলম, জামাল উদ্দিন ও আওয়ামীলীগ নেতা সেলিম ফরাজী। এসময় সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কলম ক্ষতিগ্রস্থ নেপালীদের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়ায় রামু কক্সাবাজারবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।