রামু উপজেলার ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের হাইটুপি সড়কের সংস্কার কাজ শেষ হওয়ার মাত্র দুই মাসের ব্যবধানে পানিতে তলিয়ে গেছে ৬৮ লক্ষ টাকা ব্যায়ে নির্মীত সড়ক। গত বুধবার থেকে টানা ভারী বর্ষণে স্বরণকালের ভয়াবহ বন্যায় পার্শ্ববর্তী বাকঁখালী নদীর পানির ¯্রােতে অধিকাংশই ভেসে যায়। এর আগে ২০১২ সনের ২৬ জুন বন্যায় হাইটুপি জরাঝীর্ণ সড়কটি পানিতে তলিয়ে গেলে এ সড়ক দিয়ে পূর্বাঞ্চলের মানুষের যাতায়ত বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তী রামু উপজেলা স্থানীয় প্রকৌশল অধিদফতর (এলজিইডি) ৬৮ লক্ষ টাকা বরাদ্দে সড়কটির ভাঙ্গন অংশ নির্মাণ করা হয়। ২০১২ সালেও তলিয়ে যাওয়া জাদীপাড়া সড়কের ৩টি স্থানে রামু এলজিইডির অধীনে ২৫ লাখ টাকা ব্যয়ে বালি ভরাট ও ব্রিক সলিন বসানো হলেও সম্পূর্ণ কাজ কর্তৃপক্ষকে বুঝিয়ে দেয়ার আগেই পানিতে তলিয়ে গিয়েছিল। পরে কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধীনে নতুনভাবে ১০ লাখ টাকা বরাদ্দে মাটির বস্তা বসানো হয়।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গেল এপ্রিল মাসে শেষ হওয়া বাঁকখালীর তীর ঘেঁষা হাইটুপি সড়টির কাজ সম্পন্ন করেন রামু উপজেলা স্থানীয় প্রকৌশল অধিদফতর (এলজিইডি)। এ কাজ সম্পন্ন হতে না হতেই বৃষ্টিতে এবং বাঁকখালী নদীর পানির টেউয়ে তীর ঘেঁষা সড়কটি বিধ্বস্ত হয়ে গেল। রামু-গর্জনিয়া, কচ্ছপিয়া ও পার্শ্ববর্তী নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার জনসাধারণ এ সড়কটি দিয়ে নিয়মিত যাতায়াত করে থাকেন।
এ বিষয়ে রামু উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ফজুল্লাহ মুহাম্মদ হাসান বলেন- উপজেলার রামুর চেরাংঘাটা সড়কটি এ পর্যন্ত কয়েকবার সংস্কার করা হয়েছে। কিন্তু পাশে বাঁকখালী নদী হওয়ার ফলে সংস্কার হওয়ার পরও নদীর ¯্রােতে বারবার বিধবস্ত হচ্ছে। উন্নয়নের ক্ষেত্রে পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করা হলে তা টেকসই ও মজবুত হয়। জন দূর্ভোগ লাগবে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
সড়কে নিয়মিত যাতায়তকারী স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, কর্তৃপক্ষের ব্যাপক অনিয়মের ফলে সড়কটি কয়েক মাসের মধ্যে ভেসে গেছে। এই ভাঙ্গনে ১০ গ্রাম ছাড়াও পার্শ্ববর্তী বৃহত্তর কচ্ছপিয়া-গর্জনিয়া ও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার মানুষ বিকল্প সড়ক ব্যবহার করতে গিয়ে চরম ভোগান্তি পোহাতে হবে।
এ বিষয়ে রামু উপজেলা এলজিইডির উপ সহকারী প্রকৌশলী মো: আবুসউদ্দিন জানান, গত দুই মাস আগে ৬৮ লাখ টাকা ব্যায়ে নির্মীত সড়কটির কাজ সম্পন্ন হয়। এর আগে ২০১২সনেও ২৫ লাখ টাকা বরাদ্দে হাইটুপী জাদীপাড়া সড়কের ভাঙন এলাকায় মাটি ভরাট করে ইট বসানো হয়েছে। কিন্তু বাকঁখালী নদীর ¯্রােতে ভরাটকৃত মাটি ও সড়ক তলিয়ে যাচ্ছে। সমস্যা যত বড়, বরাদ্দ তার চেয়ে অপ্রতুল। বর্তমান ভাঙ্গন অংশটি এলজিইডির পক্ষে কঠিন হয়ে পড়বে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে এ সড়কটি নির্মাণ করা সম্ভব। তবে এ সড়কের বিকল্প এলজিইডির আরেকটি সড়ক ব্যবহারের উপযোগী করা হচ্ছে বলে তিনি জানান।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।