২৫ নভেম্বর, ২০২৪ | ১০ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২২ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  ব্যাটারী চালিত ই-বাইক মালিক সমিতি মরিচ্যা ও মৌলভী পাড়া কমিটি অনুমোদন   ●  টেকনাফ সমুদ্রে গোসলে নেমে মাদ্রাসার এক ছাত্রের মৃত্যু দুই ছাত্র নিখোঁজ।   ●  মাকে হত্যার পর থানায় ছেলের আত্মসমর্পণ।   ●  মারমেইড বীচ রিসোর্টে বালিয়াড়ি দখল করে গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান   ●  যারা খেলাধূলা করছে, তারা বিএনপির শক্তিকে অনুধাবন করতে পারছে না   ●  উখিয়ার নতুন ইউএনও কামরুল হাসান চৌধুরী   ●  উখিয়ায় যৌথবাহিনীর অভিযানে শক্তিশালী গ্রেনেড উদ্ধার   ●  ছয় কোটি তরুণের দেয়াল লিখন বাংলাদেশের নতুন সংবিধান   ●  চকরিয়ায় ২টি ডাম্পার ট্রাক ও এক্সকেভেটর জব্দ   ●  ধরে নিয়ে যাওয়া ২০ বাংলাদেশী  জেলেকে ফেরত দিল আরাকান আর্মি

চকরিয়ায় প্রশিক্ষণ কর্মশালায় জেলা মৎস্য কর্মকর্তা-ড.আবদুল আলীম

ভোক্তা সাধারণের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিতকল্পে মৎস্য উৎপাদনে নিরাপদ স্যানিটেশন করতে হবে

এম.জিয়াবুল হক,(চকরিয়া): বাণিজ্য মন্ত্রানালয়ের ফিশারিজ প্রোডাক্টস বিজেনেস কাউন্সিলর ও ফিস ফার্ম ওনার্স এসোসিয়েশন বাংলাদেশ (ফোয়াব) আয়োজনে বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) কক্সবাজারের চকরিয়ায় মৎস্যখাতের সাথে সম্পর্কিত স্যানিটেশন ফাইটোস্যানিটারী বিষয়ক দিনব্যাপী প্রশিক্ষন কর্মশালা হারবাংস্থ ইনানী রির্সোটের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠিত কর্মশালায় মৎস্য চাষের সাথে সম্পৃক্ত ৫০ জন ঘের মালিক, চাষী ও উদ্যোক্তা অংশগ্রহন করেন।
ফোয়াব কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট ও কক্সবাজার জেলা কমিটির সভাপতি আলহাজ মো.শহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন কক্সবাজার জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ড.আবদুল আলীম। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ফোয়াব কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মোল্লা সামসুর রহমান শাহীন, বাণিজ্য মন্ত্রানালয়ের বিপিসি নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল কালাম পাটোয়ারী। অনুষ্ঠিত কর্মশালায় প্রশিক্ষণ দেন চকরিয়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো.সাইফুর রহমান।
মৎস্য চাষের সমস্যা, সম্ভাবনা, ক্ষতির দিক এবং তা থেকে উত্তোরণ বিষয়ে বক্তব্য রাখেন প্রশিক্ষনার্থী আলহাজ আবদুল খালেক, আবদুল্লাহ মোহাম্মদ পিয়ারু, ফোয়াব কক্সবাজার জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক রিদুয়ানুল হক, গোলাম মোস্তাফা ও ইনানী ফিশিং প্রকল্পের পরিচালক তাসফিকুল আনাম প্রমুখ। কর্মশালা শেষে প্রশিক্ষনার্থীদের মাঝে সনদ বিতরণ করা হয়।
অনুষ্ঠিত কর্মশালায় প্রধান অতিথি জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ড.আবদুল আলীম বলেন, নিরাপদ ও সুস্বাধু মৎস্য চাষের জন্য বাংলাদেশে কক্সবাজার জেলার উপকুলীয় অঞ্চল একটি স্বনির্ভর এলাকা। এখান থেকে উৎপাদিত চিংড়িসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ প্রতিবছর বিদেশে রপ্তানী করা হচ্ছে। যার মাধ্যমে বাংলাদেশ প্রতিবছর বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছে। তিনি বলেন, আমাদেরকে এই অর্জন ধরে রাখতে হবে। তার জন্য ঘের মালিক, চাষী ও চাষের সাথে সংশ্লিষ্ঠ সকলকে সজাগ ও দায়িত্ববান ভুমিকা পালন করতে হবে। আমাদেরকে মৎস্য উৎপাদন, বিপনন এবং প্রক্রিয়াজাত করণ এলাকা সমুহ সব সময় পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বলেন, বিদেশে বাণিজ্যিক সুনাম অব্যাহত রাখতে এবং দেশের ভোক্তা সাধারণের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিতে অবশ্যই মৎস্য উৎপাদনে নিরাপদ স্যানিটেশন ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। কোন অবস্থাতে মৎস্য উৎপাদন এলাকায় অনিরাপদ স্যানিটেশন ব্যবস্থা রাখা যাবেনা। মনে রাখতে হবে একটুখানি ভুলের কারনে লাখ লাখ টাকা বিনিয়োগ করে উৎপাদিত মৎস্য বিক্রি করতে গিয়ে যেন আমাদেরকে বড় ধরণের বির্পযয়ের মুখে পড়তে না হয়।
তিনি উপস্থিত প্রশিক্ষনার্থীর উদ্দেশ্যে বলেন, গুনগতমানের মৎস্য উৎপাদন নিশ্চিত করতে পারলে যেমন চাষীরা আর্থিকভাবে লাভবান হবে, তেমনি উৎপাদিত মৎস্য বিদেশে রপ্তানী করে হাজার কোটি টাকা আয়ের পাশাপাশি দেশের সুনাম ধরে রাখতে হবে। সেইজন্য সকলকে যার যার অবস্থান থেকে নিরাপদ মৎস্য উৎপাদনে এগিয়ে আসতে হবে।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।