রোকন : সাধারণ গ্রাহকদের মধ্যে ভোগান্তির আরেক নাম বিদ্যুতের প্রি-পেইড মিটার। ভুয়া বিলের হয়রানি থেকে মুক্তি পেতে প্রি-পেইড এসেও মিলেনি গ্রাহকের মুক্তি। কার্ডে টাকা রিচার্জ করার আগেই নানা নামে কেটে নেয়া হয় টাকা।
গ্রাহক পারভেজ। কার্ডে টাকা রিচার্জ করাতে গিয়ে কেটে নেয়া হল মিটার ভাড়া ১৬০ টাকা, ডিমান্ড চার্জ ২০০ টাকা আর ভ্যাট ৪৮ টাকা। ১০০০ টাকার মধ্যে ৪০০ টাকা কেটে নেয় হয় তার কাছ থেকে। পারভেজ বলেন, বার বার একই ভাবে টাকা কাটছে।
পারভেজ সিপ্লাসকে বলেন- “ভ্যাট, ডিমান্ড চার্জ, মিটার চার্জ, সার্ভিস চার্জ এসব কাটার কারণে ১০০০ টাকার কার্ড কিনে ৬০০ টাকার বিদ্যুৎও ব্যবহার করতে হচ্ছে। শহরের নির্দিষ্ট আয়ের মানুষের উপর এই মিটার এখন বোঝা ।কেন কাটছে বলা হলেও কোন উত্তর নাই।
নগরীর খুলশী বিদ্যুতের সাব-স্টেশনের পেছনে প্রি-পেইড মিটার রিচার্জিং করার অফিসে গেলে অনিয়মের কথা তুলে ধরেন গ্রাহকরা। নানা নামে কেটে নেয়া টাকার রিসিটের সাথে অপর গ্রাহকের রিসিটের কোন মিল নেই । গ্রাহকরা বলেন, আসলে প্রিপেইড মিটার হচ্ছে ভোগান্তির নতুন এক মাত্রা। কি কারনে চার ধরনের ভ্যাট নিচ্ছেন আমরা জানিনা। তারাও বলেছে না।চট্টগ্রামে ১২টি ডিভিশনের আ্ওতায় প্রি-পেইড গ্রাহকের সংখ্যা ১ লাখ ৩৯ হাজার।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।