সেক্ষেত্রে ১ জানুয়ারি ২০১৭ সালে যাদের বয়স ১৮ হতে যাচ্ছে তাদের নিবন্ধন করা হবে।
ভোটার তালিকাভুক্ত করার জন্যে শিগগির নিবন্ধনের সময়সূচি নির্ধারণে সিইসি কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে বুধবার কমিশন বৈঠকে বসছে।
সোমবার ইসির উপ সচিব নুরুজ্জামান তালুকদার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, যাদের জন্ম ১ জানুয়ারি ১৯৯৯ বা তার আগে অথচ ২০১৫-২০১৬ সালের কার্যক্রমে নিবন্ধন করা হয়নি; তাদেরকে আগামী বছরের ২ জানুয়ারি তারিখে প্রকাশিতব্য খসড়া ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তির জন্য নতুন করে নিবন্ধন করা হবে।
“ডিসেম্বরের মধ্যে এ সুযোগ দিতে বুধবার কমিশন সভা রয়েছে। শিগগির সময়সূচি জানানোর জন্য ইসি এ সভায় সিদ্ধান্ত দেবে। এক্ষেত্রে বাড়ি বাড়ি যাবে, না কি নির্ধারিত উপজেলা নির্বাচন অফিস বা অন্যত্র এসে নিবন্ধন করানো হবে, তাও জানানো হবে।”
নুরুজ্জামান জানান, গত বছরের হালনাগাদে কমবয়সীদের নিবন্ধনে অপেক্ষাকৃত কম সাড়া পড়েছে। অনেকে নিবন্ধন করতে পারেনি। এ জন্যে নতুন করে তাদের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে।
এ নাগরিকরা ২০১৭ সালের ১ জানুয়ারি ভোটারযোগ্যও হচ্ছেন। এ নিবন্ধনের মাধ্যমে খসড়া ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হতে পারবেন।
গত বছর ভোটার তালিকা হালনাগাদের সময় ১৮ বছর বয়সীদের তালিকাভুক্ত করার পাশাপাশি ১৫-১৭ বছর বয়সীদেরও তথ্য সংগ্রহ করে ইসি। এতে প্রায় ৪৭ লাখ নতুন ভোটার যুক্ত হয় এ বছরের শুরুতে। এ স্তরে ১৯৯৮ সালের ১ জানুয়ারি বা তার আগে জন্মগ্রহণকারীরা নিবন্ধিত হয়।
তবে কম বয়সীদের তথ্য সংগ্রহ হয় মাত্র ২৫ লাখের মতো। এ সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ হওয়ার কথা ছিল।
দ্বিতীয় স্তরে ১৯৯৮ সালের ২ জানুয়ারি থেকে ২০০০ সালের ১ জানুয়ারি যাদের জন্ম তাদের নিবন্ধন তথ্য নেওয়া হয়।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, কম বয়সীদের নিবন্ধন তথ্যে সংগ্রহ নিয়ে আদালত পর্যন্ত গড়ালে অনাগ্রহ তৈরি হয়। এতে আশানুরূপ সাড়া মেলেনি।
এবার বাদ পড়া ভোটারদের পাশাপাশি ১৯৯৯ সালের ১ জানুয়ারি বা তার আগে যাদের জন্ম তাদের তালিকাভুক্ত করা হবে। অর্থাৎ বর্তমানে যাদের বয়স ১৭ বছর, আগামী ১ জানুয়ারি ১৮ বছর বয়স হলেই এ সুযোগে নিবন্ধিত হতে পারবেন তারা।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।