ভোটার তালিকা হালনাগাদের কাজ শেষ হচ্ছে ১৫ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার। ২৫ নভেম্বর এ ভোটার তালিকার কাজ শুরু হয়েছিল। বাদপড়া ভোটারদের তালিকাভুক্ত করার সুযোগ দিতেই নির্বাচন কমিশন (ইসি) বরাবরের মত এ উদ্যোগ নিয়েছে।
এছাড়া ভোটার এলাকাও পরিবর্তন করা যাবে। তবে এবার তথ্য সংগ্রহকারীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করবেন না। কেউ ভোটার হতে চাইলে তাকে সংশ্লিষ্ট থানা/উপজেলা নির্বাচন কমিশন অফিসে গিয়ে ভোটার হতে হবে। জানা গেছে, বয়স ১৮ অথচ এখনও ভোটার হতে পারেননি তাদেরকে ভোটার হওয়ার সুযোগ দিচ্ছে ইসি।
এ বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে ১৬ নভেম্বর মাঠ পর্যায়ে সকল উপজেলা/থানা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রেজিস্ট্রেশন অফিসার বরাবর নির্দেশনাও পাঠিয়ে ইসির সহকারী সচিব রৌশন আরা বেগম।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ভোটররা সংশ্লিষ্ট উপজেলা বা ইউনিয়ন বা পৌরসভা সচিবের দপ্তর থেকে ভোটার নিবন্ধন ফরম সংগ্রহ করবেন। তার সঙ্গে জন্ম নিবন্ধন সনদ, এসএসসি বা সমমান পরীক্ষার সনদসহ (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) অন্যান্য কাগজপত্র উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে জমা দিয়ে ভোটার নিবন্ধন করতে হবে।
নির্দেশনায় আরো বলা হয়েছে, এ সময় কেউ ভোটার এলাকা পরিবর্তন (এক স্থান থেকে অন্য স্থানে) করতে চাইলেও নির্ধারিত ফরম পূরণ করে তা করতে পারবেন।
এ বিষয়ে ইসি সচিব মোহাম্মদ আবদুল্লাহ জানান, বাদ পড়াদের ভোটার হওয়ার সুযোগ দিতেই ২৫ নভেম্বর থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত নিবন্ধনের এ সুযোগ দেওয়া হয়েছে। ২০১৭ সালের ১ জানুয়ারিতে যারা ভোটারযোগ্য হবেন তাদের জন্য এ সুযোগ।
তিনি জানান, কমিশন মনে করছে গেল বছরে নিবন্ধনের জন্য তথ্য সংগ্রহের সময় উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নাগরিক সাড়া দেয়নি। তাই এবার তাদের তালিকাভুক্ত করা হবে। আর কেউ নিবন্ধন করতে চাইলে তাকে সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাচন অফিসে আসতে হবে। ২ জানুয়ারি খসড়া প্রকাশের সময় তাদের নামও থাকবে ভোটার তালিকায়।
এই হালনাগাদে যাদের জন্ম ১ জানুয়ারি ১৯৯৯ বা তার পূর্বে অথচ ভোটার তালিকা হালনাগাদ ২০১৫-২০১৬ কার্যক্রমে নিবন্ধন করা হয়নি তাদেরকে নিবন্ধিত করে আগামী ২ জানুয়ারি খসড়া ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।