প্রাক নিবন্ধনে অনিয়মের অভিযোগের ব্যাপারে মন্ত্রী-সচিবের সিদ্ধান্তের প্রতীক্ষায় দিন গুনছেন হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) নেতারা। হাব নেতাদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে প্রাক নিবন্ধনকালে কোনো ধরনের অনিয়ম হয়েছে কিনা তা খতিয়ে সম্প্রতি ধর্মমন্ত্রী মতিউর রহমানের নির্দেশে আইটি বিশেষজ্ঞ দিয়ে প্রাক নিবন্ধন পুনঃপরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখছে।
এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও এখনও পর্যন্ত তদন্ত ফলাফলের ব্যাপারে কোনো কিছু জানতে পারেনি হজ এজেন্সিগুলো।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে হাব সভাপতি ইব্রাহিম বাহার রোববার রাতে জাগো নিউজকে বলেন, ‘মন্ত্রী-সচিব আমাদের অভিভাবক। তাদের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছি। আমরা সমস্যা সমাধানে দু’দফা প্রস্তাব দিয়েছি। এখন সমাধান অভিভাবকরাই দেবেন।’
ভুক্তভোগী হজ এজেন্সির কর্মকর্তা ও হাবের অভিযোগ, ১৯ ফেব্রুয়ারি প্রাক-নিবন্ধন করার জন্য সব এজেন্সি সার্ভার খুলে অপেক্ষা করলেও দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত কার্যক্রম শুরু হয়নি। অবশেষে কার্যক্রম শুরু হলে এক একটি ডাটা অ্যান্ট্রি করতে ১০ থেকে ১৫ মিনিট সময় ব্যয় হয়। কোনো এজেন্সি প্রথম দিনে ৪০টি ডাটা অ্যান্ট্রিও করতে পারেনি।
এছাড়া ২০ ফেব্রুয়ারি সার্ভার আরও ধীরগতি হয় এবং কখনও কখনও হ্যাং হওয়ায় ১০০টি ডাটা এন্ট্রি করারও সম্ভব হয়নি। পরবর্তীতে ১৫০ জন পূর্ণ না হলেও জটিলতা নিরসনে ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে যেকোনো সংখ্যার ভাউচার করে ব্যাংকে টাকা জমা দেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়।
এজেন্টরা ভাউচার ও টাকা নিয়ে ব্যাংকে গেলে ব্যাংক যথারীতি টাকা জমা নেয় এবং অনুমোদনের জন্য আইটিতে ইমপুট দেয়। তবে দীর্ঘ ৫ ঘণ্টা অপেক্ষা করেও বিকেল ৩টা পর্যন্ত অধিকাংশ এজেন্সি অনুমোদন পায়নি। অথচ কিছু কিছু এজেন্সি ও ব্যাংক ইমপুট দেয়া মাত্রই অনুমোদন পাচ্ছিল।
গত ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় প্রাক নিবন্ধন শুরু হয়। ২৫টি ব্যাংকের ৩ হাজার ২শ’ ৯টি শাখার মাধ্যমে মোট ১ হাজার ৯৭টি হজ এজেন্সি রোববার ৫ মার্চ পর্যন্ত মোট ১ লাখ ৭৯ হাজার ৩শ’১২ জন প্রাক নিবন্ধিত হন। এর মধ্যে চলতি বছর ১লাখ ৪১ হাজার ৮শ’২৭ জন ও ২০১৬ সালের ৩৭ হাজার ৪শ’৯৪ জন রয়েছেন।
উল্লেখ্য, চলতি বছর পবিত্র হজ পালনে মোট ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজযাত্রীর সৌদি আরব যাওয়ার কথা রয়েছে। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১০ হাজার এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১ লাখ ১৭ হাজার ১৯৮ জনের কোটা নির্ধারিত রয়েছে।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।