হাঙ্গেরিগামী প্রধানমন্ত্রীর উড়োজাহাজে যান্ত্রিক ত্রুটির ঘটনায় বিমানমন্ত্রী রাশেদ খান মেননের উপরই দায় চাপিয়েছেন এমপিরা। সোমবার জাতীয় সংসদে মাগরিবের নামাজের বিরতির পর অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে তারা কর্মচারীদের নয়, মন্ত্রীকেরই দায় নিতে হবে বলে জানান।
আলোচনার সূত্রপাত করে ঢাকা-৬ আসনের এমপি কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, বিমানমন্ত্রী কেন দায় নেবেন না? উনি হয়তো বলবেন বিমানের বোর্ড দ্বারা চলে। বোর্ড বলছে পাইলটের কথা। একজন আরেক ওপর দায়িত্ব দিচ্ছে। তদন্ত কমিটি করেছে। তদন্ত কমিটি হয় ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার জন্য। এর আসল ঘটনা কী আমরা জানতে পারবো? তিনি বলেন, কতবড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারতো। বিমানমন্ত্রী সোমবার বিবৃতি দিয়েছেন। তার কথার সঙ্গে আমরা একমত নই। সবকিছু এত ছোট করে কেন দেখা হয়। নীচের দিকের কর্মচারীদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে, কর্মকর্তাদের কিছু হয় না।
ফিরোজ রশীদ বলেন, সাধারণ মানুষ বিমানে চড়ে। তাদের জীবনের কি কোন মূল্য নেই? হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করছে বিমানের বোর্ড। বোর্ড মিটিংয়ে তারা এমপিদের চেয়ে বেশি টাকা নেন। বিমানমন্ত্রীকে দায়িত্ব নিতে হবে। এর প্রতিকার করতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা নেই। সাধারণ মানুষ তাহলে কোথায়?
জাতীয় পার্টির আরেক এমপি আবু হোসেন বাবলা বলেন, বিমানের কর্মচারী বরখাস্ত হয়েছে। কর্মকর্তাদের কিছুই হয় না। প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। কয়েকদিন আগে সৌদি আরব থেকে ফেরার সময় রানওয়েতে ধাতব বস্তু পড়েছিলো। ২০ মিনিট দেরিতে প্রধানমন্ত্রীর বিমান অবতরণ করে। সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নেই। বিমানমন্ত্রীকে বলবো মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলবেন না। তিনি বলেন, আমাদের রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী বিমানের এই করুন দশা কোনো ভাবেই মেনে নেয়া যায় না। বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রীর মতো ভিভিআইপির নিরাপত্তা নিয়ে আমরা উদ্ধিগ্ন। প্রধানমন্ত্রীর বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটির পেছনে অন্য কোনো গভীর ষড়যন্ত্র আছে কিনা তা আমাদের খুঁজে বের করতে হবে।
দুই এমপিরর এমন বক্তব্যের সঙ্গে সহমত প্রকাশ করে জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ বলেন, প্রধানমন্ত্রীর বিমানের জরুরি অবতরণ প্রত্যেককে নাড়া দিয়েছে। এটা নিয়ে আরও আলোচনা হতে পারে। আরও কঠিনতম সিদ্ধান্তে আসা উচিত। একই কথা বলেন বিএনএফের আবুল কালাম আজাদ। তিনি বলেন, বিমানের ওই ঘটনা নাশকতা কীনা সেটা খতিয়ে দেখা দরকার।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।