আহতরা হলেন- একই উপজেলার দয়ারপাড়া গ্রামের আবুল হাশেমের ছেলে নুরুল হক (২৭) ও ট্রাকচালক কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার উত্তর হারবাং এলাকার চেয়ারম্যান পাড়া গ্রামের দলিলুর রহমানের ছেলে মোহাম্মদ ইলিয়াছ।
আহত চালক মোহাম্মদ ইলিয়াছ সাংবাদিকদের জানান, শনিবার মাঝরাত ১১টার দিকে নিজেদের বাড়ি থেকে মহেশখালীর রাসেল ব্রিক ফিল্ডের উদ্দেশে তারা রওনা হন। তাদের ট্রাকটি জামাই ধরনির উঠনি নামকস্থানে পৌঁছলে ডাকাতরা টর্চলাইটের আলো ফেলে থামানোর সিগন্যাল দেয়।
তিনি বলেন, ‘ডাকাতদের সশস্ত্র অবস্থায় দেখে আমি আত্মরক্ষার্থে দ্রুত গাড়ি চালিয়ে চলে আসার চেষ্টা করি। ওই সময় ডাকাত দল ৪-৫ রাউন্ড গুলিবর্ষণ করে।’
ইলিয়াছ জানান, ডাকাত দলের এলোপাতাড়ি গুলি গাড়ির সামনের আয়না ভেঙে মিজানুর রহমানের গলা ও মুখে এবং নুরুল হকের বুকে ও হাতে লাগে। ওই সময় তারা গাড়িতেই লুটিয়ে পড়েন।
গুলিবিদ্ধ দু’জনকে নিয়ে দ্রুত মহেশখালী উপজেলা হাসপাতালে আসেন আহত চালক মোহাম্মদ ইলিয়াছ। হাসপাতালে আসার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক মিজানুর রহমানকে মৃত ঘোষণা করেন এবং আহত নুরুল হককে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করেন।
মহেশখালী থানার ওসি মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন সাংবাদিকদের জানান, আহত চালকের মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ হাসপাতাল থেকে লাশ উদ্ধার করেছেন। গুরুতর আহত নুরুল হককে জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
তিনি জানান, নিহত গাড়ি শ্রমিক মিজানুর রহমানের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।