কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার উপ-দ্বীপ মাতারবাড়ী যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম চালিয়াতলী-মাতারবাড়ী সংযোগ সড়ক সংস্কার কাজে ব্যাপক অনিয়ম দূর্ণীতি লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। দায়িত্বে নিয়োজিত ঠিকাদার কুদ্দুস কন্ট্রাকশন নামে একটি প্রতিষ্টান ক্ষমতাসিন দলের প্রভাবশালী ব্যাক্তির নাম ভাঙ্গিয়ে হরিলুট করে নিম্মমানের কাজ চালিয়ে সরকারী জরুরী বরাদ্দকৃত ২৫ লক্ষ টাকা ক্ষয়ক্ষতি করে যাচ্ছে। এতে ক্ষুদ্ধ এলকাবাসীও উক্ত সড়ক দিয়ে চলাচলরত লোকজন। সরেজমিন পরির্দশন করে জানা যায়, সরকারিভাবে সিডিউল মোতাবেক কাজ করার কথা থাকলেও নিয়োজিত ঠিকাদার কুদ্দুস তা করছেনা।
স্থানিয় সচেতন লোকজন চালিয়াতলী-মাতারবাড়ী সংযোগ সড়ক নিমার্ণ কাজে নিয়োজিত লোকদের কাছ থেকে কাজের খোঁজ খবর নিতে চাইলে তারা উল্টো ক্ষেপে যায়। অনিয়ম ও তাদের মনগড়া ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তবে সরকারীভাবে ২৫ লক্ষ টাকার মত এই প্রকল্পটির জন্য বরাদ্দ দেয়। কিন্তু তাতে কাজ হচ্ছে অত্যন্ত ন্মিমানের। ইট,রড়, সিমেন্ট, বালি, লবণাক্ত পানির ব্যবহার, যা দেখে মাতারবাড়ী ধলঘাট দ্বীপের জনসাধারণের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। যে ভাবে নড় বড়ভাবে কাজ শুরু হয়েছে এতে তা অল্পতে ভাঙ্গানের আশংকা রয়েছে। প্রায় সময় সড়কটি সাগরের জোয়ারের পানিতে ভেঙ্গে যাওয়ায় চরম দুভোর্গে পড়ে লোকজন। এ ব্যাপারে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে স্থানিয় ও জাতীয় পত্রিকায় তথ্যবহুল সংবাদ প্রকাশ হলে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের নজরে আসলে প্রকল্পটি জরুরী বরাদ্দ দিয়েছে বলে জানা গেছে। জানা যায়, সরকার এলাকার লোকজন ভালভাবে যাতায়াতের জন্য ২৫ লক্ষ টাকা ব্যায় করে ঠিকাদার মারফত কাজ করে গেলে ও দূণীর্তিবাজ এসব ঠিকাদার লোভে পড়ে নিম্মমানের কাজ করে সমাজ ও দেশের উন্নয়নের কাজকে বাধাগ্রস্ত করে চলছে। এসব নিম্মমানের কাজের জন্য মাস না হতে সড়ক ভেঙ্গে খান খান হয়ে যাচ্ছে। উক্ত সড়কে নিম্মমানের কাজ শুরু হওয়া সোস্যাল মিডিয়া ফেইসবুকে সমলোচনা ঝড় উঠেছে। কক্সবাজার উপকূলীয় সাংবাদিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক হোবাইব সজীবের ফেইসবুকে চালিয়াতলী-মাতারবাড়ী সংযোগ সড়কে সংস্কাররের নামে চলছে হরিলুট ফোষ্ট করা পেইজে কমান্ডে করে মাতারবাড়ীর সাদেক নামে এক যুবক লিখেছেন ২৫লক্ষ টাকার মধ্যে যদি অর্ধেক টাকার কাজ হত তা হলো জনগণ জনদুভোর্গে পড়ত না। মাতারবাড়ী শ্রমিক লীগের সভাপতি হাজী মানিক একই মন্তব্য করেছেন।
চালিয়াতলী-মাতারবাড়ী সংযোগ সড়ক সংস্কার কাজে নিয়োজিত ঠিকাদার কুদ্দুসের সাথে এসব বিষয়ে জানতে মুঠোফোনে যোগযোগ করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়ায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভাব হয়নি।
এ ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে মহেশখালী উপজেলা নিবার্হী অফিসার মোঃ আবুল কালাম বলেন, যদি নিম্মমানের সামগ্রী দিয়ে উক্ত সড়কের সংস্কার কাজ করা হয় খোঁজ খবর নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ###
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।