প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় কক্সবাজারের মহেশখালীর কালারমারছড়ার মাদরাসাছাত্রী নাহিদা আকতারকে (১৫) চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে সারা শরীরে জখম করেছে জাহিদুল ইসলাম নামের আহলে সুন্নি আল জামাতের এক কর্মী।
কক্সবাজারের মহেশখালীর ক্রাইমজোন খ্যাত কালারমারছরায় এ ঘটনা ঘটে। আহত মাদরাসাছাত্রী মুখ, কপাল, হাত ও শরীরের একাধিক স্থানে জখম নিয়ে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে কাতরাচ্ছে।
আহত নাহিদা আকতার মহেশখালীর কালারমারছড়া আর্দশ দাখিল মাদরাসার নবম শ্রেণির ছাত্রী ও ফকিরজুম পাড়ার মোহাম্মদ হোছাইনের মেয়ে।
স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, নাহিদাকে প্রেমের প্রস্তাব দেয় জাহিদুল ইসলাম। প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় গত সোমবার বিকেলে নাহিদার বাড়িতে হামলা চালিয়ে নাহিদার শরীরের বিভিন্ন অংশে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে ক্ষতবিক্ষত করে।
গুরতর আহত নাহিদাকে প্রথমে মহেশখালী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে অবস্থার অবনতি হলে কক্সবাজার সদর হাসাপাতালে প্রেরণ করা হয়।
কক্সবাজার সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. সোলতান আহমদ সিরাজী জানান, ধারাল অস্ত্রের আঘাতে নাহিদার গালে, কপালে, হাতে ও শরীরের আরও কয়েক স্থানে জখম রয়েছে। তাকে সারিয়ে তুলতে যথাযথ তদারকি করা হচ্ছে।
এই ঘটনায় নাহিদার বাবা বাদী হয়ে জাহিদুল ইসলামকে প্রধান আসামি করে ৭ জনের বিরুদ্ধে মহেশখালী থানায় মামলা করেছেন।
মহেশাখালী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, মামলার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। কিন্তু হামলার পর থেকে জাহিদুল এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ায় তাকে এখনো গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। তাকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান ওসি।
এ প্রসঙ্গে কক্সবাজারের পুলিশ সুপার ড. একেএম ইকবাল হোসেন বলেন, ঘটনার বিষয়ে মামলা হয়েছে। বিষয়টি জানার পর দ্রুত পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে। জড়িতদের বিরুদ্ধে যথাযত আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।