কক্সবাজারের দ্বীপ উপজেলার মহেশখালীর মাতাবাড়ি দারিয়ারচর এলাকায় পুলিশ – ডাকাত ‘বন্দুকযুদ্ধের’ ঘটনায় ডাকাত সর্দার জয়নাল আবেদ জুনুকে প্রধান আসামি করে পৃথক দুইটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। একটি ডাকাতি প্রস্তুতি, অন্যটি অস্ত্র আইনে। পৃথক মামলায় আরো অজ্ঞাত ২০/২৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। মহেশখালি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শাওন দাশ বাদি হয়ে মামলা করেন।
মঙ্গলবার দুপুরে মহেশখালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ পিপিএমবার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
প্রসঙ্গতঃ সোমবার সন্ধ্যায় মাতারবাড়ি দারিয়ারচর এলাকায় ডাকাতি প্রস্তুতিকালে পুলিশ- সন্ত্রাসীদের মধ্যে ‘বন্দুকযদ্ধে’র ঘটনা ঘটেছে।
ওই সময় পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই)সহ ৭জন আহত হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ৯ টি অস্ত্র, ৩০ রাউন্ড কাতুর্জসহ বহুমামলার পলাতক আসামি উত্তর নববিলা এলাকার আবদুল গণির ছেলে জয়নাল আবেদীন জুনুকে আটক করে।
মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ জানান, উপজেলার মাতার বাড়ির দারিয়ার চর এলাকায় একদল ডাকাত ডাকাতির নিচ্ছে এমন খবর পেয়ে পুলিশ অভিযান চালায়। এসময় ডাকাত দল পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে।
এতে উপপরিদর্শক (এসআই) ফররুখ আহমদ মিনহাজ, উপপরিদর্শক (এসআই) শাওন দাশ, উপপরিদর্শক (এসআই) জাহাঙ্গীর, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) সজিব দত্ত, কনষ্টেবল রুবেল শর্মা, ওসির দেহরক্ষি মিথুন ভৌমিক, স্থানীয় আনসার বিডিপি সদস্য বিশু শর্মা আহত হয়। আহদের স্থানীয় স্বাস্থ্যকমপ্লে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ কর্মকর্তা প্রদীপ কুমার আরও জানান, আটক জয়নাল আবেদীন জুনু’র বিরুদ্ধে ডাকাতি, অস্ত্রসহ ৯টি মামলা রয়েছে।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।