মহেশখালী উপজেলার সাগর ও নদীবেষ্ঠিত উপকূলীয় উপ-দ্বীপ মাতারবাড়ী ইউনিয়নের দক্ষিণ রাজঘাট এলাকায় ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে পুড়ে গেছে ১৫ টি বসত বাড়ী, ৪ টি দোকান।
জানা যায়, গতকাল বুধবার সকাল ৯ ঘটিকার সময় আনছারের বাড়ির রান্না ঘর থেকে হঠাৎ আগুনের সৃষ্টি হয়ে ছড়িয়ে পড়ে চতুর্দিকে। বাড়ীর লোকজন, ব্যবসায়ীরা ভীত হয়ে সবাই বেরিয়ে পড়ে। আগুনের লেলিহান শিখা চোখের পলকে মাতারবাড়ী দক্ষিণ রাজঘাট ৩ নং ওয়ার্ডের একই পরিবারের আনছার, মোকতার আহমদ ছাড়াও কামাল, রিপন, খালেদা বেগম, ছিদ্দিক মাঝি, কামাল হোছাইন, বাদশাহ মিয়া, নুরুন্নাহার, হাছু মিয়া, মোজাফ্ফর আহমদ, আবুল কালাম,দুলাল মিস্ত্রী, সাইফুল ইসলাম, মোঃ ইসলাম, শেখ আহমদ, নজরুল ইসলামের বাড়ী, পত্রিকার হকারের দোকান ও ৪ দোকানপাঠ পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এ সময় বাড়ী ও দোকান থেকে কিছুই বের করতে পারেনি কেউ। তবে স্বর্ণ ও নগদ টাকা ও পুড়ে গেছে বলে অনেক ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের লোকজন জানিয়েছেন।
এতে প্রাথমিক ভাবে ১৫ পরিবার ও ৪ দোকানের প্রায় পঁচিশ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ধারনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন চেয়ারম্যান মাষ্টার মোঃ উল্লাহ । আগুণ নিয়ন্ত্রণ আনতে গিয়ে নারী-পুরুষসহ ৩ জন আহত হয়েছে। চকরিয়া থেকে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগে এলাকার সচেতন লোকজন আগুণ নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আনতে সক্ষম হয়।
এদিকে বিকেল ৪ টার সময় মহেশখালী উপজেলা নিবার্হী অফিসার আবুল কালামে’র উপস্থিতিতে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে প্রতি পরিবারকে নগদ দুই হাজার টাকা,৪ টি কম্বল,১ বাইন টেইন বিতরণ করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের সদস্য মাশরফা জান্নাত, মাতারবাড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগ নেতা মাষ্টার মোঃ উল্লাহ, ইউপি সদস্য, রিয়াজ উদ্দিন, মোঃ আব্দুল হামেদ,সরওয়ার, মহিলা সদস্য সেকুন তাজ, কামরুনেছা কাজলসহ স্থানিয় বিপুল সংখ্যাক লোকজন।
মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আবুল কালাম আগুনে পুড়ে যাওয়া বাড়ি ও দোকানপাঠ সরেজমিনে পরির্দশন শেষে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের সহযোগিতাকালে বলেন জীবনের ঝুঁকির সত্বেও স্থানিয় চেয়ারম্যান,মেম্বারসহ জনসাধারণ আগুণ নিয়ন্ত্রনে আনতে যে অবদান রেখেছেন তা সত্যি প্রশংসার দাবিদার। এবং তাছাড়া তিনি ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে আরোও আর্থিক সহযোগিতা জন্য উর্ধ্বতন কৃর্তপক্ষের কাছে সুপারিশ পাঠাবে বলেও ঘোষণা দেন।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।