মহেশখালীতে ভূয়া ডাক্তারের অপচিকিৎসায় ডেলিভারী মহিলার মৃত্যু হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে নিহতের স্বামীর ছোট ভাই মঞ্জুর আলম বাদী হয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও থানা অফিসার ইনচার্জ বরাবর অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ২৮ মার্চ বড় মহেশখালী ইউনিয়নের মধ্যম মুন্সিরডেইল এলাকার আব্বাস মিয়ার স্ত্রী তছলিমা আক্তার তার ডেলিভারী চেকআপ করার জন্য তথাকথিত ভূয়া ডাক্তার পরিবার কল্যাণ সহকারী (এফ.ডব্লিউ.এ) ছেনোয়ারার কাছে যায়। তখন উক্ত ভূয়া ডাক্তার ছেনোয়ারা তছলিমা বেগমকে চেকআপ না করে লোভের বশীভূত হয়ে আজকের মধ্যেই অর্থাৎ ২৮ তারিখ সন্ধ্যার মধ্যেই ডেলিভারী করতে হবে, অন্যথায় রোগীর ভীষণ সমস্যা হবে বলে ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন এবং ডাক্তার ছেনোয়ারা এর জন্য ৩ হাজার টাকা দাবী করেন। এ সময় তছলিমার স্বামী ও সাথে যাওয়া অন্যান্যরা অন্য কোন উপায় না দেখে ছেনোয়ারার কথামত চিকিৎসা চালাতে সম্মতি প্রদান করেন। তখন ডাঃ ছেনোয়ারা তছলিমাকে ডেলিভারীর সময় না হওয়া সত্বেও ডেলিভারী করার জন্য ২৮ মার্চ সন্ধ্যা হতে ২৯ তারিখ সকাল পর্যন্ত অর্থাৎ সারা রাত ধরে ডেলিভারী স্যালাইন ও ইনজেকশন চালাতে থাকেন। ২৯ তারিখ সকালে ভূয়া অদক্ষ ডাক্তার ছেনোয়ারা ডেলিভারী না হওয়াতে জোর পূর্বক রোগীকে ডেলিভারী করান। এতে রোগী তছলিমার শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণ তাজা রক্ত ক্ষরণ হয়ে কিছুক্ষণের মধ্যে মৃত্যু বরণ করেন। পরে তছলিমার স্বামী ও অন্যান্যরা জানতে পারেন, তছলিমার ডেলিভারীর সময় পূর্ণাঙ্গ হয়নি। টাকার লোভে উক্ত ভূয়া অদক্ষ ডাঃ ছেনোয়ারা এই জঘন্যতম কর্মকান্ড করে তছলিমার মৃত্যু ঘটায়। এ ভূয়া ডাক্তারের বিরুদ্ধে তছলিমার স্বামীর ছোট ভাই মঞ্জুর আলম বাদী হয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও অফিসার ইনচার্জ বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। উল্লেখ্য যে, উক্ত ভূয়া ডাক্তার ছেনোয়ারা কোন প্রশিক্ষণধারী ডাক্তার নয়। তিনি লোভের বশীভূত হয়ে বেআইনীভাবে উক্ত পেশায় যান। পেশায় যাওয়ার পর থেকে তিনি বিভিন্ন সময় অদক্ষতার কারণে অনেক মা ও নবজাতক শিশুর যথাযথ চিকিৎসা করতে না পারায় মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছেন। এ ব্যাপারে তার বিরুদ্ধে অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে। তাছলিমার মৃত্যুতে তার এলাকায় শোকের মাতম ছড়িয়ে পড়েছে এবং উক্ত ছেনোয়ার বিরুদ্ধে কঠিন শাস্তির প্রদানের জন্য এলাকাবাসী জোর দাবী জানান।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।