ফায়ার সার্ভিসের অনাপত্তি সনদ ও ফায়ার লাইসেন্স নেই। পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমোদনও নেই। টিন সার্টিফিকেটও নেই। অবহিত করাও হয়নি সংশ্লিষ্ঠ দপ্তরগুলোকে।এভাবেই কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই আইন-কানুন কে পাশ কাটিয়েই মহেশখালিতে গড়ে উঠেছে লাইসেন্সবিহীন অবৈধ জ্বালানি তেলের দোকান। অতিরিক্ত লাভের আশায় উপজেলার হাটবাজারে এসব দোকান দিনদিন বৃদ্ধি পেলেও প্রশাসন নীরব ভুমিকা পালন করছে। ফলে সরকার বঞ্চিত হচ্ছে রাজস্ব থেকে। এছাড়া ওইসব অবৈধ জ্বালানি তেলের দোকানের কারণে যেকোন বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে বলেও দাবী করেছেন সংশ্লিষ্ঠরা। এসব অবৈধ জ্বালানি তেলের দোকান বৃদ্ধি পাওয়ায় নানা সমস্যায় পড়েছেন বৈধ ব্যবসায়ীরাও। আবার একই সাথে অবৈধ দোকানের ভেজাল মিশ্রিল তেল- মুবিল ব্যবহারের কারণে গাড়ির ইঞ্জিনে নানা ত্রুটি দেখা দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন ভোক্তভোগীরা।
মহেশখালি ফায়ার ষ্টেশন সূত্র জানায়, মহেশখালি উপজেলায় প্রায় ১২ টি জ্বালানি তেলের দোকান রয়েছে। এরমধ্যে ৩ টি দোকানের ফায়ার সার্ভিসের অনুমোদন থাকলেও বাকিদের নেই। তবে কোন কোন দোকানে অগ্নি নির্বাপনের ব্যবস্থা থাকলেও নেই দোকান পরিচালনা অনুমতি কিংবা অনাপত্তি সনদ। সংস্থাটির দেওয়া তথ্য মতে, গোরকঘাটা ষ্টেশনের ৬ টি দোকানের কোন ধরনের অনুমতি নেই। ৩ টি দোকানের নির্বাপন ব্যবস্থা রয়েছে।
এ বিষয়ে মহেশখালি ফায়ার ষ্টেশনের ফায়ারকর্মী আহামদুল্লাহ জানান, গোরকঘাটা বাজারে কেরোসিন, পেট্রোল, অকটেন ওডিজেল বিক্রি হওয়া দোকানের মধ্যে ৬ টি দোকানের কোন ধরনের অনুমতি নেই। এগুলো হচ্ছে এমএস ওয়েল, মদিনা এন্ড ব্রাদার্স, মোক্তার ষ্টোর, আনছার ষ্টোর, এমকে ওয়েল ও মুন্নী ওয়েলস।
মহেশখালি পৌরসভার মেয়র মকছুদ মিয়া জানান, অবৈধ জ্বালানি তেলের দোকান থেকে প্রায় বড় ধরনের অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে ২০১০ সালের ৫ জুলাই সাবেক পৌর কাউন্সিল’র গোলাম মওলার মালিকানাধীন মুন্নী ওয়েল থেকে সৃষ্ট হওয়া অগ্নিকান্ডে চক্রবর্তী মার্কেটের প্রায় ২০ টি দোকান পুড়ে যায়। ওই সময় প্রায় অর্ধকোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়। কিন্তু এরপরও অধিকাংশ তেলের দোকানদার ফায়ার সার্ভিস অনুমোদন নেননি । এটি দু:খজনক।
কক্সবাজার ফায়ার সার্ভিসের ওয়ার হাউজ ইন্সপেক্টর মো. ইদ্রিস জানান, মহেশখালিতে ওইসব জ্বালানি তেলের দোকানদারদের সাথে ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে অনেকবার যোগাযোগ করা হয়েছে। কিন্তু এতে অধিকাংশই সাড়া দেননি।
মহেশখালি থানার ওসি বাবুল চন্দ্র বণিক জানান, চলতি বছরের অক্টোবর মাসের শেষ সপ্তাহে উপজেলার প্রতিটি জ্বালানি তেলের দোকান তিনি পরিদর্শণ করেছেন। ওইসময় তিনি প্রতিটি দোকানদারকে দোকান পরিচালনার কাগজপত্রসহ থানায় যোগাযোগ করতে বলেন। এরজন্য তাদেরকে ১৫ দিন সময় বেধে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এখনো অনেকে যোগাযোগ করেননি।
মহেশখালি উপজেলার নির্বাহি কর্মকর্তা ( ইউএনও ) আবুল কালাম জানান, চলতি মাসেই অনুমতিহীন জ্বালানি তেলের দোকানে ভ্রাম্যমান আদালতে অভিযান চালানো হবে।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।