নিজস্ব প্রতিবেদকঃ মহেশখালী উপজেলার ধলঘাটা মৌজায় চাঁদার দাবীতে লবণমাঠ দখলের হুমকী-ধমকী দিয়ে আসছে একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ। লবণ মাঠের সিজন শুরু থকেই এ হুমকী ধমকী দিচ্ছে ওই সন্ত্রাসীরা। এব্যাপারে মহেশখালী ধলথাটার মৃত হাজী আবদুল জব্বার এর ছেলে লবণ মাঠের বন্ধকী মালিক বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আমান উল্লাহ গতকাল ওই সন্ত্রাসী গ্রুপের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেন। গতকাল বিকাল ৪টায় কক্সবাজার শহরের এক অভিজাত হোটেলে উক্ত সংবাদ সম্মেলন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, ওই জায়গার বন্ধকী মালিক আমান উল্লাহ।
লিখিত বক্তব্যে আমান উল্লাহ জানান, ধলঘাটা মৌজার বিএস ১৩১৪ খতিয়ানের ১৩৮৮১/১৩৮৮৭ দাগের আন্দরে ৩.২০ একর এবং বি.এস ১৩১৪ ও ২২৫ নং খতিয়ানের ১৩৮৮১/১৩৮৭৮ ও ১৩৮৭৬দাগের আন্দরে ১১কানি মোট ২৫কানি জমি রয়েছে। জায়গা গুলির মুল মালিক মৃত হাজী আবদুল গণির ছেলে বশির আহমদ। তার কাছ থেকে ২০১৬সালে ৩বছরের জন্য আমান উল্লাহ ২৫কানি জায়গা লিখিত বন্ধক নেয়। পরে জমির মালিক আমান উল্লাহর কাছ থেকে ৬কানি জায়গা ছাড়িয়া নেয়। বাকী ১৯কানি জায়গা আমান উল্লাহ বৈধভাবে ভোগ দখল করে আসছিল। কিন্তু চলতি বছরে এসে লবণ মাঠের কাজ শুরু হলে ধলঘাটার বেগুনবুনিয়া এলাকার জালাল উদ্দিনের ছেলে আকতার হোছাইনের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী গ্রুপ নিয়মিত চাঁদাদাবী করে আসছিল। তারই ধারাবাহিকতায় গত কিছুদিন আগে থেকে আকতার হোছাইনের নেতৃত্বে বশির আহমদের ছেলে সিরাজ আলম, নুর কাদেরের ছেলে আবদুল মালেক, আকতার হোছাইনের ছেলে শাকিব, চাঁদ মিয়ার ছেলে দেলোয়ার হোছাইন, জালাল উদ্দিনের ছেলে সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, মৃত শাহা আলমের ছেলে মকবুল আহমদ ও আবদু শুক্কুরের ছেলে নুরুল করিমসহ আরও ৮/১০জন সন্ত্রাসী লবণ মাঠে গিয়ে লবণচাষীদের কাছ থেকে ৫লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে। না হয় লবণমাঠ থেকে ওঠে যেতে বলে। তারা হুমকী দিয়ে বলে টাকা আদায় না হলে লবণ মাঠ করা যাবেনা। কথা যদি কানে না যায় তাহলে চাষীদের মেরে লাশ সাগরে ভাসিয়ে দেওয়া হবে বলেও হুমকী প্রদর্শন করে। তাদের এধরণের অব্যাহত হুমকীতে দিশেহারা হয়ে পড়ে চাষীরা। তারা লবণমাঠে যেতে অনিহা প্রকাশ করলে জমির বন্ধকি মালিক আমান উল্লাহ চাষীদের সাহস যোগিয়ে লবণ মাঠে যেতে বলে। তার কথায় লবণচাষীরা মাঠে গেলে ওই সন্ত্রাসীরা মাঠে গিয়ে টাকা না পাওয়ার অজুহাতে চাষীদের লবণ মাঠ থেকে তাড়িয়ে দেয় এবং এও হুমকী দেয় টাকা ছাড়া মাঠে গেলে জমির বন্ধকী মালিক আমান উল্লাহসহ সকল চাষীদের অবস্থা বেগতিক হবে বলে হুশিয়ারী উচ্চারণ করেন। যা এলাকার জনপ্রতিনিধি, প্রশাসন ও গন্যমান্য ব্যক্তিদের অবগত করা হয়। এদিকে আকতার হোছানই এর বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় জিআর ৩১/২০১৭, ১৩/২০০৮সহ বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে বলে জানা গেছে এবং ২০০৭ সালের দিকে সিরাজ আলমকে পুলিম গ্রেফতার করলে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে সিরাজকে ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগও রয়েছে। অপর দিকে ওই জায়গার মুল মালিক বশির আহমদ জানান, আমান উল্লাহর কাছে বর্তমানে আমার ১৯কানি জায়গা লবণমাঠ বন্ধক আছে। সন্ত্রাসীরা জোর করে আমানের কাছ থেকে টাকা আদায়ের চেষ্টা করছে। বর্তমানে আমান উল্লাহসহ ওই লবণ চাষীরা নিরাপত্তা হীনতায় ভোগছেন এবং সন্ত্রাসীরা ওই লবণমাঠ জোরপুর্বক ভোগ দখলের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এদিকে প্রশাসনের হস্থক্ষেপ কামনা করেছেন অসহায় লবণচাষী বন্ধকী জমির মালিক আমান উল্লাহ।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।