বিশেষ প্রতিবেদকঃ প্রাকৃতিক দূর্যোগে বিপর্যস্ত মহেশখালীর ধলঘাটা ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় লবণ উৎপাদন শুরু হয়েছে। তবে, উত্তর হামিদ খালী খাল ঘোনার জমির চাষিরা এখনো লবণ উৎপাদনের কার্যক্রম শুরু করতে পারেনি। সংশ্লিষ্ট এলাকার ৭ নম্বর সøুইচ গেইটটি বন্ধ থাকায় এ এলাকার প্রায় আড়াইশ একর জমিতে লবণ উৎপাদন প্রক্রিয়া শুরু করা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন স্থানীয় ইউপি সদস্য জমির উদ্দিন মেম্বার ও ব্যবসায়ী নুরুল হোছাইন।
ধলঘাটার বনজামিরা ঘোনার বাসিন্দা জমির উদ্দিন মেম্বার ও ব্যবসায়ী নুরুল হোছাইন জানান, প্রতি বছর বনজামিরা ঘোনার পশ্চিম ও উত্তর পাশে থাকা উত্তর হামিদ খালী খাল ঘোনার জমির মালিকরা সর্বপ্রথমে লবণ উৎপাদন করতে সক্ষম হতো। কিন্তু চলতি বছর ৭নং সুইচ গেইটের পশ্চিমে বাঁধ দেয়ায় সাগরের লবণাক্ত পানি ভিতরে ঢুকতে পারছে না। ফলে হামিদ খালী খাল ঘোনার লবণ চাষীরা পানির অভাবে লবণ মাঠের কার্যক্রম শুরু করতে পারেনি। এতে সংশ্লিষ্ট জমির মালিকরা চরম হতাশায় ভোগছেন।
তারা আরো বলেন, শীঘ্রই ৭ নং সুইচ গেইট দিয়ে পানি ঢুকার ব্যবস্থা করা না হলে অত্র এলাকার প্রায় কয়েকশ লবণ চাষী ও শ্রমিক বেকার হয়ে যাবে। আর সংশ্লিষ্ট জমিতে লবণ উৎপাদন ব্যাহত হলে কয়েক কোটি টাকা লোকসান হবে এলাকার জমির মালিকদের। তাই এলাকাবাসী ও দেশের স্বার্থে শীঘ্রই উক্ত সুইচ গেইটের মুখটি খুলে দিয়ে পানি ঢুকানোর ব্যবস্থা করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবী জানিয়েছেন তারা।
ধলঘাটা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান কামরুল হাসান বলেন, ধলঘাটা ও মাতারবাড়ি এলাকায় যে উন্নয়ন কাজ চলছে তা অব্যাহত রাখতেই বাঁধটি দেয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে সøুুইচ গেইটটি কিভাবে সচল করা যায় সে ব্যবস্থা করা হবে।
মাতারবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান মাষ্টার মোহাম্মদ উল্লাহ‘র মতে জনগণ ও দেশের স্বার্থের ক্ষতি হয় এমন কাজ দ্বীপের উন্নয়নে আসা কোন পক্ষ করবে না। সংশ্লিষ্টদের শীঘ্রই সøইচ গেইট দিয়ে পানি ঢুকার ব্যবস্থা করবেন এমনটি আশা করেন তিনি।
মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বলেন, বিষয়টি জানাছিল না। এ ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে সমস্যা সমাধানে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।