মোবাইল ফোনে মাকে দেয়া এমন ওয়াদা রক্ষা করলো না পুত্র তারেক আজিজ। রাতেই তার ফোন বন্ধ হয়ে যায়। গত ১১দিন ধরে খোঁজাখুঁজির পর ছেলের সন্ধান পায়নি পরিবার। ছেলেকে না পেয়ে আমার “মা লায়লা বেগম পাগল প্রায়। এ অবস্থায় গত ২৪ মার্চ মহেশখালী থানায় আমার মা’কে বাদী করে একটি সাধারণ ডাইরি দায়ের করেছি। বড়ভাইকে খোঁজতে বের হওয়া ছোট ভাই আব্দুল আজিজ এসব কথা বলেছেন।
তিনি বলেন, আমার ভাই ২ বছর আগে স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে মালয়েশিয়া পড়তে গিয়েছিল। সেখান সুবিধা করতে না পেওে বাড়িতে চলে এসে চাষাবাদের কাজ দেখাশুনা করতো। গত ২০মার্চ দাদীর জন্য কাপড় আনতে গিয়ে আমার ভাই নিখোঁজ হন। কোথায় আছে, কিভাবে আছে, আদৗ বেঁচে আছে কিনা কিছুই আমরা জানি না আমরা। থানা পুলিশ বলছে বিষয়টি তারা তদন্ত করবে। আমরা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
নিখোঁজ তারেক কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ি মাইজপাড়া এলাকার বাসিন্দা কামাল হোসেন’র পুত্র।
থানায় দায়ের করা ডাইরি থেকে জানা যায়, গত ২০ মার্চ দাদীর জন্য কাপড় কিনতে মাতারবাড়ি থেকে চকরিয়া যায় তারেক আজিজ। ঐদিন সোমবার আছরের নামাজের পর তাঁর মোবাইল(০১৮৭৯০৪২৪০২ নং) থেকে মা’কে ফোন (০১৮৫৮০১৭৬৫৭) করে বলে আজ বাড়িতে ফিরবে না পরের দিন ২১ মার্চ মঙ্গলবার বাড়িতে ফিরে আসব। কিন্তু ছেলের জন্য মন কেঁদে উঠায় রাতে বাদীর মেয়ে তসলিমা বেগমের ফোন (০১৮৭১২৭১৪৫৭) নম্বার থেকে আবারো ফোন করা হয়। তারেক বোনকে জানায় যে তার এক বন্ধুর বাসায় রাত্রী যাপন করছে সে। এরপর থেকে মোবাইল বন্ধ থাকায় আর যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি তারেকের সাথে। এ ঘটনায় তারা আতংকের মধ্যে রয়েছেন। নিকট আত্মীয় এবং পরিচিত জনদের কাছে ছেলের খোঁজ না পেয়ে গত ২৪ মার্চ মহেশখালী থানায় এ সাধারণ ডাইরি দায়ের করা হয়। যার নং ১০৬১/১৭।
বাদী লায়লা বেগম কান্না জাড়িত কণ্ঠে বলেন, তারেকের দাদী ওমরা হজ্বে যাবে তাই আমার কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা নিয়ে দাদির জন্য কাপড় কিনতে গিয়েছিল চকরিয়া। কিন্তু সে আর ফিরে আসেনি। আমি ছেলেকে ফিরে পেতে চায়।
মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রদীপ কুমার জানান, অভিযোগের বিষয়টি আমার তদন্ত করেছি ।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।