দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় বাজেটের প্রকল্প নির্ভর এলাকা হতে যাচ্ছে কক্সবাজারের মহেশখালীর মাতারবাড়ি।এমনকি অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য সরকারের গৃহীত ও বাস্তবায়নাধীন এক্সক্লুসিভ ট্যুরিজম, ইপিজেড, মাতারবাড়ি কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র ও অর্থনৈতিক অঞ্চল হবে মাতারবাড়ি।
এ উন্নয়ন মহাযজ্ঞ স্বচোক্ষে পরিদর্শনে ১৮ নভেম্বর শুক্রবার বেলা ১২ টার সময় প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ জ্বালানী ও খনিজ বিষয়ক উপদেষ্টা ডঃ তৌফিক ই ইলাহীর নেতৃত্বে মাতারবাড়ির এ প্রকল্পের স্থান পরিদর্শন করেছেন জাপানী রাষ্ট্রদূত, জাইকা প্রতিনিধি, বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রসচিব এবং পুলিশের আইজিপিসহ ১৮ প্রতিনিধিদল।
বিশেষ প্রতিনিধি দলের বহনকারী হেলিকপ্টারটি বেলা ১২ ঘটিকার সময় মাতারবাড়ি কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পের মাঠে তৈরি হেলিপ্যাডে অবতরণ করে।
পরে বেলা তিনটায় প্রতিনিধিদলের সদস্যরা প্রকল্প বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেডের অস্থায়ী কার্যালয়ে নিরাপত্তা বাহিনী, প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি ও প্রকল্পসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নিয়ে মতবিনিময় সভা করেন। সভায় দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান পেন্টা ওশেন কনস্ট্রাকশন কোম্পানির প্রকল্প ব্যবস্থাপক আকি নরি মায়েদা প্রস্তুতিমূলক কাজের অগ্রগতি তুলে ধরেন।
পরে দলটি কয়লা ভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎ প্রকল্পের স্থান পরিদর্শন করে মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহন শেষে এলাকাবাসীর বিভিন্ন দাবি দাওয়ার কথা শুনেন। এসময় স্থানীয় জনতা মাতারবাড়ীতে স্থায়ী বেড়িবাঁধ নিয়ে সৃষ্ট জটিলতা নিরসনে সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
মাতারবাড়ি কয়লা বিদ্যুৎ এলাকায় বসবাসকারীদের উদ্দেশ্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ জ্বালানী ও খনিজ বিষয়ক উপদেষ্টা ডঃ তৌফিক ই ইলাহী বীর বিক্রম জানান, মহেশখালীর সাধারণ মানুষের ক্ষতি হয় এমন কোন কাজ করবে না সরকার।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ মোতাবেক সাধারণ মানুষের স্বার্থরক্ষা করেই বাস্তবায়িত হবে এ বৃহৎ বিদ্যুৎ প্রকল্প।তিনি আরো জানান,অচিরেই মহেশখালী হবে বাংলাদেশের উন্নয়নের স্বপ্ন দুয়ার। আমরা সব কটি মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ের মাধ্যমে এলাকার অবকাঠামো উন্নয়নসহ সকল কাজ দ্রুত সম্পন্ন করতে চাই এবং মাতারবাড়ির চতুর্পাশের বেড়িবাঁধ সংস্কারে অচিরেই পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এসময় ১৮ প্রতিনিধিদের সাথে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানী রাষ্ট্রদূত এইচই মাসাটু ওয়াটানাভি,মিকিও হাতা আয়াডা প্রধান প্রতিনিধি জাইকা বাংলাদেশ,মিসেস ইউশিহারা মাসাকো জাইকা প্রতিনিধি বাংলাদেশ, মাননীয় বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এমপি বিদ্যুৎ জ্বালানী ও খনিজ বিষয়ক মন্ত্রানালয়,মোঃ আবুল কালাম আজাদ মুখ্য সচিব প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জেষ্ঠ্য সচিব ডঃ মোঃ মোজাম্মেল হক খান,এডমিরাল মোঃ নিজার উদ্দিন ওএসপি, এনডিসি,পিএসসি চীফ অব নেভাল স্টাপ বাংলাদেশ নৌ বাহিনী, পুলিশের আইজিপি একেএম শহিদুল হক মহা পরিদর্শক বাংলাদেশ পুলিশ, মনোয়ার ইসলাম সচিব বিদ্যুৎ বিভাগ,
মেজর জেনারেল মিজানুর রহমান খান এনডিসি মহাপরিচালক আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী,রিয়ার এডমিরাল আওরঙ্গ জেব চৌধুরী মহাপরিচালক কোষ্টগার্ড,মোঃ মাহাবুব আলম অতিরিক্ত সচিব অর্থনীতিক সম্পর্ক বিভাগ,ফরিদা নাসরিন অতিরিক্ত সচিব অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ,এসএম আমিনুর রহমান অতিরিক্ত সচিব অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ,মোঃ নাজমুল আবেদীন উপসচিব বিদ্যুৎ বিভাগ,মাসুদা বেগম সহকারী প্রধান অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ,সুগতভট্রাচার্য ফটোগ্রাফার বিদ্যুৎ জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রানালয়।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন -মহেশখালী কুতুবদিয়ার সাংসদ আলহাজ্ব আশেক উল্লাহ রফিক, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এডভোকেট সিরাজুল মোস্তাফা,কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মোঃ আলী হোসেন, পুলিশ সুপার শ্যামল কান্তি নাথ, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোছাইন ইব্রাহিম,মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবুল কালাম,মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ বাবুল চন্দ বনিক,মহেশখালীর পৌর মেয়র আলহাজ্ব মকসুদ মিয়া, ধলঘাটার ইউপি চেয়ারম্যান কামরুল হাসান, মাতারবাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান মাস্টার আহমদ উল্লাহ প্রমুখ।
পেন্টা ওশেন কনস্ট্রাকশন কোম্পানির স্বাস্থ্য, সুরক্ষা ও পরিবেশ ব্যবস্থাপক সৈয়দ আসিকুর রহমান বলেন, প্রস্তুতিমূলক কাজের মধ্যে চ্যানেলে ২ দশমিক ৮ কিলোমিটার ড্রেজিং, মাটি ভরাট, স্থায়ী অফিস ভবন, জেটি ও বেড়িবাঁধ নির্মাণের কাজ চলছে। এর মধ্যে ৩৭ শতাংশের কাজ শেষ হলেও বাকি কাজ আগামী এপ্রিলের মধ্যে শেষ করা হবে।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।