২৪ নভেম্বর, ২০২৪ | ৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২১ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  মাকে হত্যার পর থানায় ছেলের আত্মসমর্পণ।   ●  মারমেইড বীচ রিসোর্টে বালিয়াড়ি দখল করে গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান   ●  যারা খেলাধূলা করছে, তারা বিএনপির শক্তিকে অনুধাবন করতে পারছে না   ●  উখিয়ার নতুন ইউএনও কামরুল হাসান চৌধুরী   ●  উখিয়ায় যৌথবাহিনীর অভিযানে শক্তিশালী গ্রেনেড উদ্ধার   ●  ছয় কোটি তরুণের দেয়াল লিখন বাংলাদেশের নতুন সংবিধান   ●  চকরিয়ায় ২টি ডাম্পার ট্রাক ও এক্সকেভেটর জব্দ   ●  ধরে নিয়ে যাওয়া ২০ বাংলাদেশী  জেলেকে ফেরত দিল আরাকান আর্মি   ●  মেরিন ড্রাইভে ইয়াবাসহ নারী আটক   ●  সড়ক দখল করে নৈরাজ্য সৃষ্টি, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিরুদ্ধে শ্লোগান দেয়ার অভিযোগে কক্সবাজারে আ.লীগের ৯১ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা

মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠাতে ৭ এজেন্সিকে অনুমতি

 

দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে বাংলাদেশিকর্মী পাঠানোর প্রক্রিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে। প্লান্টেশন, ফ্যাক্টরি ও সার্ভিস খাতে প্রায় সাড়ে ৫ হাজার কর্মী পাঠানোর (নিয়োগ) অনুমতি দিয়েছে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। প্রাথমিকভাবে বাংলাদেশের ৭টি রিক্রুটিং এজেন্সি মালয়েশিয়ায় এসব কর্মী পাঠাবে। প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) নিয়োগ অনুমতি পাওয়ার পর এসব বেসরকারি প্রতিষ্ঠান (রিক্রুটিং এজেন্সি) কর্মী পাঠানোর জন্য নিবন্ধনসহ যাচাই-বাছাই ও কর্মীর বায়োমেট্রিক কার্যক্রম শুরু করবে।
প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় ও রিক্রুটিং এজেন্সির মালিকদের সংগঠন বায়রা সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
প্রাথমিকভাবে মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠাতে নিয়োগ অনুমতি পাওয়া ৭টি রিক্রুটিং এজেন্সির মধ্যে ৬টির নাম জানা গেছে। সেগুলো হলো- ক্যাথারসিস ইন্টারন্যাশনাল, ইউনিক ইস্টার্ন প্রাইভেট লিমিটেড, আমিন ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলস, প্রান্তিক ট্রাভেলস অ্যান্ড ট্যুরিজম, আল ইসলাম ওভারসিজ ও আইএসএমটি হিউম্যান রিসোর্স।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) জাবেদ আহমেদ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দ্য রিপোর্টকে জানান, আমরা ৫ হাজারের কিছু বেশি কর্মীর চাহিদাপত্রের নিয়োগ অনুমতি দিয়েছি। এখন বিএমইটির মাধ্যমে বাকি কাজ হবে। যারা কাজ পেয়েছে তারা কর্মীদের তালিকা দেবে, অনলাইনে যাচাই-বাছাই হবে।
বিএমইটির মহাপরিচালক মো. সেলিম রেজা বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দ্য রিপোর্টকে জানান, ম্যানুফ্যাকচারিং ও প্লান্টেশনখাতে ৭টি রিক্রুটিং এজেন্সিকে ৫ হাজারের কিছু বেশি কর্মীর চাহিদাপত্রে নিয়োগ অনুমতি দেওয়া হয়েছে। সামনে অন্যরাও কাজ পাবে। মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য কর্মীদের অভিবাসন ব্যয় (খরচ) প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘জিটুজি প্লাস’ চুক্তিতে যা বলা হয়েছে সেভাবেই হবে।
তবে মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠাতে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণায় হতে নিয়োগ অনুমতি পাওয়া ক্যাথারসিস ইন্টারন্যাশনালের মালিক ও বায়রার মহাসচিব রুহুল আমিন স্বপন দ্য রিপোর্টকে বলেন, খরচের ব্যাপারে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। আলোচনা করেই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হবে।
মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠাতে সিন্ডিকেটের অভিযোগ অস্বীকার করে বায়রা মহাসচিব জানান, এ ধরনের অভিযোগ মোটেই সত্য নয়। প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে মালয়েশিয়ায় ৯ শতাধিক রিক্রুটিং এজেন্সির তালিকা পাঠানো হয়েছে। সেখানকার সরকার প্রাথমিকভাবে ১০টি রিক্রুটিং এজেন্সিকে চাহিদাপত্র দিয়েছে। পরবর্তীতে এ সংখ্যা আরও বাড়বে বলেই মনে করি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, বিএমইটির নিয়োগ অনুমতির পাওয়ার পর সংশ্লিষ্ট রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো কর্মীদের কাছ থেকে পাসপোর্ট সংগ্রহ করবে।এরপর তাদের তালিকা মালয়েশিয়ায় পাঠাব। যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া হবে। বায়োমেট্রিক সম্পন্ন করে দেশটিতে অন্যান্য প্রক্রিয়া শেষে কর্মী পাঠানো হবে।
বাংলাদেশের অন্যতম বড় শ্রমবাজার মালয়েশিয়া ২০০৯ সালে কর্মী নেওয়া বন্ধ করে দেয়। ২০১২ সালের ২৬ নভেম্বর সরকারিভাবে (জিটুজি) কর্মী পাঠাতে দুই দেশ চুক্তি করে। এরপর মালয়েশিয়া পাঁচ বছরে পাঁচলাখ লোক নেওয়ার আশ্বাস দিলেও আড়াই বছরে আট হাজার কর্মী যায়। তবে সাগরপথে অবৈধভাবে বিপুলসংখ্যক লোক মালয়েশিয়া যায়। ২০১৫ সালের মে মাসে থাইল্যান্ডে এবং পরে মালয়েশিয়ায় গণকবর পাওয়ার পর বিশ্বজুড়ে হইচই হলে আবারও বাংলাদেশ থেকে বেসরকারিভাবে কর্মীনেওয়ার প্রস্তাব দেয় মালয়েশিয়া।
বিগত ২০১৬ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারিদুই দেশের মধ্যে ‘জিটুজি প্লাস’ সমঝোতা চুক্তি সই হওয়ার পরদিনই মালয়েশিয়া বিদেশি কর্মী না নেওয়ার ঘোষণা দেয়। এতে কর্মী পাঠানোর প্রক্রিয়া ঝুলে যায়। এরপর গত নভেম্বরে মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল বাংলাদেশে আসে। ওই বৈঠকেই আবার কর্মী পাঠানোর এই প্রক্রিয়া শুরু হয়। উভয় দেশের সরকারি বেসরকারি পর্যায়ে দীর্ঘ প্রক্রিয়া শেষে অবশেষে মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া শুরু হলো।
মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানো ও নেওয়ার সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এবার দেশটিতে কর্মী যাবে সম্পূর্ণ অনলাইন বা ডিজিটাল পদ্ধতিতে। অতীতের মতো যাতে কিছুদিনের মধ্যেই দেশটির শ্রমবাজার নষ্ট না হয় সেজন্য কর্মী বাছাই প্রক্রিয়া থেকে শুরু করে সবকিছুতেই স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা হবে।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।