আগের চারটি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের কারোরই শতক করার কৃতিত্ব ছিল না। গত সোমবার ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ইতিহাস গড়ার ম্যাচে ওই অপূর্ণতা ঘোঁচানোর পর নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে আরেকটি অসাধারণ শতকের ইনিংস খেললেন মাহমুদুল্লাহ।
ইংল্যান্ডকে ১৫ রানে হারিয়ে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের কোয়ার্টার-ফাইনালে ওঠার ম্যাচে ১০৩ রান করেন মাহমুদুল্লাহ। আর এবার স্বাগতিক নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে হার না মানা ১২৮ রান করলেন তিনি।
ওয়ানডেতে এর আগে একবারই বাংলাদেশের কোনো ব্যাটসম্যান টানা দুই ম্যাচে শতক করেছিলেন; ২০০৬ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওই কৃতিত্ব দেখান শাহরিয়ার নাফিস।
১৯৯৯ সালে বিশ্বকাপ অভিষেকেই দুটি জয়, ২০০৭ বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্ব পেরিয়ে সুপার সিক্সে ওঠার কৃতিত্বও দেখায় বাংলাদেশ। কিন্তু কারো শতক না থাকাটা বড় একটা অপ্রাপ্তি হয়েছিল। সেটা এবার বিশ্বস্ত হাতে ঘোঁচালেন মাহমুদুল্লাহ।
অস্ট্রেলিয়া ও নিউ জিল্যান্ডের এবারের বিশ্বকাপের এই দুটি ম্যাচেই দলের দু:সময়ে হাল ধরেন মাহমুদুল্লাহ। যা তার ইনিংস দুটির মাহাত্ব্য আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে।
অ্যাডিলেইড ওভালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৮ রানে ২ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়া দলকে কক্ষপথে ফেরাতে দেখে-শুনে ১৩৮ বলের অসাধারণ ইনিংসটি খেলেন মাহমুদুল্লাহ।
শুক্রবার হ্যামিল্টনের সেডন পার্কেও দলের বড্ড খারাপ অবস্থায় ক্রিজে আসেন মাহমুদুল্লাহ, ৯.৪ ওভারে তখন বাংলাদেশের স্কোর ছিল ২৭/২। সৌম্য সরকারের সঙ্গে ৯০ রানের জুটি গড়ে শুরুর ধাক্কা কাটান ডান-হাতি এই ব্যাটসম্যান। শেষ পর্যন্ত ১২৩ বলের অপরাজিত ইনিংসে ১২টি চার ও ৩টি ছক্কায় ক্যারিয়ার সেরা ওয়ানডে ইনিংস খেলেন তিনি।
২০০৭ সালে অভিষেকের পর থেকে প্রথম ১১৩ ওয়ানডেতে কোনো শতক ছিল না মাহমুদুল্লাহর। আর এবার টানা দুই ম্যাচে অসাধারণ এই কৃতিত্ব দেখালেন তিনি।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।