দু’দেশের মধ্যে রাজনৈতিক টানাপড়েনের জের ধরে মিশরে অনির্দিষ্টকালের জন্য তেল রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছে সৌদি আরব। পরবর্তী ঘোষণা না আসা পর্যন্ত এই তেল রপ্তানি বন্ধ থাকবে বলে কায়রোকে সাফ জানিয়ে দিয়েছে রিয়াদ।
জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে রাশিয়ার সিরিয়া বিষয়ক প্রস্তাবে মিশরের সমর্থন দেয়াকে কেন্দ্র করে রিয়াদ ও কায়রোর মধ্যে রাজনৈতিক টানাপড়েন সৃষ্টি হয়।
গত এপ্রিলে সৌদি রাজা সালমান বিন আব্দুল আজিজের কায়রো সফরের সময় দু’দেশ ২,৩০০ কোটি ডলার মূল্যের তেল চুক্তি সই করে। চুক্তি অনুযায়ী আগামী পাঁচ বছরে মিশরকে সাত লাখ টন তেলজাত পণ্য দিতে সম্মত হয় সৌদি আরব।
মিশরের তেলমন্ত্রী তারেক আল-মুল্লা
কিন্তু গত মাসের গোড়ার দিক থেকে সৌদি আরবের জাতীয় তেল কোম্পানি আরামকো মিশরে তেলজাত পণ্য রপ্তানি বন্ধ করে দেয়। মিশরীয় কর্মকর্তারা আশা করছিলেন, খুব শিগগিরই আবার এ সরবরাহ চালু হবে। কিন্তু মিশরের তেলমন্ত্রী তারেক আল-মুল্লা সোমবার জানিয়েছেন, আপাতত আর কায়রোকে তেলজাত পণ্য না দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রিয়াদ। এর কারণ সম্পর্কে সৌদি আরব মিশরকে কোনো ব্যাখ্যা দেয়নি বলেও জানিয়েছেন তিনি।
অবশ্য এর আগে মিশরীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছিলেন, ‘রাজনৈতিক কারণে’ দেশটিতে তেল রপ্তানি বন্ধ করেছে রিয়াদ এবং এ পরিস্থিতি চলতি বছরের শেষ নাগাদ অব্যাহত থাকতে পারে। এ অবস্থায় গত ১ নভেম্বর ইরাকের কাছ থেকে তেল কেনার জন্য সমঝোতা স্মারক সই করে মিশরের তেল মন্ত্রণালয়।
রিয়াদ ও কায়রোর মধ্যে রাজনৈতিক টানাপড়েন
মিশর গতমাসে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে রাশিয়ার সিরিয়া বিষয়ক প্রস্তাব সমর্থন করায় ক্ষুব্ধ হয় সৌদি আরব। রিয়াদ ছিল ওই প্রস্তাবের ঘোর বিরোধী। এ ছাড়া, ইয়েমেনে সৌদি আগ্রাসনেও কোনো রকম সমর্থন দেয়ার আগ্রহ দেখায়নি মিশর। এর জের ধরে এর আগে মিশরীয় নাগিরিকদের ভিসা দেয়া বন্ধ করে দেয় রিয়াদ।#
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।