মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে সেনাবাহিনীর নিপীড়ন থেকে বাঁচতে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে চার লাখের বেশি রোহিঙ্গা মুসলিম। প্রতিদিনই নতুন করে কয়েক হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আসছে।
পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা বলছে, সেনাবাহিনী রাখাইনে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে, লোকজনকে হত্যা করছে, নারীদের ধর্ষণ করছে। কিন্তু রোহিঙ্গা মুসলিমদের এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে মিয়ানমার।
রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে অবশেষে প্রকাশ্যে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছেন মিয়ানমারের ডি ফ্যাক্টো নেত্রী অং সান সুচি। স্থানীয় সময় সকাল ৯টা ৪ মিনিটে টেলিভিশনে ভাষণ দেন তিনি। এএফপির খবরে বলা হয়েছে, ওই ভাষণে সু চি বলেছেন, আন্তর্জাতিক চাপে ভীত নয় মিয়ানমার।
গত মাসে সহিংসতা শুরুর পর থেকে প্রায় ৪ লাখ ১০ হাজার রোহিঙ্গা মুসলিশ পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। সু চি বলেছেন, যারা বাংলাদেশে পালিয়ে গেছে তাদের মধ্যে যারা পুনর্বাসনের জন্য যোগ্য বিবেচিত হবেন যে কোনো সময় তাদের সঠিক অবস্থান যাচাই করবে মিয়ানমার।
রোহিঙ্গা সংকট শুরু হওয়ার পর এই প্রথম জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিলেন সু চি। তিনি বলেন, মিয়ানমার সেনাবাহিনী শান্তিরক্ষায় অঙ্গীকারবদ্ধ। শান্তি না আসা পর্যন্ত সেনা অভিযান চলবে। আমরা শান্তি এবং ঐক্য চাই। যুদ্ধ চাই না।
সব ধরণের মানবাধিকার লঙ্ঘনের তীব্র নিন্দা জানিয়ে সু চি বলেন, রাখাইনে যে কোনো ধরনের নির্যাতনের ঘটনায় জড়িতদের বিচারের সম্মুখীন করা হবে।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।