১৯ এপ্রিল, ২০২৫ | ৬ বৈশাখ, ১৪৩২ | ২০ শাওয়াল, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  সিবিআইইউ’তে বর্ণাঢ্য আয়োজনে বাংলা নববর্ষ উদযাপন হয়েছে।   ●  গভীর রাতে পাহাড়ের মাটিভর্তি একটি ড্রাম ট্রাক( ডাম্পার) জব্দ করেছে কক্সবাজার বনবিভাগ   ●  অস্ত্র উদ্ধার ও ওয়ারেন্ট তামিলে জেলার শ্রেষ্ঠ হলেন এসআই খোকন কান্তি রুদ্র   ●  উখিয়ায় সাংবাদিক জসিম আজাদের জমি ও বসতবাড়ি দখলের চেষ্টায় হামলা   ●  কৃষকদল নেতা পরিচয়ে জমি দখল গুলি বর্ষণ আটক ১   ●  উখিয়া রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনারের ৫ সদস্যের প্রতিনিধিদল পরিদর্শন   ●  প্রথম ধাপে এক লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গাকে ফেরত নিতে রাজি মিয়ানমার   ●  পালং আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় এসএসসি’১৮ ব্যাচের ইফতার মাহফিল সম্পন্ন   ●  উখিয়া সমাজসেবা কর্মচারীর নামে বিধবা ভাতা’র টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ   ●  ‘পটভূমি পরিবর্তনের জন্য সাংবাদিকদের ভূমিকা অনস্বীকার্য’ – সরওয়ার জাহান চৌধুরী

মুশফিকের ক্যারিয়ারসেরা ইনিংসে বাংলাদেশের লড়াকু ২৬১

খেলাধুলা ডেস্ক: প্রথম ওভারেই বিপর্যয়। ১ রানে নেই ২ উইকেট। এরপর আবার তামিম ইকবালও হাতে ব্যথা পেয়ে মাঠ ছাড়লেন। বাংলাদেশ দল তখন মহাবিপদে। দুবাইয়ে লঙ্কানদের বিপক্ষে এশিয়া কাপের প্রথম ম্যাচে এমনই বিপদে পড়েছিল টাইগাররা, যেখান থেকে ঘুরে দাঁড়ানো বেশ কঠিন ছিল।

সেই কঠিন কাজটিই করেন মোহাম্মদ মিঠুন আর মুশফিকুর রহীম। তৃতীয় উইকেটে ১৩১ রানের বড় জুটি গড়ে দলকে খাদের কিনারা থেকে উদ্ধার করেন এই যুগল। তাদের জুটির উপর ভর করেই বড় সংগ্রহ গড়ার স্বপ্ন দেখছিল টাইগাররা।

কিন্তু এই জুটিটি ভাঙার পরই কি যেন হয়ে যায়! ৬৩ রান করে মিঠুন ফেরার পর দ্রুত মাহমুদউল্লাহ আর মোসাদ্দেক হোসেনের উইকেট হারিয়ে ফের বিপদে পড়ে যায় বাংলাদেশ। মেহেদী হাসান মিরাজ আর মাশরাফি বিন মর্তুজাকে একটু চেষ্টা করেছিলেন, তবে বেশিদূর এগোতে পারেননি। মিরাজ ১৫ আর মাশরাফি ১১ রান করে সাজঘরে ফিরেন।

তবে মুশফিক একটা প্রান্ত ধরে লড়েছেন বীরের মতো। সতীর্থদের আসা যাওয়ার মাঝেও দাঁতে দাঁত চেপে এগিয়ে গেছেন বাংলাদেশ দলের এই ব্যাটিং ভরসা। তুলে নিয়েছেন দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি, যেটি তার ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ ওয়ানডে শতক।

নবম উইকেটে মোস্তাফিজুর রহমানকে নিয়ে ২৬ রানের একটি জুটি গড়েন মুশফিক। ১০ রান করে মোস্তাফিজ রানআউটের কবলে পড়েন। এমতাবস্থায় সবাইকে অবাক করে দিয়ে মাঠে নেমে যান তামিম ইকবাল। ওভারের শেষ বলটি এক হাতেই ঠেকিয়ে দেন তিনি।

এরপর মুশফিক একাই লড়েছেন। অবিশ্বাস্য এক ইনিংস খেলেছেন। শেষ ওভারে ১৪৪ রান করে অবশেষে থামেন তিনি। ১৫০ বলে ১১ বাউন্ডারি আর ৪ ছক্কায় গড়া তার ইনিংসটা ক্যারিয়ারসেরা, বাংলাদেশের কোনো ব্যাটসম্যানের ওয়ানডেতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ইনিংস। তার এমন বীরত্বপূর্ণ ইনিংসে ভর করে শেষপর্যন্ত ২৬১ রানে অলআউট হয় টাইগাররা, ৩ বল বাকি থাকতে।

লঙ্কানদের পক্ষে সবচেয়ে সফল ছিলেন মালিঙ্গা। দীর্ঘ এক বছর পর ওয়ানডে দলে ফেরা এই পেসার ২৩ রানে নেন ৪টি উইকেট।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।