২৭ নভেম্বর, ২০২৪ | ১২ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৪ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  মহেশখালীতে তুলে নিয়ে সাংবাদিক মাহবু্বের উপর হামলা   ●  ব্যাটারী চালিত ই-বাইক মালিক সমিতি মরিচ্যা ও মৌলভী পাড়া কমিটি অনুমোদন   ●  টেকনাফ সমুদ্রে গোসলে নেমে মাদ্রাসার এক ছাত্রের মৃত্যু দুই ছাত্র নিখোঁজ।   ●  মাকে হত্যার পর থানায় ছেলের আত্মসমর্পণ।   ●  মারমেইড বীচ রিসোর্টে বালিয়াড়ি দখল করে গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান   ●  যারা খেলাধূলা করছে, তারা বিএনপির শক্তিকে অনুধাবন করতে পারছে না   ●  উখিয়ার নতুন ইউএনও কামরুল হাসান চৌধুরী   ●  উখিয়ায় যৌথবাহিনীর অভিযানে শক্তিশালী গ্রেনেড উদ্ধার   ●  ছয় কোটি তরুণের দেয়াল লিখন বাংলাদেশের নতুন সংবিধান   ●  চকরিয়ায় ২টি ডাম্পার ট্রাক ও এক্সকেভেটর জব্দ

‘মূর্তি’ নিয়ে হেফাজতের বিতর্ককে গুরুত্ব দিচ্ছে না আ.লীগ

সুপ্রিম কোর্ট চত্বরে স্থাপিত গ্রিক দেবীর ভাস্কর্যকে কেন্দ্র করে হেফাজতে ইসলামের আন্দোলনকে গুরুত্ব দিচ্ছে না ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। দলটির কেন্দ্রীয় নেতাদের মতে, হেফাজত ‘মূর্তি’ বিষয়ক বিতর্ক তুলে মূলত আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকতে চাইছে। সামনে জাতীয় নির্বাচন, তাই নিজেদের আলোচনায় রেখে ফায়দা হাসিল করতে তারা তৎপরতা শুরু করেছে। আর তাদের ওপর ভর করেছে সরকাবিরোধী শক্তিগুলো। তারা হেফাজত ইসলামকে ইন্ধন দিচ্ছে, নানা স্বপ্ন দেখাচ্ছে। তাই ভাস্কর্যকে কেন্দ্র করে মাঠ গরমের চেষ্টা করছে কাওমি মাদ্রাসা ভিত্তিক এই সংগঠনটি। আওয়ামী লীগের একাধিক কেন্দ্রীয় নেতার সঙ্গে আলোচনাকালে তারা এমন অভিমত প্রকাশ করেন।

আওয়ামী লীগের দলীয় সূত্র জানায়, হেফাজতে ইসলাম উচ্চবাচ্য করলেও শেষ পর্যন্ত তারা মাঠে আসতে পারবে না। তারা বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার নজরদারিতে আছে। শিগগিরই তারা দমে যাবে।

সরকারের নীতি-নির্ধারকরা বলছেন, ভাস্কর্যকে ইস্যু করে মাঠে নামার কোনও সুযোগ হেফাজত পাবে না। তারা আসলেই মাঠে নামবে না। বক্তব্য-বিবৃতির মধ্য দিয়ে নিজেদের জাহির করাই তাদের লক্ষ্য। তাদের ব্যাপারে হার্ডলাইনে সরকার। ২০১২ সালের ৫ মে যেভাবে তাদের মোকাবিলা করা হয়েছে, এবার কোনও ঝামেলা করতে চাইলে তার চেয়ে কঠোরভাবে দমন করা হবে। ছাড় দেওয়ার কোনও মানসিকতা নেই সরকারের। এমন ইঙ্গিত পাওয়া গেছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের কাছ থেকেও।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সুপ্রিম কোট চত্বরে ভাস্কর্য স্থাপন নিয়ে হেফাজতে ইসলাম দেওয়া একটি বক্তব্য দৃষ্টিগোচরে এসেছে। তাদের নজরদারিতে রাখা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা ভঙ্গের মতো কোনও ঘটনা তারা ঘটাতে চাইলে, আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর এক সদস্য বলেন, ‘হেফাজত নিয়ে কথা বলে তাদের সঙ্গে আওয়ামী লীগকে মুখোমুখি করতে চাই না। তাদের মোকাবিলা করবে সরকার, আওয়ামী লীগ নয়। তাই এ নিয়ে দল উদ্বিগ্নও নয়। হেফাজত ইস্যুটি পুরোপুরি ‘হ্যান্ডেল’ করছে দেশের গোয়েন্দা সংস্থা। তাদের হুমকি-ধামকি অচিরেই থেমে যাবে।’

সূত্রগুলো আরও জানায়, সামনে নির্বাচন সরকারের বিরুদ্ধে একটি মহল ফায়দা হাসিল করতে তৎপরতা শুরু করেছে। হেফাজতকে নানা স্বপ্ন দেখাচ্ছে ওই অংশটি। তারাও ফুলে-ফেঁপে উঠছে, এটা সেটা করে ফেলবে মনে করছে। কিন্তু তাদের যে কিছুই করার ক্ষমতা নেই সেটা আঁচ করতে পারছে না।

ক্ষমতাসীন দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান বলেন, ‘হেফাজতের মতো সংগঠন নিয়ে আওয়ামী লীগ চিন্তা করছে না।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফরউল্যাহ বলেন, ‘হেফাজতকে নিয়ে আওয়ামী লীগ ভাবছে না। তারা অযথা মাঠ গরমের চেষ্টা করলে সরকার তা মোকাবিলা করবে। আমার মনে হয়, তারা আসলে আলোচনায় থাকতে পছন্দ করে, তাই অপ্রয়োজনীয় কথা বলছে।’

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।