ঘূর্ণিঝড়ে ‘মোরা’র প্রভাবে উখিয়ার কুতুপালং রেজিষ্ট্রার্ড ক্যাম্পের সহ্রসাধিক ছাড়াও তৎসংলগ্ন নতুন বস্তির ২হাজার এবং বালুখালী নতুন রোহিঙ্গা বস্তির প্রায় ৩ হাজার ঝুপড়ি ঘর বাতাদের উপড়ে গিয়ে গৃহহীন হয়ে পড়েছে প্রায় অর্ধলক্ষাধিক রোহিঙ্গা। তাদের ঘরবাড়ী ভেঙ্গে যাওয়ায় বর্তমানে খোলা আকাশের নিচে মানবেতর দিন যাপন করছে। বাসস্থান, চিকিৎসা, খাদ্য ঘাটতি সহ বিভিন্ন সমস্যা ভোগছে এসব রোহিঙ্গারা।
কুতুপালং রেজিষ্ট্রার্ড ক্যাম্পের চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম জানান, কুতুপালংয়ে প্রায় ১২হাজার রেজিষ্ট্রার্ড রোহিঙ্গা রয়েছে। এদের মধ্যে সহ¯্রাধিক পরিবারের ঘরবাড়ী বিধ্বস্থ হয়ে গেছে। বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্টের পক্ষ থেকে এসব পরিবারদের সেবা দিয়ে যাচ্ছে। কুতুপালং অনিবন্ধিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পের চেয়ারম্যান আবু ছিদ্দিক বলেন, ঘূর্ণিঝড়ে কুতুপালং নতুন বস্তির প্রায় ২হাজার ঝুপড়ি ঘর গুলো বাতাসে তচনচ হয়ে পড়েছে। এমনকি ঝুপড়ি ঘর গুলোর অস্থিত্ব খুজে পাওয়া যাচ্ছেনা। এসব গৃহহীন পরিবার গুলো খোলা আকাশের নিচে চরম মানবেতন দিন যাপর করছে।
কুতুপালং নতুন রোহিঙ্গা আলি জুহুর(৩০) জানান, তার ৪ফুট বর্গের একমাত্র ঝুপড়ি ঘরটি উপড়ে গেছে। বর্তমানে ২টি খুটি দিয়ে কোন রকম একটি ছাউনীর নিচে রাত যাপন করছে।
অপরদিকে বালুখালী নতুন বস্তির রোহিঙ্গা মাঝি লালু মিয়া জানান, বালুখালী নতুন বস্তিতে সাড়ে ৩হাজারের মতো ঝুপড়ি ঘর ছিল। তৎমধ্যে ৩হাজার ঝুপড়ি ‘মোরা’ প্রভাবে বিধ্বস্থ হয়ে গেছে। যার ফলে গৃহহীন হয়ে পড়েছে প্রায় ২০হাজার নতুন রোহিঙ্গা। এসব রোহিঙ্গারা ওই দিন অবস্থান নেন পাশর্^বর্তী জঙ্গলে এবং স্থানীয়দের বসতবাড়ীতে।
বালুখালী বস্তির নতুন অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গা মোঃ নুর (২২) সাজেদা বেগম (২৮) আব্দুস ছালাম (৬০) আবু তাহের (৪০) সহ বেশ কয়েক রোহিঙ্গা জানান, তাদের একমাত্র ঝুপড়ি ঘরটি ধ্বংস হয়ে যাওয়া ২দিন ধরে খোলা আকাশের নিচে বসতবাস করে যাচ্ছে। কিন্তু বৃষ্টি এবং ক্ষুদার কারনে তারা এখন কাতর। এনজিও সংস্থা এসিএফ থেকে জনপ্রতি ৫০ প্যাকেট বিস্কুট ছাড়া পায়নি কোন সাহায্য সহযোগিতা। খাদ্য, স্বাস্থ্য, বাসস্থান সহ বিভিন্ন সমস্যা রয়েছে এসব বাস্তুহারা রোহিঙ্গা পরিবার গুলো।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।