১৮ এপ্রিল, ২০২৫ | ৫ বৈশাখ, ১৪৩২ | ১৯ শাওয়াল, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  সিবিআইইউ’তে বর্ণাঢ্য আয়োজনে বাংলা নববর্ষ উদযাপন হয়েছে।   ●  গভীর রাতে পাহাড়ের মাটিভর্তি একটি ড্রাম ট্রাক( ডাম্পার) জব্দ করেছে কক্সবাজার বনবিভাগ   ●  অস্ত্র উদ্ধার ও ওয়ারেন্ট তামিলে জেলার শ্রেষ্ঠ হলেন এসআই খোকন কান্তি রুদ্র   ●  উখিয়ায় সাংবাদিক জসিম আজাদের জমি ও বসতবাড়ি দখলের চেষ্টায় হামলা   ●  কৃষকদল নেতা পরিচয়ে জমি দখল গুলি বর্ষণ আটক ১   ●  উখিয়া রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনারের ৫ সদস্যের প্রতিনিধিদল পরিদর্শন   ●  প্রথম ধাপে এক লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গাকে ফেরত নিতে রাজি মিয়ানমার   ●  পালং আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় এসএসসি’১৮ ব্যাচের ইফতার মাহফিল সম্পন্ন   ●  উখিয়া সমাজসেবা কর্মচারীর নামে বিধবা ভাতা’র টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ   ●  ‘পটভূমি পরিবর্তনের জন্য সাংবাদিকদের ভূমিকা অনস্বীকার্য’ – সরওয়ার জাহান চৌধুরী

“মোরা”য় নিখোঁজ ৫৩ জেলের সন্ধান পায়নি পরিবার

গভীর বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে গিয়েছিল ৫৩ জেলে। দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীর এই বাসিন্দারা ৬টি ট্রলারসহ নিখোঁজ। তাদের সন্ধান মেলেনি আজও।

জেলে পল্লী হিসাবে একই গ্রাম থেকে ৪৩ জন অন্যান্য গ্রাম থেকে ১০ জন জেলে পরিবারে কান্না থামছে না। অপরদিকে অসহায়, গৃহহীন জেলেদের আর্তনাদ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

২৯ মে ভোর থেকে প্রাকৃতিক ঘূর্নিঝড়  “মোরা”র আবহাওয়া সতর্ক সংকেত শুরু হলে বিকাল ৩ টায় ৭নং বিপদ সংকেত রেডিও মারফত জানতে পারে জেলেরা।

সংবাদ শুনে ট্রলারের কাজে ব্যবহৃত জাল, গোছা, লোয়াইং, কন্টিনার ভর্তি করে খুলে ফিরে আসার প্রস্তুতি গ্রহণ করে। এমন সময় বঙ্গোপসাগরে অদূরে গুলিধার নামক স্থানে বিভিন্ন পয়েন্টে ফিরে আসা ট্রলারগুলি প্রাকৃতিক ঘুর্ণিঝড় মোরার ১০নং মহা বিপদ সংকেত শুরু হলে ৩০ মে ভোর রাতে মোরার  কবলে পড়ে ৬টি ফিশিং বোট। এর মধ্যে ৫টি ফিশিং বোট মাঝিমাল্লাসহ সাগরে ডুবে যায়। এ সময় সাঁতার জানা ও জোয়ারের সময়ে সোনাদিয়া চ্যানেলে ২৮ জন, বিভিন্ন উপকূলে আরো ২৮ জন জেলে ৩০ মে সন্ধ্যায় জীবিত উদ্ধার হয়।

৫টি ট্রলার থাকা ২ জেলে সরাসরি মৃত্যু বরণ করে। ২ জেলেকে মহেশখালীতে দাফন করা হয়। এখনো আরো ৫৩ জেলে সাগরে নিখোঁজ রয়েছে ।

নিখোঁজ জেলেদের পরিবার তার সজন ও পরিবারের উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে চরম অসহায় দিনযাপন করছে।

এ ব্যাপারে, মহেশখালী কুতুবদিয়ার সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আশেক উল্লাহ রফিক জানায়, সরকারের তরফ থেকে নিখোজঁ পরিবার কে পূর্নবাসন করতে বিশেষ প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। নিখোঁজ জেলেদের সন্তানদের লেখাপড়ার দায়িত্ব তিনি ব্যক্তিগত তহবিল থেকে চালিয়ে নেওয়া ঘোষণা দেন।

মহেশখালীর ইউএনও আবুল কালাম জানান, নিখোঁজ জেলেদের মধ্যে গৃহহীনদের একটি করে বাড়ী তৈরী করে দিতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ে তালিকা প্রেরণ করা হয়েছে।

সূত্র- ইত্তেফাক

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।