১৭ নভেম্বর, ২০২৪ | ২ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৪ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  যারা খেলাধূলা করছে, তারা বিএনপির শক্তিকে অনুধাবন করতে পারছে না   ●  উখিয়ার নতুন ইউএনও কামরুল হাসান চৌধুরী   ●  উখিয়ায় যৌথবাহিনীর অভিযানে শক্তিশালী গ্রেনেড উদ্ধার   ●  ছয় কোটি তরুণের দেয়াল লিখন বাংলাদেশের নতুন সংবিধান   ●  চকরিয়ায় ২টি ডাম্পার ট্রাক ও এক্সকেভেটর জব্দ   ●  ধরে নিয়ে যাওয়া ২০ বাংলাদেশী  জেলেকে ফেরত দিল আরাকান আর্মি   ●  মেরিন ড্রাইভে ইয়াবাসহ নারী আটক   ●  সড়ক দখল করে নৈরাজ্য সৃষ্টি, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিরুদ্ধে শ্লোগান দেয়ার অভিযোগে কক্সবাজারে আ.লীগের ৯১ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা   ●  রোহিঙ্গা ক্যাম্প কেন্দ্রিক চোরা চালানের গডফাদার ফরিদ ফের সক্রিয়   ●  কক্সবাজার সমবায় ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা কমিটিতে কবির, আফসেল ও রাশেলকে প্রতিনিধি মনোনয়ন।

মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম : সমুদ্র শহরের রশ্মি

সমুদ্র শহরে সমুদ্রের মতো বিশাল হৃদয়ের মানুষ জন্ম নেন; আর সমুদ্রের মতো উদার মনের অধিকারি হয়ে উঠেন। দিগন্ত প্লাবিত ধবল জোৎ¯œার আলোর রশ্মির মতো আলো সরিয়ে দেন জনে-জনে। তিনি শব্দ তৈরীর খেলা শেখায় নীরবে, তৈরী করেন এক-একজন নিবেদিত সংবাদ শ্রমিক। সমাজ, সংগ্রাম, গ্রাম আর সংসারের ভালো-মন্দের উপস্থাপনের ধারণ, রাষ্ট্র প্রেম এবং বিশ্বাসের সাঁকোয় যাত্রার কৌশলও শেখান নিজের বিশ্বাসের আলোকে। শান্ত মগজে মানুষের কথা শুনার শক্তি সংশয়, নীরবে মানুষের মন্দ কথা শুনার মতো অধিক র্ধয্যশীল হওয়ার হাজারো জীবন সংগ্রামের নিজস্বতা অনুসরণের শিক্ষক হিসেবে একটা মানুষের সান্নিধ্য পাওয়ার সুযোগ আমার হয়েছিল। আমি টানা দশ বছরের কাছা-কাছি এই মানুষটির পাশে অবস্থান করার সুযোগ পেয়েছিলাম। পেয়েছিলাম ভালোবাসার প্রগাঢ় বন্ধন।

যে মানুষটি নিয়ে একশত পাঁচ শব্দের ভুমিকা, তিনি আর কেউ নন; একজন মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম। এই মানুষটিকে অনেক গুণে বিশ্লেষণ করা যাবে। কিন্তু সমুদ্র শহরে ঢেউয়ের সফেন ফনার মতো নান্দনিক সচেতনার মানুষের বাইরে আমি মানুষটিকে আমি দেখতে চাই না। আমার ক্ষুদ্র জ্ঞানের ভেতরে দাঁড়িয়ে একজন মানুষের বহুমুখি চিন্তা-ভাবনা দেখেছি। দেখেটি বৃত্তহীন জীবনবোধ কাকে বলে। এই মানুষটির প্রথম কাছা-কাছি যাওয়ার সুযোগটি হয়ে ছিলো ১৯৯৮ সালের শেষ কিংবা ১৯৯৯ সালের শুরু থেকে। আমি তখন সবে মাত্র এসএসসি উত্তীর্ণ হয়ে কলেজে যাত্রা দিয়েছিলাম। রাজনৈতিক বা নিজস্ব জীবন বোধ বা সংগ্রামের কারণে পাঠ্য বইয়ের বাইরে একটা নিজস্ব জগৎ ছিলো। আর ওটার কারণে কখন জানি নিজের অজান্তে লিখতে শুরু করেছিলাম-

“মা জানেন না তার গর্ভে জন্ম নিলো এক শিশু
এমন দেশে বাবা হলেন মহান পুরুষ যিশু”

অথবা লেখেছিলাম,

“রক্ত দিতে পারি আমি
ভিটা দেবো না,
রক্ত খেকো শুয়োর গুলো
মানুষ হলো না”

এসব লেখা কেবল জমা ছিলো গোপনে ডায়েরি পাতা বা ছেঁড়া কাগজের ভাজে। ১৯৯৮ সালের শেষের দিকে এসব লেখার সংবাদ জেনে যান আজকের প্রথম আলোর স্টাফ রিপোর্টার আবদুল কুদ্দুস রানা। তিনি নিয়ে নেন কয়েকটি লেখা। আর ওই বছর চৌদ্দ নভেম্বর দৈনিক কক্সবাজার পত্রিকার সাহিত্য পাতায় ছাপার অক্ষরে আমার নামে প্রকাশিত হলো প্রথম লেখা। ওই দিনের আনন্দ বা অনুভ‚তি ভিন্ন। ওটা এখন বলতে আসিনি। বলতে এসেছি ওই পত্রিকাটির সম্পাদকের কথা বলতে। যাকে তখন আমি নিচের চোখে দেখিনি। টেকনাফ থেকে লেখা পাঠানো আর দৈনিক কক্সবাজার পত্রিকায় তা প্রকাশ। এভাবে চলছি কিছু দিন। তাঁর কিছুদিন পর কক্সবাজার শহরে কোন এক কাজে এসে দৈনিক কক্সবাজার কার্যালয়ে গিয়ে ছিলাম। ওই দিন প্রথম দেখি একজন শান্ত প্রবীণ ব্যক্তি। যিনি সাদা পাঞ্জাবির উপর মুজিব কোট পরিধান করে বসে আছেন। আমি সালাম দিলে মাথা তুলে দেখেন আর জানতে চান “কিসের জন্য আগমণ”। আমি জানালাম রানা ভাইয়ার সাথে দেখা করতে এসেছি। ওনি খুব মিষ্টি হাসি দিয়ে বললেন “ঝিমিকিমি গ্রæপ”। আমি হ্যাঁ সূচক মাথা নেড়ে সম্মতি জানালাম। ওনি আমাকে তাঁর টেবিলের কাছে একটা চেয়ার দেখিয়ে বসতে বললেন। আমি বিব্রতকর হলেও তাঁর পাশে বসলাম। তিনি একজন ছেলেকে ডেকে চা আর সিঙ্গারা আনতে বললেন। এ ফাঁকে জানতে চাইলেন “কোন লেখা জমা দিতে গিয়েছি কি না। আমি ব্যাগে রাখা একটি ঘাম বের করলে তিনি তা নিলেন। আর খামটা খুলে সাত পৃষ্ঠার একটি গদ্য পড়তে শুরু করলেন। কোন কথা নেই অত্যন্ত মনোযোগ দিয়ে তিনি লেখাটি পড়লেন। এই ফাঁকে চা ও সিঙ্গারা চলে এলো। আমাকে খেতে ইশরা করলেন। আমি খাচ্ছি আর সম্পাদকের চেহেরার দিকে দেখছি। খাওয়া শেষ বসে আছি। তিনি পুরো লেখা শেষ করে আমাকে কাছে ডাকলেন আর মাথায় হাত রেখে বললেন “ভালো, লেখতে থাকো, আর রানাকে পেতে হলে সন্ধ্যায় এসো”। আমি বিমোহিত দৃষ্টিতে মাথা নত করে পা ধরে সালাম জানিয়ে বের হয়ে গেলাম। এরপর ঝিকিমিকির সদস্যদের সংগঠণ মিলন মেলা, রানা ভাইয়ের প্রয়োজনে অনেক বার দেখাও কথা হয়েছে। তখন আমি কেবল লেখা-লেখির জগতে একজন সদ্য যাত্রা দেয়া তরুণ। এর মধ্যে রানা ভাই টেকনাফের নানা সদস্য নিয়ে বিভিন্ন সংবাদ লেখার জন্য প্রলোভন দেয়া শুরু করেন। আমি এবং আমার আজকের পুলিশ বন্ধু জাহেদ হোসেন মিলে সংবাদ লেখে রানা ভাইকে দিতাম। আর এটা সংশোধিত হয়ে প্রকাশিত হতো দৈনিক কক্সবাজার পত্রিকায়। এভাবে চলেছে কিছুদিন।

এরপর ২০০১ সালে নিজস্ব প্রয়োজনে কক্সবাজার শহরে আসি। পাবলিক লাইব্রেরীর দাবা কক্ষ, শহীদ দৌলত মাঠ ঘীরে আড্ডা, ঘুরা-ফেরা। এর মধ্যে জড়িয়ে যায় সংবাদ সংগ্রহ বা লেখার কাজেও। ওখানে সংবাদের শ্রমিক হওয়ার যাত্রা শুরু করলেও মুলত দৈনিক কক্সবাজার পত্রিকায় বেতনভ‚ক্ত প্রতিবেদক হিসেবে কাজ শুরু করি ২০০৭ সালের শেষের দিকে। পূর্বের যে দৈনিক পত্রিকাটিতে কাজ করতাম ওটা থেকে নিজকে গুটিয়ে নেয়ার বিষয়টি জেনে দৈনিক কক্সবাজার পত্রিকার পরিচালনা সম্পাদক মোহাম্মদ মুজিবুল ইসলাম (কক্সবাজার প্রেসক্লাবের বর্তমান সাধারণ ও সম্পাদকে জৈষ্ঠ্য সন্তান) বলেছিলেন রাতে যেন দেখা করি। রাতে যাওয়ার পর মোহাম্মদ মুজিবুল ইসলাম ও আবু তাহের ভাই (বর্তমান কক্সবাজার প্রেসক্লাব ও কক্সবাজার সাংবাদিক ইউনিয়ন সভাপতি) দাবা কক্ষ বসিয়ে নানা নিদের্শনা পাশাপাশি বলেছিলেন পরের দিন থেকে যেন কাজ শুরু করি। ওই দিন থেকে যাত্রা শুরু করে ২০১৮ পর্যন্ত পত্রিকাটিতে কর্মরত ছিলাম। আর এই পুরো সময় জুড়ে খুব কাছ থেকে দেখেছি একজন মোহাম্মদ নুরুল ইসলামকে।

তিনি কি কেবল একজন সম্পাদক? প্রশ্নটি কক্সবাজারের প্রগতির আন্দোলনের সাবেক সংগঠকদের রাখতে চাই। একজন সাংবাদিক কিভাবে প্রগতির আন্দোলনের নেপথ্যের কারিগর হয়ে যান তাঁর অনেক কিছুই তাঁরা আমার চেয়ে ভালো বলতে পারেন। সাংস্কৃতিক যোদ্ধারও বলতে পারেন কতটুকু সারথি ছিলেন তিনি। তিনি কিভাবে একজন রাজনৈতিক নেতা বা জনপ্রতিনিধি তৈরি করে দেন তার অনেক উদাহারণ রয়েছে। দৈনিক কক্সবাজার পত্রিকার পাবলিক লাইব্রেরী মাকের্টের কার্যালয় ঘীরে রয়েছে তার অনেক প্রমাণ। ওই সব স্ব-স্ব ব্যক্তির কাছ থেকে প্রকাশের প্রত্যাশা রাখি। আমি কেবল আমার স্মৃতিতে জমা রাখা কিছু ঘটনা প্রবাহ বলতে পারি। তিনি কিভাবে শব্দ শ্রমিক তৈরী করে নেন। সংবাদ লেখতে কিভাবে শব্দ সংখ্যাটি ব্যবহার হন এটা প্রথম শেখেছি মোহাম্মদ নুরুল ইসলামের কাছ থেকে। যদিও আমি কবিতা লেখতে চেষ্টা করতাম বা আজ পর্যন্ত চেষ্টাকারি। কবিতায় শব্দের একটি খেলা আছে জানতাম। আর সংবাদেও রয়েছে শব্দ সংখ্যার খেলা তা চেনার একমাত্র শিক্ষক মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম। আর তার জন্য আজ শব্দ গুণে কবিতা লেখার চেষ্টা করতে পারি। কবিতা লেখার চেষ্টা করি তা ঠিক মুল পেশা তো সংবাদ শ্রমিক। একজন সংবাদকর্মী হিসেবে সহনশীলতা কতটুকু হওয়া প্রয়োজন তার উদাহারণও তিনি।

কক্সবাজার খুব ছোট্ট শহর। এই শহরে শব্দের প্রয়োজনে আমি নি:সঙ্গ প্রকৃতির। এই শহরে মোহাম্মদ নুরুল ইসলামের হাতে তৈরী পত্রিকাটি আজ পর্যন্ত যে যোগ্যতা বা প্রেমবোধ চেতনা ঠিকে আছে তার নেপথ্যে কারিগারি তিনি নিজেই। তাঁর রাজনৈতিক জীবন, রাজনৈতিক চেতনাবোধ বিশ্বাসের বাইরে গিয়ে একটি উজ্জ্বল আলোর বৃত্ত তৈরি করে ছিলেন বলেই আমার মতো একজন নুপা আলমের আজ সাংবাদিক হয়ে উঠা। এ শহরের প্রতিটি কর্ণারে যেসব আলোকিত সাংবাদিক আজ বুক উচ্চতায় দাঁড়িয়ে আছেন তারা সকলেই এই ব্যক্তির আশ্রয়-প্রশ্রয়ে বেড়ে উঠেছেন।

আজ মৃত্যুবাষির্কীতে এই মহান শিক্ষকের প্রতি আমার বিন¤্র শ্রদ্ধা।

মোহাম্মদ নুরুল ইসলামের সংক্ষিপ্ত জীবনী :
সম্পাদক মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম একজন সংগঠক ছিলেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর  মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম কক্সবাজারের পেকুয়া মগনামার আশরাফ মিয়া ও খুইল্ল্যা বিবির জ্যেষ্ঠ সন্তান। ১৯৩০ সালের ৬ জুন তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৫৩ সালে কুতুবদিয়া বড়ঘোপ হাই স্কুল থেকে ম্যাট্রিক, ১৯৫৬ সালে সাতকানিয়া কলেজ থেকে এইচএসসি, ১৯৬১ সালে চট্টগ্রাম নৈশ কলেজ (সিটি কলেজ) থেকে বিএ পাস করেন। ১৯৬১ সালে দৈনিক আজাদীর চট্টগ্রাম অফিসে স্টাফ রিপোর্টার হিসাবে তাঁর সাংবাদিকতার জীবনের সূচনা হয়। তখন তিনি স্নাতক এর ছাত্র ছিলেন। ১৯৭২ সালে তিনি বাংলার বাণী’র জেলা প্রতিনিধি, ১৯৭৩-৭৪ সালে আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা এনা’র জেলা প্রতিনিধি ছিলেন। ১৯৭৮ সালের ২০ জুলাই সাপ্তাহিক কক্সবাজার নামে কক্সবাজারে প্রথম সাপ্তাহিক পত্রিকা প্রকাশ করেন, ১৯৮০ সালের ১লা মে সাপ্তাহিক স্বদেশবাণী এবং ১৯৯১ সাল থেকে কক্সবাজার এর শীর্ষ নিয়মিত পৈত্রিকা দৈনিক কক্সবাজার প্রকাশ করেন। যে পত্রিকা এখনও নিয়মিত প্রকাশিত হচ্ছে। ১৯৭৪ সালে তিনি বিনোদন ম্যাগাজিন প্রিয়তমা নামে একটি সাময়িকীও প্রকাশ করেন।

১৯৭৫ সালে কক্সবাজার প্রেসক্লাব গঠন ও ক্লাবের আহবায়ক ও প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মনোনীত হন মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম। তিনি আট বার কক্সবাজার প্রেসক্লাবের সভাপতি নির্বাচিত হন।

মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন ও ৫৪-এর যুক্তফ্রন্ট আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন। ১৯৫৪ সালে চট্টগ্রাম কলেজের ছাত্র হিসাবে নূরুল আমিনের জনসভা বানচাল-প্রচেষ্টার অভিযোগে চট্টগ্রামের লালদীঘির প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে অন্যান্যদের সাথে তিনি আটক হন এবং ৪ ঘন্টা পর মুক্তি লাভ করেন। রাজনৈতিক জীবনে তিনি ১৯৬৩ সাল এ এনডিএফ-এর কক্সবাজার জেলা আহবায়ক, ১৯৬৪ সালে মহকুমা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ কৃষকলীগ-এর জেলা সভাপতি ও পরবর্তীতে কেন্দ্রীয় সদস্য মনোনীত হন। ১৯৭৪ সালে বাকশালে যোগদান ও কেন্দ্রীয় পলিটব্যুরোর সদস্য মনোনীত হন। তিনি দীর্ঘ দিন জেলা আওয়ামীলীগ এর সহ সভাপতি এবং মৃত্যুর আগ পর্যন্ত কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগ এর উপদেষ্টা ছিলেন।

সাংবাদিকতা ও রাজনীতে অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ ২০০৮-এ ভাষা সৈনিক অধ্যক্ষ আবুল কাশেম সাহিত্য একাডেমী পদক, সাংবাদিকতায় ১৯৯৬ কক্সবাজার ইনিস্টিটিউট ও পাবলিক লাইব্রেরী পদক, ১৯৯৬ এপেক্স ক্লাব সম্মাননা, কক্সবাজার প্রেসক্লাব রজত জয়ন্তীর সৌজন্য পুরস্কার, প্রথম আলো সম্মাননা ’০৯, পরিবেশ পুরস্কার কক্সবাজার প্রেস ক্লাব ২০০৬ এবং ৭১ এ মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য স্বাধীনতা উৎসব ’০৮ উদযাপন পরিষদ কক্সবাজার সম্মাননা, ২০০৯ সালে কক্সবাজার সাংবাদিক সংসদ (সিএসএস) এর উদ্যোগে কৃতি সাংবাদিক সম্মাননায় ভূষিত হন। এছাড়াও তিনি কক্সবাজার মুক্তিযোদ্ধা সংবর্ধনা ১৯৯৭ ও কক্সবাজার প্রেসক্লাব সংবর্ধনা (২০০০) লাভ করেন।তিনি মগনামা ইউনিয়নের দীর্ঘদিনের চেয়ারম্যান ছিলেন।

নুপা আলম
লেখক : কবি ও সাংবাদিক, কক্সবাজার।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।