কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ী দক্ষিণ রাজঘাট ব্রীজের নদীর পয়েন্টে গত এক সপ্তাহ ধরে মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন চললে ও যেন চোখে কালো চশমা পড়ে ঘুমিয়ে আছেন পরিবেশ অধিদপ্তর ও উপজেলা প্রশাসন । নদী থেকে বালু উত্তোলন বন্ধে সরকারী নীতিমালা থাকলেও জড়িত বালু দস্যুরা তা অমান্য করে বহাল তবিয়তে চালাচ্ছে এ ব্যবসা। এভাবে বালু উত্তোলন অব্যাহত থাকলেও অদ্যবাদি তা বন্ধে কোন ধরণের অভিযান পরিলক্ষিত হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। মাতারবাড়ী পুলিশ ফাঁড়ির আইসিকে মাসোহারা দিয়ে এ বালি ব্যবসা চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
এতে করে নদীর তলদেশ থেকে বালু উত্তোলনের কারনে ভাঙ্গনের সৃষ্টি হওয়ায় মাতরাবড়ী ৮০ হাজার মানুষের চলাচলের এক মাত্র মাধ্যম মাতারবাড়ী ব্রীজ ধসে যাওয়ার পাশাপাশি এলাকায় মারাত্বক ভাবে পরিবেশ বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছেন পরিবেশবাদী সংগঠন। গতকাল সোমবার সকালে সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের নজরদারি না থাকার সুযোগে সম্প্রতি ক্ষমতাসীন দল আওয়ামীলীগ যুবলীগ নাম ভাঙ্গিয়ে বিনা বাধাঁয় উপজেলার মাতারবাড়ী কুহেলিয়া নদীর পয়েন্টে মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন অব্যাহত রেখেছে। বেশির ভাগ বালু এলাকার লোকজনের বসতভিটা ভরাট কাজে এবং পাকা দালান তোলার কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে সূত্র গুলো দাবী করেছে।
নদীর মাতারবাড়ী সেতু এলাকায় ১টি ড্রেজার মেশিন বসিয়ে একটি অসাধু চক্র নদী থেকে প্রকাশ্যে বালু উত্তোলন চালাচ্ছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মাতারবাড়ট দেখিয়ে নদীর তীরে মেশিন বসিয়ে এখন বালু লুটের মহোৎসব চলছে। জানা গেছে, প্রশাসনের নিলিপ্তার সুযোগে ক্ষমতাসীন দলের দাপ মাতারবাড়ী মধ্যম রাজঘাট এলাকার মৃত ছগির আহমদের ছেলে লেদু সওদাগর, দক্ষিণ রাজঘাট মৃত হাজী ইলিয়াস মিয়ার ছেলে ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক সুজন মোঃ দিলু, ডাঃ পিয়ারুসহ৬/৭জনের বিশাল একটি লুটের সিন্ডিকেট মাতারবাড়ী নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে তা লোকজনের কাছে বিক্রি করছে।
মাতারবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আওয়ামীলীগ নেতা মাষ্টার মোঃ উল্লাহ বলেন, এভাবে বালি উত্তোলন অব্যাহত থাকলে মাতারবাড়ী ব্রীজের পাশ থেকে বালি সরে গিয়ে ব্রীজটি ধসে পড়ার আশংকা রয়েছে। তা বন্ধ করা দরকার।
এ ব্যাপারে মহেশখালী উপজেলা নিবার্হী অফিসার আবুল কালাম প্রিয় চট্টগ্রামকে বলেন, তা বন্ধ করার জন্য মাতারবাড়ী পুলিশ ফাঁড়িকে নির্দেশ দেওয়া হবে।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।